নামাজ পড়তে চেয়ে বিয়ের রাতে মারা গেল যে নারী (এক মুসলিম তরুণীর সত্য কাহিনী)
আজ তার বিয়ে। মহাধুমধামে চলছে সব আয়োজন। চারদিকে উৎসব।
'মাগরিব নামাজের পর তাকে মেক-আপ দেয়া হলো, সুন্দর সাদা বিয়ের পোশাক পরানো হলো। এই করতে করতে এশার আজান হলো। তখন তার মনে পড়ল, তার ওজু নষ্ট হয়ে গেছে। সে তার মাকে বিষয়টা জানাল : মা, আমি ওজু করে এশার নামাজ পড়তে চাই।
'তার মা এতে বিস্মিত হলেন : 'তুমি কি পাগল হয়ে গেছ? দেখছ না সবাই তোমার অপেক্ষা করছে, তোমার মেক-আপের কী হবে? পানিতে তো সব ধুয়ে যাবে।
'তখন তিনি বললেন, আমি তোমার মা, আমি নির্দেশ দিচ্ছি, তুমি এখন নামাজ পড়বে না। তুমি যদি এখন ওজু কর, তবে আমি কষ্ট পাব।
মেয়ে জবাব দিল, 'নামাজ না পড়ে আমি এখান থেকে যাব না। মা, তুমি জান, নামাজের মাফ নেই। মানুষ আল্লাহর অবাধ্য হতে পারে না।
'তার মা জবাব দিলেন, মেক আপ ছাড়া তোমাকে দেখলে মেহমানরা তোমাকে নিয়ে কী বলবে? তাদের চোখে তোমাকে কি সুন্দর লাগবে? তোমাকে দেখে তখন তারা কৌতুক করবে।
মেয়ে তখন বলল, মা, তুমি কি এই নিয়ে চিন্তা করো যে, আমি সৃষ্টির দৃষ্টিতে সুন্দর কি না? আমার স্রষ্টা নিয়ে কি ভাবো? আর আমি ভাবছি, আমি যদি আমার নামাজ বাদ দেই, তবে তাঁর দৃষ্টিতে আমি সুন্দর হবো না।
মেয়েটি তখন তার ওজু করতে শুরু করল, তার সব মেক-আপ মুছে গেল। কিন্তু সে ওসবের কিছুরই পরোয়া করল না। তারপর নামাজ শুরু করল। যথারীতি নামাজ আদায় করতে লাগল। কিন্তু তখনও জানত না, এটাই তার শেষ নামাজ!
হ্যাঁ, সে যখন সিজদায় গেল, তখনই তার রুহ বের হয়ে গেল। নামাজ পড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এক মুসলিম নারী তার প্রভুর কাছে চলে গেলেন তার সামনে সিজদায় থেকে। তিনি নামাজকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন।
মেয়েটি চেয়েছিলেন তার রবের কাছাকাছি হতে। আর নামাজেই রবের সবচেয়ে কাছাকাছি হওয়া যায়। কে তার চেহারা নিয়ে, সাজগোজ নিয়ে কী বলল, সে তার পরোয়া করত না। তার ভাবনা জুড়ে ছিল আল্লাহ তার সম্পর্কে কী ভাবছেন।
সব মুসলমানের চিন্তা এমনই হওয়া উচিত নয় কি?এই সত্য কাহিনীটি বলেছেন শেখ আবদুল মহসিন আল আহমদ। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদিআরবের রাজধানীর আভায়। তবে তিনি মেয়েটি বা তার পরিবারের পরিচয় প্রকাশ করেননি।

Lamiya Khatun
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?
Lamiya Khatun
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?