গল্প : পোড়োবাড়ির রহস্য
পঞ্চম পাঠ
অমিতের ভেতর থেকে জমিদারের আত্মা আমাদের আক্রমণ করার চেষ্টা করছিল। আমরা কোনোমতে ওকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের অন্য কোণে ঠেলে দিলাম। রাজু আর সুমন ভাঙা পালঙ্কের একটা পায়া দিয়ে দরজায় আঘাত করতে শুরু করল। আমি আর অমিতকে ধরে রাখার চেষ্টা করছিলাম। ওর শরীরে যেন অসুরের শক্তি ভর করেছে। ওর নখের আঁচড়ে আমার হাত কেটে রক্ত বেরিয়ে গেল। ঠিক সেই মুহূর্তে, কোনো দৈব শক্তিতেই যেন, দরজার পুরোনো খিলটা ভেঙে গেল। আমরা এক মুহূর্তও দেরি না করে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম। অমিত তখনও ভেতরে উন্মত্তের মতো হাসছিল। আমরা পাগলের মতো সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে লাগলাম। পেছনে শুনতে পাচ্ছিলাম অমিতের সেই ভয়ঙ্কর হাসি আর একটা নারী কণ্ঠের কান্নার শব্দ। বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমরা আর পেছনে ফিরে তাকাইনি। গ্রামের রাস্তায় পৌঁছেই আমরা জ্ঞান হারাই। পরের দিন সকালে গ্রামবাসীরা আমাদের উদ্ধার করে। অমিতকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ওর কোনো সন্ধান পায়নি। সেই পোড়োবাড়িতে এখন আর কেউ যায় না। কিন্তু অমাবস্যার রাতে নাকি এখনও দোতলার ওই ঘর থেকে এক নারকীয় হাসি ভেসে আসে।
(সমাপ্ত)
#রহস্যম গল্প 😱😱😱😱
