একটি গ্রামে এক কৃষক বাস করত। কৃষকটি ছিল বৃদ্ধ, কিন্তু তার স্ত্রী ছিল যুবতী এবং চঞ্চল স্বভাবের। সেই নারীর দৃষ্টি প্রায়শই অন্য পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট হতো।
একদিন, এক প্রতারক সেই মহিলাকে একা বাড়ি থেকে বের হতে দেখে তার পিছু নিতে লাগল। যখন মহিলা একটি নির্জন স্থানে পৌঁছালেন, তখন প্রতারক তার কাছে গিয়ে বলল, "আমার স্ত্রী মারা গেছে, আর আমি আপনাকে খুব পছন্দ করি। আপনি কি আমার সঙ্গে যেতে রাজি হবেন?"
মহিলা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, "যদি তাই হয়, তাহলে আমি আপনার সঙ্গে যেতে রাজি। আমার স্বামী তো বৃদ্ধ এবং ঠিকমতো চলাফেরা করতেও পারেন না। তার কাছে অনেক টাকা-পয়সা ও গয়না রয়েছে। আমি সেগুলো নিয়ে আসি, যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ সুখের হয়।"
প্রতারক বলল, "ঠিক আছে, তাহলে কাল সকালে এই জায়গাতেই দেখা করি। তারপর একসঙ্গে রওনা হবো।"
মহিলা বাড়ি ফিরে এলেন এবং স্বামীর ঘুমানোর অপেক্ষায় রইলেন। স্বামী ঘুমিয়ে পড়তেই, তিনি বাড়ির সব টাকা ও গয়না একটি পোটলিতে বেঁধে রাখলেন এবং পরদিন সকালে সেই নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে গেলেন।
এরপর তারা একসঙ্গে যাত্রা শুরু করলেন। অনেক দূর হাঁটার পর তারা একটি গভীর নদীর ধারে পৌঁছাল। প্রতারক মনে মনে ভাবল, “এই মহিলাকে যদি সঙ্গে নিয়ে যাই, তবে তার খোঁজে লোকজন আমাকে অনুসরণ করতে পারে। এতে আমি বিপদে পড়ে যেতে পারি। তার চেয়ে ভালো হয়, যদি শুধু টাকাগুলো নিয়ে এই মহিলাকে ফেলে দিই।”
সে মহিলাকে বলল, "এই নদীটা অনেক গভীর। আমি একসাথে তোমাকে ও টাকাপয়সা নিয়ে পার হতে পারবো না। প্রথমে আমি পোটলিটা নিয়ে পার হই, তারপর তোমাকে কাঁধে তুলে নিয়ে যাব।"
মহিলা বিশ্বাস করে পোটলিটা দিয়ে দিলেন। প্রতারক আবার বলল, "তোমার গয়নাগুলো এবং ভারী জামাকাপড়ও আমাকে দিয়ে দাও, যাতে আমি পরে তোমাকে সহজে নিয়ে যেতে পারি।"
মহিলা কিছু না ভেবে সব কিছু দিয়ে দিলেন। প্রতারক সব কিছু নিয়ে নদী পার হয়ে গেল — এবং আর ফিরে এল না।
নিজের লোভ ও অন্যায় পথে হাঁটার কারণে সেই মহিলার কিছুই অবশিষ্ট রইল না।
শিক্ষা: নিজের স্বার্থে ভুল পথে হাঁটলে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিই হয়। সৎ ও ন্যায় পথেই জীবনের প্রকৃত সুখ লুকিয়ে থাকে।

Shawon Ahmed
删除评论
您确定要删除此评论吗?