গল্প : সুন্দরবনের কেন্দুয়াখালি
পঞ্চম পাঠ
আমার হঠাৎ মনে পড়ল, আমার দাদু বলতেন, অতৃপ্ত আত্মারা কিছু পেলে হয়তো শান্ত হয়। আমার কাছে সামান্য গুড় আর মুড়ি ছিল। আমি কাঁপতে কাঁপতে সেই গুড় আর মুড়ি একটা কলাপাতায় করে নদীর জলে ভাসিয়ে দিলাম। হাতজোড় করে বললাম, "গফুর ভাই, আমরা তোমার কোনো ক্ষতি করতে আসিনি। তুমি শান্ত হও। এই সামান্য ভোগ গ্রহণ করো।" আমার কথা শেষ হতেই চারপাশের পরিবেশটা যেন একটু শান্ত হলো। সেই ফিসফিসানি বন্ধ হয়ে গেল। নৌকোর ঝাঁকুনিও থেমে গেল। আমি শেষ চেষ্টা হিসেবে ইঞ্জিনের দড়িতে টান মারলাম। আশ্চর্যভাবে ইঞ্জিনটা এক টানেই চালু হয়ে গেল। আমি এক মুহূর্তও দেরি না করে নৌকো ঘুরিয়ে দিলাম। আমরা যখন খাঁড়ি থেকে বেরিয়ে এলাম, তখন ভোরের আলো ফুটছে। আমরা সবাই চুপ ছিলাম, কারও মুখে কোনো কথা ছিল না। সেই ঘটনার পর আমি আর কখনো টাকার লোভে সুন্দরবনের কোনো অলৌকিক গল্পকে অবিশ্বাস করিনি। কেন্দুয়াখালির দিকে তাকালে আজও আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে ওঠে। কারণ আমি জানি, সেই সবুজ চোখ দুটো আজও ওখানে অপেক্ষা করছে নতুন শিকারের জন্য।
(সমাপ্ত)
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱
Rumi Akter
Ellimina il commento
Sei sicuro di voler eliminare questo commento ?