গল্প : শ্যাওড়াগাছের পেত্নী
তৃতীয় পাঠ
পরের দিন স্কুলে গিয়েও সুহাস স্বস্তি পেল না। ছাত্রছাত্রীরা তার দিকে কেমন যেন অদ্ভুতভাবে তাকাচ্ছিল। টিফিনের সময় একজন ছাত্র ভয়ে ভয়ে তাকে জিজ্ঞেস করল, "মাস্টারমশাই, আপনার ঘাড়ে ওটা কিসের দাগ?" সুহাস অবাক হয়ে ঘাড়ে হাত দিয়ে দেখল, সেখানে লম্বা লম্বা আঁচড়ের দাগ। কখন লাগল, সে বুঝতেই পারল না। তার শরীরটা কেমন যেন ম্যাজম্যাজ করছিল। সেদিন স্কুল থেকে ফেরার সময় সে ইচ্ছা করেই অন্য রাস্তা ধরল, যেটা অনেকখানি ঘুরপথ। কিন্তু তার ভয় কাটল না। রাতে খাওয়ার পর সে যখন শুতে গেল, মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। সে অনুভব করল, তার ঘরের ভেতর কেউ আছে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে সে স্পষ্ট দেখল, ঘরের কোণে একটা সাদা অবয়ব দাঁড়িয়ে আছে। অবয়বটা ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। সুহাস ভয়ে জমে গেল, তার গলা দিয়ে কোনো স্বর বেরোচ্ছিল না। ছায়াটা তার বিছানার পাশে এসে দাঁড়াল। একটা হিমশীতল হাত তার গলাটা চেপে ধরতে চাইল। সুহাস ভয়ে জ্ঞান হারাল।
কারণ সে বুঝতে পারছিল, এটা আর কোনো ভয়ের অনুভূতি নয়, এটা ছিল তার জীবন-মৃত্যুর লড়াই।
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

Mir Abs Shawon
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?