গল্প : শ্যাওড়াগাছের পেত্নী
পঞ্চম পাঠ
মাঝরাতে সুহাস কাঁপা কাঁপা হাতে হাতুড়ি আর পেরেক নিয়ে শ্যাওড়াগাছটার দিকে এগিয়ে গেল। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু তার নিজের হৃৎপিণ্ডের শব্দই সে শুনতে পাচ্ছিল। গাছটার নিচে পৌঁছাতেই সে দেখল, একটা সাদা শাড়ি পরা নারীমূর্তি গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসে আছে। তার মুখটা দেখা যাচ্ছে না, লম্বা চুলে ঢাকা। সুহাসকে দেখেই মূর্তিটা খিলখিল করে হেসে উঠল, সে হাসি শুনে শরীরের রক্ত জল হয়ে যায়। মূর্তিটা বাতাসে ভাসতে ভাসতে তার দিকে এগিয়ে এলো। তার পা দুটো ছিল উল্টো দিকে ঘোরানো। সুহাস চোখ বন্ধ করে ঈশ্বরের নাম জপ করতে লাগল আর সাহসে ভর করে গাছটার দিকে দৌড়ে গেল। পেত্নীটা বিকট চিৎকার করে তার পথ আটকানোর চেষ্টা করল, কিন্তু সুহাস কোনোমতে তাকে পাশ কাটিয়ে গাছের উত্তর দিকের ডালে পেরেকটা রেখে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করল। একবার, দুবার, তিনবার! পেরেকটা গাছের ডালে গেঁথে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেত্নীটা এক আকাশ কাঁপানো আর্তনাদ করে উঠল এবং ধীরে ধীরে বাতাসে মিলিয়ে গেল। সুহাস সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে রইল। পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা তাকে উদ্ধার করে। সুহাস সেই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সে সেই রাতের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেনি।
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

Mir Abs Shawon
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?