গল্প : অভিশপ্ত আয়না

চতুর্থ পাঠ
আয়নার ভেতর থেকে সেই নারীমূর্তিটা যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। রীতা দেখল, মহিলার পরনে একটা পুরোনো দিনের শাড়ি, গলার কাছে একটা গভীর ক্ষতের দাগ। এবার আর শুধু প্রতিবিম্ব নয়, আয়নার ভেতর থেকে একটা হিমশীতল হাত বেরিয়ে এসে রীতার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। রীতা প্রাণপণে চিৎকার করার চেষ্টা করল, কিন্তু তার গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বেরোল না। তার পুরো শরীর অবশ হয়ে গেছে। সেই হাতটা তার গলা স্পর্শ করার আগেই সে জ্ঞান হারাল। যখন জ্ঞান ফিরল, সে দেখল ঘরের সবকিছু লন্ডভন্ড। টেবিলের ওপর রাখা ফুলদানিটা ভেঙে চুরমার, বইপত্র সব মেঝেতে ছড়ানো। আর আয়নাটা? সেটা আগের মতোই দেয়ালে ঝুলছে, কিন্তু এবার তার কাচের ওপর একটা ফাটল ধরেছে। রীতা বুঝতে পারল, এই আত্মাটা শুধু আয়নার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, সে এখন ঘরের ভেতরেও নিজের প্রভাব খাটাতে শুরু করেছে। এই ফ্ল্যাটে এক মুহূর্ত থাকাও আর নিরাপদ নয়।

ফাটলটা শুধু আয়নার কাচেই ধরেনি, ধরেছিল বাস্তব আর অশুভ জগতের মাঝের দেওয়ালেও। আর রীতার হাতে সময় ছিল খুব কম।

image