গল্প : অভিশপ্ত আয়না

পঞ্চম পাঠ
রীতা ঠিক করল, এই আয়নাটাকে ধ্বংস করে ফেলতে হবে। সে রান্নাঘর থেকে একটা ভারী হাতুড়ি নিয়ে এলো। ভয়ে তার হাত-পা কাঁপছিল, কিন্তু মনের জোরে সে আয়নাটার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। আয়নার ভেতরে সেই মহিলা তখন বিকটভাবে হাসছে। রীতা চোখ বন্ধ করে সর্বশক্তি দিয়ে আয়নার ঠিক মাঝখানে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করল। বিকট শব্দে আয়নাটা চুরমার হয়ে ভেঙে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে পুরো ঘরটা যেন একটা তীব্র আর্তনাদে কেঁপে উঠল। ঘরের সমস্ত লাইট দপদপ করে নিভে গেল। রীতা অনুভব করল, একটা ঠান্ডা হাওয়া তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। কিছুক্ষণ পর যখন সব শান্ত হলো, লাইটগুলো আবার জ্বলে উঠল। রীতা দেখল, মেঝেতে শুধু আয়নার ভাঙা কাচের টুকরোগুলো পড়ে আছে। সেই অশরীরী অস্তিত্বটা আর অনুভব করা যাচ্ছে না। রীতা সেই রাতেই ফ্ল্যাটটা ছেড়ে তার এক বন্ধুর বাড়ি চলে যায়। সে আর কখনো কোনো পুরোনো জিনিস কেনেনি। কিন্তু মাঝেমধ্যেই আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখার সময় তার মনে হয়, ভাঙা কাচের টুকরোর ভেতর থেকে দুটো ঘৃণাপূর্ণ চোখ যেন আজও তাকে দেখছে।

(সমাপ্ত)

#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

image