গল্প : শেষ ট্রেনের যাত্রী
পঞ্চম পাঠ
হঠাৎ করেই দরজায় আঘাত আর টেলিফোনের শব্দ থেমে গেল। অনির্বাণ ভাবল, হয়তো আত্মাটা চলে গেছে। সে খুব সাবধানে দরজার দিকে এগিয়ে গেল। বাইরে কেউ নেই। প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা। সে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। ঠিক সেই মুহূর্তে তার ঠিক পেছনে একটা ঠান্ডা নিশ্বাস পড়ল। একটা ফিসফিসে কণ্ঠস্বর বলল, "আমার ট্রেনটা কি আসবে?" অনির্বাণ পাথরের মতো জমে গেল। সে ধীরে ধীরে পেছনে ঘুরতেই দেখল, মহিলাটি তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে আছে। তার চোখ দুটো আগুনের মতো জ্বলছে। অনির্বাণ আর কিছু ভাবার সুযোগ পেল না। সে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে স্টেশন থেকে দৌড় দিল। সে শুধু দৌড়াচ্ছিল, মাঠ-ঘাট পেরিয়ে, যতক্ষণ না গ্রামের প্রথম বাড়িটার আলো দেখতে পায়। পরদিন সকালে সে তার চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে সেই জায়গা ছেড়ে চলে যায়। পলাশপুর স্টেশনে এরপর আরও অনেক স্টেশন মাস্টার এসেছেন, কিন্তু কেউই বেশিদিন টিকতে পারেননি। শেষ ট্রেনের পর নাকি আজও এক নারী যাত্রীকে প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতে দেখা যায়, তার না আসা ট্রেনটির জন্য।
(সমাপ্ত)
#রহস্যময় গল্প 😱😱😱

Mir Abs Shawon
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟
HRIDOY Dhar
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟