প্রতি পূর্নিমার মধ্যরাতে একবার আকাশের দিকে তাকাই গৃহত্যাগী হবার মত জ্যোৎস্না কি উঠেছে? বালিকা ভুলানো জ্যোৎস্না নয়। যে জ্যোৎস্নায় বালিকারা ছাদের রেলিং ধরে ছুটাছুটি করতে করতে বলবে-ও মাগো, কি সুন্দর চাঁদ! নবদম্পতির জ্যোৎস্নাও নয়।

যে জ্যোৎস্না দেখে স্বামী গাঢ় স্বরে স্ত্রীকে বলবেন-দেখ দেখ নীতু চাঁদটা তোমার মুখের মতই সুন্দর! কাজলা দিদির স্যাঁতস্যাতে জ্যোৎস্না নয়। যে জ্যোৎস্না বাসি স্মৃতিপূর্ন ডাস্টবিন উল্টে দেয় আকাশে।

কবির জ্যোৎস্না নয়। যে জ্যোৎস্না দেখে কবি বলবেন-কি আশ্চর্য রূপার থালার মত চাঁদ!

আমি সিদ্ধার্থের মত গৃহত্যাগী জ্যোৎস্নার জন্য বসে আছি।

যে জ্যোৎস্না দেখামাত্র গৃহের সমস্ত দরজা খুলে যাবে-ঘরের ভেতরে ঢুকে পরবে বিস্তৃত প্রান্তর। প্রান্তরে হাঁটব, হাঁটব আর হাঁটব-পূর্নিমার চাঁদ স্থির হয়ে থাকবে মধ্য আকাশে। চারদিক থেকে বিবিধ কন্ঠ ডাকবে- আয় আয় আয়।

image