পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দ্বীপ রয়েছে সুইডেনে, যার মোট দ্বীপসংখ্যা ২,৬৭,৫৭০টি। এই বিপুল সংখ্যক দ্বীপের কারণে সুইডেনকে দ্বীপের দেশ বলা হয়। তবে এত দ্বীপের মধ্যে খুব অল্প কিছুতে মানুষের বসবাস আছে—প্রায় ১,০০০টির মতো দ্বীপে মানুষ বসবাস করে। বেশিরভাগ দ্বীপই ছোট, নির্জন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। সুইডেনের স্টকহোম আর্কিপেলাগো অন্যতম বিখ্যাত দ্বীপপুঞ্জ, যেখানে অসংখ্য দ্বীপ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এই বিপুল দ্বীপসংখ্যা সুইডেনকে বিশ্বে এক নম্বরে রেখেছে দ্বীপের দিক থেকে।
যদি কেউ সুইডেনের সবগুলো দ্বীপ (প্রায় ২,৬৭,৫৭০টি) ঘুরে দেখতে চায়, সেটা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব।কেউ যদি থেমে থেমে দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখে, তাহলে কমপক্ষে ১৫–২০ দিন দরকার হয়।যদি কেউ সুইডেনের সবগুলো দ্বীপ (প্রায় ২,৬৭,৫৭০টি) ঘুরে দেখতে চায়, সেটা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব। তবে একটা কল্পনাভিত্তিক ও গাণিতিক বিশ্লেষণ দিয়ে বোঝানো যায় এতে কত সময় লাগতে পারে।
ধরুন:
প্রতিদিন গড়ে আপনি ৫টি দ্বীপ ঘুরলেন (যাতায়াত, দেখা ও বিশ্রামসহ বাস্তবসম্মত গতি)।
তাহলে পুরো দ্বীপগুলো ঘুরে দেখতে সময় লাগবে:
> ২,৬৭,৫৭০ ÷ ৫ = ৫৩,৫১৪ দিন
অর্থাৎ প্রায় ১৪৬.৬ বছর! 😮
এমনকি আপনি যদি প্রতিদিন ১০টি দ্বীপও ঘুরে দেখেন, তবুও সময় লাগবে:
> ২,৬৭,৫৭০ ÷ ১০ = ২৬,৭৫৭ দিন = প্রায় ৭৩.৩ বছর
--২য় স্থান: ফিনল্যান্ড (Finland) – প্রায় ১,৭৮,০০০-এর বেশি দ্বীপ
--৩য় স্থান: নরওয়ে (Norway) – প্রায় ১,১৭,০০০-এর বেশি দ্বীপ!