১৯৯৬ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে আমেরিকান নিউক্লিয়ার বিজ্ঞানী এলি লোবেল ভয়ানক একটি টিক পোকার কামড়ে লাইম ডিজিজে আক্রান্ত হন। পরবর্তী ১৫ বছর তিনি হুইলচেয়ারে কাটান এবং জীবনের প্রতি সব আশা হারিয়ে ‘ইচ্ছামৃত্যু’ নিতে যান ক্যালিফোর্নিয়ার এক গ্রামে।
সেখানেই ঘটে এক বিস্ময়কর ঘটনা—এক ঝাঁক মৌমাছির হুলে আক্রান্ত হন তিনি। ছোটবেলায় মৌমাছির হুলে কোমায় যাওয়া এলির মনে হয়েছিল এবার বুঝি সব শেষ। কিন্তু উল্টো তাঁর শরীরে দেখা দেয় জ্বর ও ব্যথা, যা দেখায় যে শরীরের ভেতরের ব্যাকটেরিয়াগুলো মরতে শুরু করেছে (এই প্রতিক্রিয়াকে বলে Herxheimer Reaction)।
মাত্র তিন দিনের মধ্যেই এলির অবস্থার উন্নতি হতে থাকে—ব্যথা কমে, স্মৃতি ফিরে আসে, তিনি হাঁটতে শুরু করেন।
গবেষণায় জানা যায়, মৌমাছির বিষে থাকা Melittin নামের একটি উপাদান লাইম ডিজিজের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া (Borrelia burgdorferi) ধ্বংস করতে পারে। এরপর এলি নিজেই শুরু করেন অ্যাপিথেরাপি—প্রতিদিন কিছু মৌমাছির হুল প্রয়োগ করে নিজেকে চিকিৎসা করেন। কয়েক হাজার হুল নেওয়ার পর তিন বছরেই তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এখন তিনি মৌ-খামারে কাজ করেন এবং গবেষণা বলছে, মৌমাছির এই বিষ শুধু লাইম ডিজিজ নয়, এইচআইভি ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও কার্যকর হতে পারে।
Mir Abs Shawon
टिप्पणी हटाएं
क्या आप वाकई इस टिप्पणी को हटाना चाहते हैं?