ডায়েরির প্রথম মালিক (The First Owner of the Diary)
ডায়েরির পাতা থেকে: এই গল্পটি এমন এক ঐতিহাসিককে নিয়ে, যিনি এই "অলৌকিক ডায়েরি"র উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তিনি গবেষণা করে জানতে পারেন, এই ডায়েরির প্রথম মালিক ছিলেন ব্রিটিশ আমলের এক ডাক্তার, ডঃ অ্যালিস্টার মর্টন, যিনি মানুষের মৃত্যুর পরের অবস্থা এবং প্রেতাত্মার অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করতেন। তিনি শুধু গল্প সংগ্রহ করতেন না, বরং কালো জাদু, প্ল্যানচেট এবং ভয়ঙ্কর সব ритуаলের মাধ্যমে আত্মাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করতেন। ডায়েরির পাতায় পাতায় তিনি বিভিন্ন শক্তিশালী এবং ভয়ঙ্কর আত্মার বিবরণ এবং তাদের ডেকে আনার পদ্ধতি নিখুঁতভাবে লিখে রেখেছিলেন। ঐতিহাসিক আরও গভীরে গিয়ে জানতে পারেন, ডঃ মর্টন একসময় এমন এক শক্তিশালী এবং বিদ্বেষপরায়ণ সত্তাকে ডেকে আনেন, যাকে তিনি আর নিয়ন্ত্রণ করতে বা ফেরত পাঠাতে পারেননি। সেই সত্তাই তাকে হত্যা করে এবং ডায়েরিটিকে নিজের আশ্রয়স্থল বা প্রবেশদ্বার বানায়। ডায়েরির শেষ কয়েকটি পাতা ছেঁড়া। ঐতিহাসিক যখন তার গবেষণা শেষ করে রাতে ঘুমাতে যান, তখন তিনি তার টেবিলের ওপর রাখা ডায়েরিটি নিজে থেকে খুলে যেতে দেখেন। একটি অদৃশ্য হাত সেই ছেঁড়া পাতাগুলোর জায়গায় নতুন করে লিখতে শুরু করে। নতুন গল্পের শিরোনাম: "যে গবেষক বড্ড বেশি জেনে ফেলেছিল"।
#thecurseddiary #hauntedbook #metahorror #thefinalchapter #oloukikdiary