3 ш ·перевести

মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল এক অসাধারণ যাত্রা, যা মানবজাতির জন্য জ্ঞান, করুণা এবং ন্যায়বিচারের এক চিরন্তন উৎস। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
​জন্ম ও শৈশবকাল
​৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ গোত্রে মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ তাঁর জন্মের আগেই মারা যান। তাই তাঁর নামকরণ করেন দাদা আব্দুল মুত্তালিব। ছয় বছর বয়সে তিনি তাঁর মা আমিনা-কেও হারান। এরপর তাঁর দাদা এবং পরে চাচা আবু তালিবের তত্ত্বাবধানে তিনি বড় হন। এতিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন সৎ ও বিশ্বস্ত, যার কারণে মক্কার মানুষ তাঁকে "আল-আমিন" (বিশ্বস্ত) উপাধি দিয়েছিল।
​নবুয়ত লাভ ও ইসলাম প্রচার
​মুহাম্মদ (সা.)-এর ৪০ বছর বয়সে, তিনি মক্কার হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকাকালীন ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রথম ওহী নিয়ে আসেন। এর মাধ্যমে তিনি নবুয়ত লাভ করেন এবং মানবজাতিকে এক আল্লাহর ইবাদতের দিকে ডাকার দায়িত্ব পান।
​প্রথমে তিনি গোপনে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। তাঁর প্রথম অনুসারীরা ছিলেন স্ত্রী খাদিজা (রা.), বন্ধু আবু বকর (রা.), এবং চাচাতো ভাই আলী (রা.)। তিন বছর পর তিনি প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করলে মক্কার কুরাইশরা তাঁর বিরুদ্ধে চলে যায়। তারা তাঁর অনুসারীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এই দুঃসময়েও তিনি ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন।
​হিজরত ও মদিনায় জীবন
​কুরাইশদের অত্যাচার যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন আল্লাহর নির্দেশে ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ (সা.) মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন। এই হিজরতের ঘটনা মুসলিমদের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে এবং এখান থেকেই হিজরি সনের গণনা শুরু হয়।
​মদিনায় তিনি একটি আদর্শ মুসলিম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি মদিনা সনদ নামে একটি চুক্তি তৈরি করেন, যা ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান। এর মাধ্যমে মুসলিম, ইহুদি এবং অন্যান্য গোত্রগুলো শান্তিপূর্ণভাবে coexist করতে শুরু করে। তিনি মসজিদে নববী প্রতিষ্ঠা করেন, যা শুধু ইবাদতের কেন্দ্র ছিল না, বরং একটি সামাজিক, রাজনৈতিক এবং শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করত।
​যুদ্ধ ও বিজয়
​ইসলামের বিরুদ্ধে কুরাইশদের শত্রুতা চলতে থাকে এবং এর ফলস্বরূপ বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধ ছিল ইসলামের প্রথম বড় বিজয়, যেখানে মুসলিমরা সংখ্যায় কম হওয়া সত্ত্বেও আল্লাহ্‌র সাহায্যে জয়লাভ করে। এরপর উহুদ এবং খন্দকের মতো আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ হয়।
​৬৩০ খ্রিস্টাব্দে, তিনি দশ হাজার সাহাবীকে নিয়ে মক্কা বিজয় করেন। এই বিজয় ছিল অসাধারণ, কারণ তিনি প্রতিশোধের বদলে মক্কার সকল অধিবাসীকে ক্ষমা করে দেন। তিনি কাবা শরিফ থেকে সব মূর্তি সরিয়ে দিয়ে ইসলামের পবিত্রতা পুনরুদ্ধার করেন।
​বিদায় হজ্জ ও ইন্তেকাল
​মক্কা বিজয়ের পর ইসলাম পুরো আরব উপদ্বীপে ছড়িয়ে পড়ে। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিদায় হজ্জ সম্পন্ন করেন এবং সেখানে তিনি তাঁর বিখ্যাত ভাষণ দেন। এই ভাষণে তিনি মানবজাতির প্রতি করুণা, সাম্য ও ন্যায়ের এক চিরন্তন বার্তা রেখে যান।
​এরপর তিনি মদিনায় ফিরে আসেন এবং ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ইসলাম সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাঁর রেখে যাওয়া শিক্ষা আজও কোটি কোটি মানুষের জীবনকে আলোকিত করে চলেছে। মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ছিল এক পরিপূর্ণ আদর্শ, যা মানবজাতিকে সৎ, সাহসী এবং দয়ালু হওয়ার শিক্ষা দেয়।

2 часы ·перевести
✨🌸…!🖤🥀
-স্বার্থ যেখানে শেষ,
– বদনাম সেখান থেকে শুরু…!! 🙂🥀
🖤•─┼┼•🖤
000●━━━━━━━━━━━━● 042
⇆ㅤㅤㅤㅤ. ◁ㅤㅤ❚❚ㅤㅤ▷ㅤㅤㅤㅤ↻
3 часы ·перевести

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

6 часы ·перевести

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

6 часы ·перевести

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

6 часы ·перевести

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।