জীবনী | #আবু বকর রা
জীবনী | #আবু বকর রা
নবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইসলামের সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তিনি মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সর্বশেষ বার্তাবাহক। নিচে তাঁর জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:
---
🌟 হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জীবনীসংক্ষেপ:
পূর্ণ নাম: মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ (সঃ)
জন্ম: ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ, মক্কা (আরব উপদ্বীপে), এই বছরকে বলা হয় "আমুল ফীল" বা হাতির বছর।
পিতা: আব্দুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব
মাতা: আমিনা বিনতে ওহাব
পিতৃবিয়োগ: জন্মের আগেই
মাতৃবিয়োগ: ৬ বছর বয়সে
দাদার তত্ত্বাবধানে: ৬–৮ বছর বয়স পর্যন্ত
চাচা আবু তালিবের কাছে বড় হওয়া
🎉 ৫০০০ ফলোয়ার পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ উপহার! 🎉
আলহামদুলিল্লাহ! আপনাদের ভালোবাসা ও সাথের জন্য আমরা আজ ৫০০০ ফলোয়ারের মাইলফলকে পৌঁছেছি।
এই খুশির মুহূর্তে আমাদের পক্ষ থেকে একজনকে উপহার হিসেবে দেওয়া হবে সাবরের একটি ঘড়ি
🎁 কে পাবেন এই উপহার?
এর জন্য আমরা আয়োজন করছি একটি ছোট্ট কুইজ প্রতিযোগিতা। সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে একজনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
আমাদের প্রশ্ন টি হলো :
👉 রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সর্ব প্রথম ইসলামি পদ্ধতিতে কে সালাম দিয়েছিলেন ।
ক) খাদিজা রা.
খ) আবু বকর রা.
গ) আবু যর গিফারী রা.
ঘ) আলি রা.
📌 উত্তর দেওয়ার শেষ সময়: ৯আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
📌 উত্তর দিতে হবে কমেন্টে এবং আমাদের পেজ ফলো করতে হবে এবং নিজেদের টাইমলাইনে শেয়ার করতে হবে
📌 বিজয়ীর নাম ঘোষণা: ১০ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
⏳ সময় শেষ হওয়ার আগেই অংশগ্রহণ করুন। এটা শুধুই আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।
ভবিষ্যতেও এমন আরও আয়োজন থাকবে, ইনশাআল্লাহ!
#৫০০০ফলোয়ার
#কুইজপ্রতিযোগিতা
#উপহার
#ঘড়ি
#boikarvan
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন ইসলামের এক মহান সাহাবী, যিনি তাঁর জ্ঞান, ইবাদত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ছিল ইসলামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
উপাধি/কুনিয়াত: আবু আব্দুর রহমান।
বংশ: বনু হুজাইল।
ইসলাম গ্রহণ: প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম।
বিশেষত্ব: তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ এবং শ্রেষ্ঠ কারীদের মধ্যে একজন।
ইসলাম গ্রহণ ও প্রাথমিক জীবন
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) মক্কার একজন রাখাল ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি খুবই শিক্ষণীয়। একদিন তিনি মক্কায় উট চরাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা ইবনে মাসউদকে দুধের জন্য একটি বকরির কথা বলেন। ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন যে, এটি তার মালিকের সম্পত্তি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি ছোট বকরি চেয়ে নিলেন যা তখনও দুধ দিতে শেখেনি। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর নামে সেটির ওলানে হাত বুলাতেই সেটি দুধে ভরে গেল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে ইবনে মাসউদ (রা.) তাৎক্ষণিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য ও সেবা
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খুবই ঘনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। রাসূল (সা.) যখন সফরে যেতেন, ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বিছানা, মেসওয়াক, জুতা ইত্যাদি বহন করতেন। এমনকি তাঁকে 'সাহিবুল নালাইন' (জুতাবাহী) উপাধিতে ডাকা হতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই দেখতেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান
ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন কুরআনের একজন শ্রেষ্ঠ ক্বারী ও জ্ঞানী। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিজে কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি রাসূল (সা.)-এর মুখ থেকে ৭০টিরও বেশি সূরা মুখস্থ করেছিলেন। রাসূল (সা.) একবার বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি কুরআনকে তাজা অবস্থায় পড়তে চায়, সে যেন ইবনে উম্মে আবদ (ইবনে মাসউদ)-এর কিরাত অনুযায়ী পড়ে।" তিনি অসংখ্য হাদিসের বর্ণনাকারীও ছিলেন এবং ফিকাহ শাস্ত্রেও তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
ইবাদত ও বিনয়
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অত্যন্ত বিনয়ী ও পরহেজগার ছিলেন। তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং রাতের বেলায় নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাতেন। তাঁর বিনয় এতটাই ছিল যে, তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিমের চেয়ে বেশি মনে করতেন না।
জিহাদে অংশগ্রহণ
তিনি বদর, উহুদ, খন্দক সহ প্রায় সকল যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। বদর যুদ্ধে তিনি আবু জাহেলকে হত্যা করে ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
মৃত্যু
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ৩৩ হিজরীতে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজ হযরত উসমান (রা.) পড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর জ্ঞান, ইবাদত, বিনয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর জীবন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন ইসলামের এক মহান সাহাবী, যিনি তাঁর জ্ঞান, ইবাদত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ছিল ইসলামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
উপাধি/কুনিয়াত: আবু আব্দুর রহমান।
বংশ: বনু হুজাইল।
ইসলাম গ্রহণ: প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম।
বিশেষত্ব: তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ এবং শ্রেষ্ঠ কারীদের মধ্যে একজন।
ইসলাম গ্রহণ ও প্রাথমিক জীবন
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) মক্কার একজন রাখাল ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি খুবই শিক্ষণীয়। একদিন তিনি মক্কায় উট চরাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা ইবনে মাসউদকে দুধের জন্য একটি বকরির কথা বলেন। ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন যে, এটি তার মালিকের সম্পত্তি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি ছোট বকরি চেয়ে নিলেন যা তখনও দুধ দিতে শেখেনি। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর নামে সেটির ওলানে হাত বুলাতেই সেটি দুধে ভরে গেল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে ইবনে মাসউদ (রা.) তাৎক্ষণিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য ও সেবা
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খুবই ঘনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। রাসূল (সা.) যখন সফরে যেতেন, ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বিছানা, মেসওয়াক, জুতা ইত্যাদি বহন করতেন। এমনকি তাঁকে 'সাহিবুল নালাইন' (জুতাবাহী) উপাধিতে ডাকা হতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই দেখতেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান
ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন কুরআনের একজন শ্রেষ্ঠ ক্বারী ও জ্ঞানী। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিজে কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি রাসূল (সা.)-এর মুখ থেকে ৭০টিরও বেশি সূরা মুখস্থ করেছিলেন। রাসূল (সা.) একবার বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি কুরআনকে তাজা অবস্থায় পড়তে চায়, সে যেন ইবনে উম্মে আবদ (ইবনে মাসউদ)-এর কিরাত অনুযায়ী পড়ে।" তিনি অসংখ্য হাদিসের বর্ণনাকারীও ছিলেন এবং ফিকাহ শাস্ত্রেও তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
ইবাদত ও বিনয়
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অত্যন্ত বিনয়ী ও পরহেজগার ছিলেন। তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং রাতের বেলায় নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাতেন। তাঁর বিনয় এতটাই ছিল যে, তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিমের চেয়ে বেশি মনে করতেন না।
জিহাদে অংশগ্রহণ
তিনি বদর, উহুদ, খন্দক সহ প্রায় সকল যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। বদর যুদ্ধে তিনি আবু জাহেলকে হত্যা করে ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
মৃত্যু
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ৩৩ হিজরীতে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজ হযরত উসমান (রা.) পড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর জ্ঞান, ইবাদত, বিনয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর জীবন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।
হযরত আলী (রাঃ) এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তিনি ছিলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর চাচাতো ভাই ও জামাতা। তাঁর জীবনীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক এখানে তুলে ধরা হলো।
প্রাথমিক জীবন ও ইসলাম গ্রহণ
হযরত আলী (রাঃ) প্রায় ৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মহানবী (সাঃ)-এর চাচা আবু তালিবের সন্তান। মহানবী (সাঃ) ছোটবেলায় তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন এবং লালন-পালন করেন। যখন মহানবী (সাঃ) নবুয়ত প্রাপ্ত হন, তখন হযরত আলী (রাঃ) বালক বয়সেই ইসলাম গ্রহণ করেন। বলা হয়ে থাকে, তিনি ছিলেন পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী।
মহানবী (সাঃ)-এর সঙ্গে সম্পর্ক
হযরত আলী (রাঃ) সবসময় মহানবী (সাঃ)-এর সঙ্গে ছিলেন। মদিনায় হিজরতের রাতে মহানবী (সাঃ)-এর বিছানায় শুয়ে থাকার ঘটনাটি তাঁর জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সাহসিকতার পরিচয় বহন করে। এটি তাঁকে মহানবী (সাঃ)-এর প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের প্রমাণ দেয়। তিনি মহানবী (সাঃ)-এর কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ)-কে বিবাহ করেন এবং তাঁদের ঘরে হযরত হাসান (রাঃ) ও হযরত হুসাইন (রাঃ) জন্মগ্রহণ করেন।
খিলাফত ও শাসনকাল
হযরত উসমান (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর ৬৫৬ খ্রিস্টাব্দে হযরত আলী (রাঃ) খলিফা নির্বাচিত হন। তাঁর খিলাফতের সময়কাল ছিল প্রায় পাঁচ বছর। এই সময় মুসলিম বিশ্বে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল।
উটের যুদ্ধ: তাঁর খিলাফতের শুরুর দিকেই একটি বড় যুদ্ধ সংঘটিত হয়, যা 'উটের যুদ্ধ' নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে হযরত আয়েশা (রাঃ) এবং তাঁর অনুসারীদের সাথে হযরত আলী (রাঃ)-এর বাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সিফফিনের যুদ্ধ: মুয়াবিয়া (রাঃ) হযরত উসমান (রাঃ)-এর হত্যার বিচার চেয়েছিলেন এবং হযরত আলী (রাঃ)-এর নেতৃত্বের বিরোধিতা করেন। এর ফলে ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিফফিনের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে কোনো পক্ষই চূড়ান্ত জয় লাভ করতে পারেনি।
খারিজিদের উত্থান: সিফফিনের যুদ্ধের পর, যে সকল অনুসারী হযরত আলী (রাঃ)-এর সালিসের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছিলেন না, তারা আলাদা হয়ে 'খারিজি' নামে একটি নতুন দল গঠন করে।
শাহাদাত
হযরত আলী (রাঃ)-এর খিলাফতের শেষ দিকে খারিজিদের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। ৬১ বছর বয়সে ৪০ হিজরীর ১৭ই রমজান (৬৬১ খ্রিস্টাব্দ), কুফার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করার সময় আবদুর রহমান ইবনে মুলজাম নামের এক খারিজি তাঁকে বিষমাখা তলোয়ার দিয়ে আঘাত করে। দুই দিন পর তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
হযরত আলী (রাঃ) তাঁর জ্ঞান, সাহস, ন্যায়বিচার এবং ইসলামি জ্ঞান ও প্রজ্ঞার জন্য ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।