লজ্জা পতি গাছকে লজ্জা দেই
লজ্জা পতি গাছকে লজ্জা দেই
আমি যখন হেঁটে যাই গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ ধরে, পথের ধারে ছোট্ট এক গাছ — লজ্জাবতী, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তার পাতায় হাত ছুঁইলেই সে যেন লজ্জায় গুটিয়ে নেয় নিজেকে, যেন বলে — “তুমি কেন আমার এত কাছে এসেছো?” কিন্তু আমি তো আর সে সাধারণ পথিক নই। আমার উপস্থিতি, আমার চাহনি, আমার ভাবনার গতি — সবকিছুতেই আছে একধরনের প্রশ্ন, একধরনের সাহস।
আমি তাকাই আকাশের দিকে, কথা বলি বাতাসের সাথে, আর ভাবি — আমি কি এতটাই স্পষ্ট, সাহসী, স্পর্শকাতর, যে লজ্জাবতীকেও লজ্জা দিতে পারি? হয়তো আমি কোনো শব্দ উচ্চারণ না করেই বুঝিয়ে দিই এমন কিছু, যা সে নিজেও বোঝে না। সে শুধু সরে যায়, গুটিয়ে নেয় নিজের অস্তিত্ব।
আমার চেয়ে বেশি লজ্জা যে তারই লাগে। সে গাছ হয়ে থেকেও মানুষের মত অনুভব করে। আর আমি মানুষ হয়েও গাছের স্পর্শে থেমে যাই।
এই খেলার নাম জীবন। এখানে কখনো গাছও লাজুক হয়, মানুষও হয়ে ওঠে স্পর্শে পাতা-গুটানো। তাই তো বলি — লজ্জা পতি গাছকে লজ্জা দেই, কারণ আমি শুধু ছুঁই না, অনুভব করি। আর এই অনুভবেই হয়তো লুকিয়ে থাকে এক অনন্য সাহস — যে সাহসে প্রকৃতিও মুখ লুকায়।
#nature
#34
বাসায় কেউ নেই।
বউ বাচ্চা সব বেড়াতে গেছে। আমি চাকরির খাতিতে যেতে পারি নি। বউ রান্না করে রেখে গেছে। আমি ফ্রিজ থেকে খাবার গরম করে খেয়ে নিই। রাত এগারোটা বেজে গেছে। কম্পিউটারে মেইল চেক করে ঘুমাতে গেলাম। আমার ঘুমের কোনো সমস্যা নাই। মুহুর্তের মধ্যে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। হঠাত তীব্র বেলী ফুলের ঘ্রানে ঘুম ভেঙ্গে গেল। কয়টা বাজে জানি না। তবে আনুমানিক রাত তিনটা হবে হয়তো। মনে হচ্ছে ঘরে কেউ একজন আছে। সে হাঁটছে। তার হাতের কাঁচের চুড়ির শব্দ পাচ্ছি। মেয়েটা হয়তো চুলে বেলী ফুলের মালা পড়েছে। আমি যে লাইট জালিয়ে দেখব ঘটনা কি, সেই সাহস পাচ্ছি না। ভয়ে আমার হাত পা কাপছে।
আমি বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে রেখেছি।
কিন্তু খুব বুঝতে পারলাম মেয়েটা আমার মাথার কাছে বসেছে। আমার মাথার উপর থেকে বালিশটা সরিয়ে দিলো। মেয়েটা এক আকাশ ভালোবাসা নিয়ে আমার মাথায় হাত রাখলো। স্পর্শে বুঝলাম মেয়েটা ভালোবাসা নিয়ে মাথায় হাত রেখেছে। আমি গভীর ঘুমের ভাব ধরে মটকা মেরে আছি।
খুব ভোরে ঘুম ভাঙ্গলো। মনে মনে ভাবছি রাতের স্বপ্নটা বেশ সুন্দর ছিলো। ঘরে কেউ নেই অথচ বেলী ফুলের গন্ধ ঠিকই আছে। বেলী ফুলের গন্ধটা আমার ভীষন প্রিয়। বিছানা থেকে নামার সময় দেখি- আমার বালিশের পাশে দু'টা বেলী ফুলের মালা পড়ে আছে।
#33
এক লোক খুব বিরক্ত।
তার খুব শখ ভূত দেখবে। সারারাত, কবরস্থান, বনে জঙ্গলে ঘুরেও সে ভূতের দেখা পায় নি। এই নিয়ে তার দুঃখের শেষ নেই। সে চায় ভূত দেখে এমন ভয় পাবে যে- ভয়ের চোটে কাঁপতে কাঁপতে তার জ্বর এসে যাবে। কলিজা কেঁপে উঠবে। যাই হোক, ভূতের দেখা না পেয়ে সেই লোক ভূতের বই আর ভূতের মুভি দেখা শুরু করলো। ভূতের বই এবং মুভি দেখে তার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যায়। প্রচন্ড ভূতের বই আর মুভি দেখে তার হাসি পায়।
লোকটির বাসার সামনেই একটা কবরস্থান।
একদিন রাতে ভূতের মুভি দেখে তার মেজাজ খুব খারাপ হলো। মেজাজ খারাপ ঠিক করার জন্য সে কবরস্থানে গেলো। চিৎকার করে বলল, হে ভূত আমাকে দেখা দাও। মৃত্যুর আগে আমি ভূত দেখে মরতে চাই। প্লীজ আসো। আসো। জোছনা রাত ছিলো সেদিন। হঠাত বিশাল এক খন্ড মেঘ এসে চাদটা ঢেকে দিলো। চারপাশ মুহুর্তের মধ্যে অন্ধকার হয়ে গেল। হঠাত চারিদিকে খুব বাতাস বইতে শুরু করলো। গাছের আড়ালে লোকটা হয়তো কিছু একটা দেখেছে। তারপর লোকটার মৃত্যু হয়।
#32
রাত একটা।
বাইরে বেশ ঝড় তুফান হচ্ছে। তীব্র বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়। ধূম ধূম বাজ পড়ছে। মনে হচ্ছে সারা শহর আজ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি দরজা জানালা বন্ধ করে কুন্ডুলী পাকিয়ে বিছানায় শুয়ে আছি। আজ বাসায় কেউ নেই। আমি একা। ঘুমাতে চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই ঘুম আসছে না। এমন সময় শুনতে পেলাম দরজায় কে যেন নক করছে।
এত রাতে কে এলো? তাও এই ঝড় তুফানের রাতে। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, কে? কে? কোনো সাড়া শব্দ পেলাম না। কিন্তু আবার দরজায় খট খট শব্দ। মেজাজ খুব খারাপ হলো। দরজা খুললাম। দরজা খুলে আমি প্রচন্ড অবাক! রফিক এসেছে। আমার বাল্য বন্ধু। স্কুল কলেজে আমরা একসাথে পড়েছি। রফিককে দেখে আমি সীমাহীন ভয় পেলাম। আমার মাথা কাজ করছে না। সমস্যা হলো রফিক আজ থেকে তিন বছর আগে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে।
#31
অচেনা কণ্ঠস্বর: রাতের বেলা জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলা এক পথিক অচেনা কণ্ঠস্বর শুনতে পায়, যা তাকে ভুল পথে চালিত করে।
১৪. মৃত ব্যক্তির চিঠি: এক ব্যক্তি তার মৃত বাবার চিঠি খুঁজে পায়, যা পড়ার পর সে জানতে পারে তার বাবার মৃত্যুরহস্য এবং বাবার আত্মার উপস্থিতি অনুভব করে।
১৫. ভূতুড়ে মন্দির: পুরনো একটি মন্দিরে প্রবেশ করার পর একদল লোক দেখতে পায়, সেখানকার দেব-দেবীর মূর্তিগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে এবং তারা তাদের দিকে এগিয়ে আসছে।
১৬. অন্ধকারের হাত: রাতের বেলা রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ কেউ পেছন থেকে হাত ধরে, কিন্তু তাকিয়ে কাউকে দেখা যায় না।
১৭. প্রাচীন প্রতিমা: পুরনো একটি জমিদার বাড়িতে থাকা প্রাচীন প্রতিমা রাতে নড়াচড়া করতে শুরু করে এবং অদ্ভুত শব্দ করতে থাকে।
১৮. অজানা আততায়ী: রাতের বেলা একাকী বাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি অজানা আততায়ীর উপস্থিতি টের পায়, যে তাকে মারতে উদ্যত হয়।
১৯. অদৃশ্য শক্তি: পুরনো একটি বাড়িতে বসবাসকারী একটি পরিবার অদৃশ্য শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়, যারা তাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
২০. অচেনা সুর: গভীর রাতে গ্রামের পুকুর পাড়ে বসে থাকা এক যুবক অচেনা সুর শুনতে পায়, যা তাকে ধীরে ধীরে পুকুরের দিকে টানতে থাকে।
Tanzia Islam
Yorum Sil
Bu yorumu silmek istediğinizden emin misiniz?