46 i ·Översätt

🥰😚🌺🕋“সত্য হল ইলাহী আলোকের প্রকাশ।” – সুহর◁━━━━◈🌸◈━━━━▷

১/১. আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি কীভাবে ওয়াহী শুরু হয়েছিল।

وَقَوْلُ اللهِ جَلَّ ذِكْرُهُ (إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِ­­هِ)

এ মর্মে আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ’’নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সেরূপ ওয়াহী প্রেরণ করেছি যেরূপ নূহ ও তাঁর পরবর্তী নবীদের (নবীদের) প্রতি ওয়াহী প্রেরণ করেছিলাম।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/১৬৩)

১. ’আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।] (৫৪, ২৫২৯, ৩৮৯৮, ৫০৭০, ৬৬৮৯, ৬৯৫৩; মুসলিম ২৩/৪৫ হাঃ ১৯০৭, আহমাদ ১৬৮) ( আধুনিক প্রকাশনী- ১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১)

শারী‘আহ্‌র মূল উৎস হচ্ছে ওয়াহী। ওয়াহী দু’ প্রকার। ওয়াহী মাতলু (আল-কুরআন) ও ওয়াহী গাইরে মাতলু (সুন্নাহ ও হাদীস)। এবং দ্বীনে ইলাহীর ভিত্তি শুধুমাত্র দু’টি জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত। ইজমা‘ ও কিয়াস কোন শার‘ঈ দলীল নয়। বরং যে কিয়াস এবং ইজমা‘ ওয়াহীর পক্ষে অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহ মুতাবিক হবে তা গ্রহণযোগ্য এবং যেটা বিপক্ষে যাবে সেটা পরিত্যাজ্য ও অগ্রহণযোগ্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلاً) (النساء:৫৯) (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَلا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ) (محمد:৩৩) কিন্তু বাতিল ফির্কার লোকেরা ইজমা‘ ও কিয়াসকে ওয়াহীর আসনে বসিয়েছে এবং বলে থাকেঃ শারী‘আহ্‌র ভিত্তি চারটি বিষয়ের উপর। কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা‘ ও কিয়াস। বড় আশ্চর্যের বিষয় এই যে, সহাবায়ে কেরাম যাদের উপর আল্লাহ তা‘আলা তার সন্তুষ্টির ঘোষণা দিয়েছেন, তাদেরকে সত্যবাদী বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং মুসলিম উম্মাহ এ ব্যাপারে সকলেই একমত। অথচ তারা সহাবায়ে কেরামকে দু’ ভাগে ভাগ করেছেন। (১) ফকীহ (২) গাইরে ফকীহ। আর বলেছেন যে সকল সাহাবী ফকীহ ছিলেন তারা যদি কিয়াসের বিপরীতে হাদীস বর্ণনা করেন তবে তা গ্রহণযোগ্য কিন্তু যে সকল সাহাবী গাইরে ফকীহ অর্থাৎ ফকীহ নন তাঁরা যদি কিয়াসের খেলাফ হাদীস বর্ণনা করেন তাহলে তা গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। প্রকৃতপক্ষে এটা উম্মাতে মুহাম্মাদিয়াহকে সিরাতে মুস্তাকীমের পথ হতে সরিয়ে দেয়ার একটা বড় অস্ত্র এবং পরিকল্পনা। কেননা তাঁরা কিয়াসকে মূল এবং হাদীসকে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছেন। সকল সাহাবীর উপর আল্লাহ তা‘আলা সন্তুষ্ট কিন্তু তারা খুশী নন। সকল সাহাবীর ব্যাপারে উম্মাতের ঐকমত্য রয়েছে। কিন্তু তাদের নিকট গাইরে ফকীহ সাহাবীগণ ‘আদিল নন। ধোঁকাবাজীর কিছু নমুনাঃ তারা বলেন, ফকীহ সাহাবীগণ কিয়াসের খেলাফ হাদীস বর্ণনা করলে তা গ্রহণীয় হবে। কিন্তু গাইরে ফকীহ সাহাবীগণ কিয়াসের খেলাফ হাদীস বর্ণনা করলে তা বাতিল হয়ে যাবে এবং কিয়াসের উপর ‘আমল করতে হবে। বাই‘য়ি মুসারাহ এর হাদীস আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত এবং তা কিয়াসের খেলাফ। এই জন্য তা বাতিল। এবং কিয়াসের উপর ‘আমলযোগ্য। অথচ এই হাদীস ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.) হতেও বর্ণিত হয়েছে। (দেখুন সহীহ বুখারী ২৮৮ পৃষ্ঠা রশিদিয়া ছাপা) হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=21864

8 i ·Översätt

আলো হলো এমন এক প্রকার শক্তি যা আমাদের দেখতে সাহায্য করে। এটি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের একটি রূপ, যা মানুষের চোখে দৃশ্যমান। সূর্য হলো প্রাকৃতিক আলোর প্রধান উৎস। এছাড়া আগুন, বিদ্যুৎ, মোমবাতি, এবং বিভিন্ন লাইট থেকে কৃত্রিম আলো উৎপন্ন হয়। আলো সোজা পথে চলে এবং প্রতিবিম্ব, প্রতিসরণ ও বিচ্ছুরণের মাধ্যমে বিভিন্ন গুণ প্রকাশ করে। গাছপালা আলোর মাধ্যমে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করে। মানুষ আলোর ব্যবহার করে ঘর আলোকিত করে, ছবি তোলে, চিকিৎসায় ব্যবহার করে এবং নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আলোকে কাজে লাগায়। বর্তমানে লেজার আলো, ফাইবার অপটিক্স ও সৌরশক্তিতে আলোর ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। আলো জীবনধারার অপরিহার্য অংশ।

আরও বিস্তারিত জানাতে চাইলে আমি আলোকের বৈজ্ঞানিক দিক বা আধুনিক প্রযুক্তিতে আলোর ব্যবহার নিয়ে সহায়তা করতে পারি।

10 i ·Översätt

শারী‘আহ্‌র মূল উৎস হচ্ছে ওয়াহী। ওয়াহী দু’ প্রকার। ওয়াহী মাতলু (আল-কুরআন) ও ওয়াহী গাইরে মাতলু (সুন্নাহ ও হাদীস)। এবং দ্বীনে ইলাহীর ভিত্তি শুধুমাত্র দু’টি জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত। ইজমা‘ ও কিয়াস কোন শার‘ঈ দলীল নয়। বরং যে কিয়াস এবং ইজমা‘ ওয়াহীর পক্ষে অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহ মুতাবিক হবে তা গ্রহণযোগ্য এবং যেটা বিপক্ষে যাবে সেটা পরিত্যাজ্য ও অগ্রহণযোগ্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ

11 i ·Översätt

শারী‘আহ্‌র মূল উৎস হচ্ছে ওয়াহী। ওয়াহী দু’ প্রকার। ওয়াহী মাতলু (আল-কুরআন) ও ওয়াহী গাইরে মাতলু (সুন্নাহ ও হাদীস)। এবং দ্বীনে ইলাহীর ভিত্তি শুধুমাত্র দু’টি জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত। ইজমা‘ ও কিয়াস কোন শার‘ঈ দলীল নয়। বরং যে কিয়াস এবং ইজমা‘ ওয়াহীর পক্ষে অর্থাৎ কুরআন ও সুন্নাহ মুতাবিক হবে তা গ্রহণযোগ্য এবং যেটা বিপক্ষে যাবে সেটা পরিত্যাজ্য ও অগ্রহণযোগ্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ

12 i ·Översätt

১১.

ইহসান ইলাহী যহীর ও ভণ্ড ছূফীর কেরামতি
আহলেহাদীছ আন্দোলনের নির্ভীক সেনানী আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীর বাতিল ফিরকাগুলোর কেন্দ্রে ও তাদের মাহফিলে গিয়ে মুনাযারা করতেন নির্ভয়ে-নিঃশঙ্কচিত্তে। ১৯৬৫ সালে ইরাকের সামারায় এক রেফাঈ ছুফী নেতার সাথে তাঁর মুনাযারা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ ছুফী নেতার দাবী ছিল, সে কারামতের অধিকারী। অস্ত্র তার কোন ক্ষতি করতে পারে না। আল্লামা যহীর এর প্রত্যুত্তরে বিতর্কসভায় বলেছিলেন, যদি অস্ত্র, বর্ণা ও চাকু আপনাদের কোন ক্ষতি করতে না পারে, তাহলে আপনারা কেন যুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ হন না? গুলি ও অন্যান্য মারণাস্ত্র যাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না, সেসব লোকের ইরাকের বড্ড প্রয়োজন। তিনি সেখানে ঐ রেফাঈ ছুফী নেতাকে দ্ব্যর্থহীনকণ্ঠে বলেছিলেন, আপনি আমার হাতে একটা রিভলভার দিন। আমি গুলী ছুঁড়ে দেখিয়ে দিচ্ছি, ওটা আপনার কোন ক্ষতি করতে পারে কি-না। একথা বলার পর ঐ ভণ্ড ছুফী পালাতে দিশা পায়নি (দিরাসাত ফিত-তাছাওউফ, পৃঃ ২৩২)।

শিক্ষা: ভণ্ড ডুফীরা শয়তানী ক্ষমতার অধিকারী হয়ে নিজেদের অনেক বড় কিছু হিসাবে পরিচয় দেয় এবং অজ্ঞ মানুষকে প্রতারিত করতে চায়। বস্তুতঃ তাদের কূটচক্র তাসের ঘরের চেয়েও দুর্বল। কেবল আল্লাহর উপর ভরসাহীন মূর্খরাই এদের প্রতারণার শিকার হয়।