46 i ·Oversætte

🌸🦋•🖤╭₊˚🕊️༘🌿“নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলরা সফলকাম।” (সূরা আল-বাকারা)🍃🌸𓂃𓈒𓏸𓈒𓂃𓏸𓈒

4 i ·Oversætte

আমরা কেন পৃথিবীতে এসেছি?
​কুরআন ও হাদিসের আলোকে, মানুষের পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত বা উপাসনা করা। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, “আমি জিন ও মানুষকে শুধু আমার ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছি।” (সূরা আয-যারিয়াত, আয়াত ৫৬)।
​এই ইবাদতের অর্থ শুধু নামাজ, রোজা, হজ বা যাকাতের মতো আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়। বরং জীবনের প্রতিটি কাজ যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়, তাহলে তা ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়। যেমন—সৎ পথে জীবিকা উপার্জন, বাবা-মায়ের সেবা করা, প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা, জ্ঞান অর্জন, এমনকি ঘুমও যদি আল্লাহর ওপর ভরসা করে হয়, তবে তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
​এই জীবন মূলত একটি পরীক্ষা। আল্লাহ আমাদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে, আমরা তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলছি কি না। এর ওপর ভিত্তি করেই আমাদের পরকালের জীবন নির্ধারিত হবে।
​পৃথিবীতে এসে আমরা কী করছি?
​একজন মুসলিম হিসেবে পৃথিবীতে আমাদের প্রধান কাজগুলো হলো:
​আল্লাহর আনুগত্য করা: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আদেশ মেনে চলা এবং তার প্রেরিত নবী-রাসূলদের দেখানো পথে চলা।
​সৎ কাজ করা: নেক আমল বা ভালো কাজ করা, যেমন—যাকাত দেওয়া, গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা, সত্য কথা বলা এবং মানুষের প্রতি দয়া করা।
​অসৎ কাজ থেকে দূরে থাকা: শিরক (আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা), মিথ্যা কথা বলা, চুরি, সুদ, ঘুষ এবং অন্যান্য গুনাহের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
​দ্বীনের দাওয়াত: নিজে ভালো কাজ করার পাশাপাশি অন্যকেও ইসলামের পথে আহ্বান করা।
​পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন: পরিবারের সদস্যদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করা।
​জ্ঞান অর্জন: ইসলামে জ্ঞান অর্জনের ওপর অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি ফরজ ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
​মৃত্যুর পর আমরা কোথায় যাব?
​ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত্যুর পর আমরা অন্য একটি জগতে প্রবেশ করব, যাকে বারযাখ বলা হয়। এই বারযাখ হলো দুনিয়া ও আখিরাতের মাঝখানের একটি অন্তর্বর্তীকালীন জীবন।
​কিয়ামতের দিন: বারযাখের জীবন শেষ হওয়ার পর এক মহাপ্রলয়ের মাধ্যমে কিয়ামত সংঘটিত হবে। এরপর আল্লাহ সবাইকে আবার জীবিত করবেন।
​হিসাব-নিকাশ: কিয়ামতের ময়দানে সবার ভালো-মন্দ কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব নেওয়া হবে। আমাদের প্রতিটি কাজের সাক্ষী থাকবে আমাদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, পৃথিবী এবং ফেরেশতারা।
​জান্নাত ও জাহান্নাম: এই হিসাব-নিকাশের পর যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে, তাদের জন্য নির্ধারিত হবে জান্নাত। এটি হলো চিরস্থায়ী সুখ ও শান্তির জায়গা। আর যারা আল্লাহর অবাধ্য হবে, তাদের জন্য নির্ধারিত হবে জাহান্নাম, যা হলো কঠিন শাস্তি ও কষ্টের জায়গা। জান্নাত এবং জাহান্নামের জীবন হবে অনন্তকালের।
​সংক্ষেপে, ইসলাম আমাদের শেখায় যে এই দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। আমাদের আসল ঠিকানা হলো পরকাল। তাই আমাদের উচিত এই সংক্ষিপ্ত জীবনকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।

5 i ·Oversætte

মূলপাতা
সকল সংখ্যা
বিভাগ
লেখকবৃন্দ
আপনার জিজ্ঞাসা
পরিচিতি
যোগাযোগ
বর্ষ: ০৮, সংখ্যা: ০২
রবিউল আওয়াল-১৪৩৩ || ফেব্রুয়ারি-২০১২
দুরূদ ও সালাম : ফায়েদা ও ফযীলত
মাওলানা মুহাম্মাদ ইমদাদুল্লাহ


আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার আখেরী রাসূল। তিনি গোটা মানবজাতির জন্য আল্লাহ তাআলার সর্বশেষ দূত। তাই তাঁর প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য ছাড়া আল্লাহতে বিশ্বাস ও আল্লাহর আনুগত্যের দাবি অর্থহীন। কুরআন মজীদের বিভিন্ন জায়গায় এ বিষয়টি ঘোষিত হয়েছে।

আল্লাহকে পাওয়ার একমাত্র পথ খাতামুন্নাবিয়ীন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ। তাই তাঁর জন্য হৃদয়ের গভীরে মহববত ও ভালবাসা পোষণ করা এবং তাঁর জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দুআ করা প্রত্যেক উম্মতির ঈমানী কর্তব্য।

কুরআন মজীদে স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য দরূদ পাঠের তথা আল্লাহর দরবারে তাঁর জন্য দুআ করার আদেশ করেছেন। এটা একদিকে যেমন আল্লাহর কাছে তাঁর রাসূলের মর্যাদার প্রমাণ অন্যদিকে মুমিন বান্দার রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, (তরজমা) নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা তাঁর জন্য রহমতের দুআ করেন। সুতরাং হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরূদ পড় এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও। (সূরা আহযাব : ৫৬)

এখানে কিছু ফযীলত উল্লেখ করা হল। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এই সহজ ও মূল্যবান আমলটি বেশি বেশি করার তাওফীক দিন।

১. রহমত, মাগফিরাত ও দরজা বুলন্দির আমল

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন-

من صلى علي صلاة صلى الله عليه بها عشراً



যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে, বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন।-সহীহ মুসলিম ১/১৬৬; জামে তিরমিযী ১/১০১

অন্য হাদীসে আছে, হযরত আনাস রা. বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

من صلى علي صلاة واحدة صلى الله عليه عشر صلوات، وحطت عنه عشر خطيئات، ورفعت له عشر درجات.

যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে।-সুনানে নাসায়ী ১/১৪৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১০২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২/৪৩

অন্য বর্ণনায়, আবু বুরদা রা. থেকে বর্ণিত আছে, তার আমলনামায় দশটি নেকী লেখা হবে।-আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ২২/৫১৩

আবু হুরায়রা রা. থেকেও দরূদের এই ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।-মুসনাদে আহমদ ২/২৬২, হাদীস : ৭৫৬১

২. ফেরেশতারা মাগফিরাতের দুআ করেন

হযরত আমের ইবনে রবীআহ রা. বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খুতবার মধ্যে বলতে শুনেছি-

من صلى علي صلاة، لم تزل الملائكة تصلي عليه ما صلى علي، فليقل عبد من ذلك أو ليكثر. (قال السخاوي في القول البديع، ص : 25 : حسّن شيخنا هذا الحديث. وقال الشيخ شعيب الأرناؤوط : حديث حسن. اه)



আমার উপর দরূদ পাঠকারী যতক্ষণ দরূদ পড়ে ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকে। সুতরাং বান্দার ইচ্ছা, সে দরূদ বেশি পড়বে না কম।-মুসনাদে আহমদ ৩/৪৪৫; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৪০; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ৯০৭

৩. দরূদ পাঠকারীর জন্য শাফাআত অবধারিত

রুওয়াইফি ইবনে ছাবিত আলআনসারী রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ দরূদ পাঠ করবে তার জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে।

اللهم صل على محمد وأنزله المقعد المقرب عندك يوم القيامة. (قال الهيثمي في مجمع الزوائد : رواه البزار والطبراني في الأوسط والكبير، وأسانيدهم حسنة. اه)

-আলমুজামুল কাবীর, তবারানী ৫/৪৪৮১; মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/২৫৪

৪. কিয়ামতের দিন নবীজীর সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে

আবদুললাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

أولى الناس بي يوم القيامة أكثرهم علي صلاة

কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে, যে আমার উপর সবচেয়ে বেশি দরূদ পড়েছে।

(رواه الترمذي وقال : هذا حديث حسن غريب)

-জামে তিরমিযী ১/১১০

5 i ·Oversætte

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا﴾ (الاحزاب: ٥٦)

“নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ নবীর প্রতি সালাত-দরুদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।” (সূরা আহযাব ৫৬ আয়াত)

১/১৪০৫। ’আব্দুল্লাহ ইবনে ’আমর ’আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার দরুন তার উপর দশবার দুরুদ পাঠ করবেন।” (মুসলিম) [1]

(243) بَابُ الْأَمْرِ بِالصَّلَاةِ عَلٰى

5 i ·Oversætte

দুনিয়াবি কাজ সহজ করার জন্য পবিত্র কুরআনে কিছু নির্দিষ্ট সূরা তিলাওয়াতের ফজিলত বিভিন্ন হাদীসে পাওয়া যায়, যেগুলো নিয়মিত পড়লে আল্লাহ তাআলা রিজিক, কাজের সহজতা, হৃদয়ের প্রশান্তি, সমস্যা থেকে মুক্তি দান করেন।

নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা ও হাদীস/আছারের আলোকে ফজিলতসহ দেওয়া হলো:

✪ ১. সূরা ইয়াসীন (সূরা ৩৬)

❝যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করবে, তার দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণ করে দেওয়া হবে।❞
✅ ফজিলত:
- কাজ সহজ হয়
- রিজিকের দরজা খুলে যায়
- মন শান্ত হয়
📚 **রেফারেন্স* মিশকাতুল মাসাবীহ: ২১৫৪ | দরামী: ৩৪০৭

✪ ২. সূরা আল-ইনশিরাহ (সূরা ৯৪)

❝নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে রয়েছে স্বস্তি।❞
(আয়াত ৫-৬)
✅ ফজিলত:
- জীবনের টেনশন কমায়
- কাজের জটিলতা দূর করে
- মানসিকভাবে শক্তি দেয়
📚 **রেফারেন্স* কুরআন মাজীদ, সূরা ইনশিরাহ, আয়াত ৫-৬

✪ ৩. সূরা আল-ওয়াকিয়া (সূরা ৫৬)

❝সূরা আল-ওয়াকিয়া হলো রিজিক বৃদ্ধির সূরা।❞
✅ ফজিলত:
- রিজিক বৃদ্ধি
- অভাব-অনটন দূর হয়
- দারিদ্র্য থেকে নিরাপদ রাখা
📚 **রেফারেন্স* ইবনে আসাকির | আল বায়হাকি | ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম এবং অন্যান্য বুযুর্গদের আমল সূত্রে

✪ ৪. সূরা ফাতিহা (সূরা ১)

❝সূরা ফাতিহা হচ্ছে ‘শিফা’ (আরোগ্য) ও কাজের বরকতের সূচনা।❞
✅ ফজিলত:
- যেকোনো কাজ শুরুর আগে পড়লে বরকত হয়
- সমস্যার সমাধান সহজ হয়
📚 **রেফারেন্স* সহিহ বুখারী: ৫০০৭

✪ ৫. সূরা আল-বাকারাহ (সূরা ২)

❝এই সূরা পড়লে শয়তান ঘর থেকে পালায় এবং বরকত নাজিল হয়।❞
✅ ফজিলত:
- বাড়িতে ও জীবনে বরকত আসে
- কাজে শয়তানি বাধা দূর হয়
- দুনিয়াবি সিদ্ধান্তে হেদায়াত মেলে
📚 **রেফারেন্স* সহিহ মুসলিম: ৭৮০

6 i ·Oversætte

★ নারী পুরুষের মধ্যে যে বিভেদ ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে :

ইসলামের আলোকে সমাজে প্রচলিত কিছু ভুল ও গর্হিত বিভেদ হলো:

1. নারীকে কম মূল্যবান ভাবা
অনেক সমাজে কন্যাসন্তানকে বোঝা মনে করা হয়। অথচ নবীজি (সা.) বলেন—

> "যে ব্যক্তি দুটি কন্যাসন্তানকে সুন্দরভাবে লালন-পালন করবে, সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে।" (সহিহ মুসলিম)




2. নারীর মতামতকে উপেক্ষা করা
ইসলাম নারীদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছে। নবীজি (সা.) তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ করতেন।


3. নারীর প্রতি সহিংসতা
কোরআনে নারীদেরকে “লিবাস” (পোশাক) হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে—

> “তোমরা একে অপরের জন্য লিবাস।” (সূরা বাকারা: ১৮৭)
অর্থাৎ, একে অপরের নিরাপত্তা, স্নেহ ও সম্মানের প্রতীক। অতএব নারীকে মারধর বা অপমান করা ইসলামে হারাম।






---

🌺 আদর্শ উদাহরণ – রাসূল (সা.)

নবী মুহাম্মদ (সা.) তাঁর স্ত্রীদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত কোমল, ভালোবাসাপূর্ণ এবং সম্মানদানকারী। তিনি কখনও স্ত্রীদের ওপর চড়াও হননি। তিনি বলেন—

> “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর সাথে উত্তম আচরণ করে।” (তিরমিজি)




---

🕌 সমাধান ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে

1. ইসলামের সঠিক শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া
অনেক বিভেদ সৃষ্টি হয় ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার কারণে। কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে শিক্ষা নিতে হবে।


2. পরিবার ও সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা
মেয়েদের ছোটবেলা থেকে আত্মবিশ্বাস ও ধর্মীয় জ্ঞান দিতে হবে।


3. পুরুষদের সংযম ও দায়িত্বশীলতা শেখানো
ইসলাম পুরুষদের আদেশ দিয়েছে, নারীদের প্রতি সদাচরণ ও সম্মান দেখাতে। (সূরা নিসা)

image