ইসজে আজম জিকির পার্ট অন্তিম পর্ব | ##ইসমে আজম অন্তিম পার্ট
ইসজে আজম জিকির পার্ট অন্তিম পর্ব | ##ইসমে আজম অন্তিম পার্ট
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।
এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।
কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।
•
কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।
•
প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?
•
এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf
আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি ও সফলতা অর্জনের জন্য এই ছোট্ট জীবনকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা খুবই জরুরি। এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:
জীবনের উদ্দেশ্য বোঝা
আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তা'আলার ইবাদত করা এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করা। যখন আমরা এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে জীবন পরিচালনা করি, তখন প্রতিটি কাজ ইবাদতে পরিণত হয়। নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ - এই ফরয ইবাদতগুলো নিয়মিত ও আন্তরিকতার সাথে আদায় করতে হবে।
সময়ের সঠিক ব্যবহার
সময় খুব মূল্যবান। আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে সময়ের কসম খেয়েছেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং আল্লাহকে স্মরণ করা, জ্ঞান অর্জন করা, এবং ভালো কাজে সময় ব্যয় করা উচিত।
নেক আমল বৃদ্ধি করা
ফরয ইবাদতের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল ইবাদত করা, যেমন - তাহাজ্জুদ নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, এবং সাদকা করা। এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভ করা যায়।
মানুষের সেবা করা
ইসলামে মানুষের সেবা করাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অসহায়, দরিদ্র, এবং অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য করা, এবং তাদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা দেখানো আল্লাহ তা'আলার কাছে অনেক প্রিয়।
গুনাহ থেকে দূরে থাকা
ছোট্ট হোক বা বড়, সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। যদি কোনো গুনাহ হয়ে যায়, তবে সাথে সাথে আন্তরিকভাবে তওবা করা এবং ভবিষ্যতে সেই গুনাহ আর না করার দৃঢ় সংকল্প করা।
জ্ঞান অর্জন
ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরয। কুরআন, হাদিস, এবং ইসলামী ফিকাহ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে সঠিক পথে চলা সহজ হয়।
এভাবে এই ছোট্ট জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবি হাসিল করতে পারি।
আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টি ও সফলতা অর্জনের জন্য এই ছোট্ট জীবনকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা খুবই জরুরি। এর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচে দেওয়া হলো:
জীবনের উদ্দেশ্য বোঝা
আমাদের জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তা'আলার ইবাদত করা এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন করা। যখন আমরা এই উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করে জীবন পরিচালনা করি, তখন প্রতিটি কাজ ইবাদতে পরিণত হয়। নামাজ, রোজা, যাকাত, হজ - এই ফরয ইবাদতগুলো নিয়মিত ও আন্তরিকতার সাথে আদায় করতে হবে।
সময়ের সঠিক ব্যবহার
সময় খুব মূল্যবান। আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে সময়ের কসম খেয়েছেন। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং আল্লাহকে স্মরণ করা, জ্ঞান অর্জন করা, এবং ভালো কাজে সময় ব্যয় করা উচিত।
নেক আমল বৃদ্ধি করা
ফরয ইবাদতের পাশাপাশি বেশি বেশি নফল ইবাদত করা, যেমন - তাহাজ্জুদ নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, জিকির, এবং সাদকা করা। এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলার নৈকট্য লাভ করা যায়।
মানুষের সেবা করা
ইসলামে মানুষের সেবা করাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অসহায়, দরিদ্র, এবং অভাবী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য করা, এবং তাদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা দেখানো আল্লাহ তা'আলার কাছে অনেক প্রিয়।
গুনাহ থেকে দূরে থাকা
ছোট্ট হোক বা বড়, সব ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে। যদি কোনো গুনাহ হয়ে যায়, তবে সাথে সাথে আন্তরিকভাবে তওবা করা এবং ভবিষ্যতে সেই গুনাহ আর না করার দৃঢ় সংকল্প করা।
জ্ঞান অর্জন
ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরয। কুরআন, হাদিস, এবং ইসলামী ফিকাহ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করলে সঠিক পথে চলা সহজ হয়।
এভাবে এই ছোট্ট জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আল্লাহ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবি হাসিল করতে পারি।
JHuma771
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?
JHuma771
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?