নিজেকে খুব যত্ন করে লুকিয়ে রাখা একজন খাস পর্দানশীল নারীর চেহারা এক মুহূর্তের জন্য হঠাৎ কোনো পর-পুরুষ দেখে ফেললে কষ্টে সেই নারীর বুক ভে-ঙে আসার উপক্রম হয়, কান্না করে ফেলে, হৃদয় ব্যথিত হয়, নিজেকে অপরাধী মনে করে ভয়ে গলা শুকিয়ে আসে, আর যার কারণে ক্ষণিকের জন্য এই পর্দা নষ্ট হয়েছে তার উপর মে-জাজ খারাপ হয়! গুনাহ হয়ে গেল কিনা, পবিত্রতা নষ্ট হলো কিনা এই অনুশোচনাবোধ তাঁকে ভেতরে ভেতরে পু-ড়িয়ে মা-/রে।
যদিও অ-নিচ্ছাকৃতভাবে এক মুহূর্ত বে-পর্দা অবস্থায় পরপুরুষের চোখের সামনে পড়লে তাতে গুনাহ লেখা হয় না!
অপরদিকে, বে-পর্দা চলাফেরা করা কোনো নারীকে হাজার হাজার পুরুষ কত শত দিন দেখেই চলেছে, দেখেই চলেছে তবুও তার কলিজায় নেই কোনো ব্যথার অনুভূতি, নেই কোনো কষ্টের ছাপ, নেই কোনো অনুশোচনাবোধ!
হাসতে হাসতে স্বাচ্ছন্দ্যচিত্তে অনবরত করে যাওয়া "কবিরা গুনাহ" তার গুনাহের অনুভূতিকেই নষ্ট করে দিয়েছে! সে যে দিনে দিনে নিজেকে শা-/স্তি-র জন্য প্রস্তুত করে চলেছে এটাই তো সে বুঝতে পারে না।ফরজ হুকুম লঙ্ঘ-নের শক্ত গু-নাহের নিচে চাপা পড়েছে তার অনুশোচনাবোধ!
উপরে বর্ণিত দুই ক্যাটাগরির নারী, আমাদের চারপাশে বাস করা একই নারী জাতি অথচ ঈমান আর তাকওয়ার মাঝে কতই না পার্থক্য!
১ম শ্রেণির নারী যে হতে পেরেছে সে কতই না সৌভাগ্যবান! আমরা কেন সৌভাগ্যবানদের কাতারে দাখিল হতে পিছিয়ে থাকবো? কিসের আশায়?
চলো না তবে হাঁটা শুরু করি তাকওয়ার পথে!
💝💝🥰
Easmin
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?