Abdul Aziz  إنشاء مقالة جديدة
1 ذ ·ترجم

আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগকে নিষিদ্ধের দাবি নুরের | #নিউজ #আওয়ামীলীগ

আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগকে নিষিদ্ধের দাবি নুরের

আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগকে নিষিদ্ধের দাবি নুরের

আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
3 ث ·ترجم

জুলাই বিপ্লব সংক্ষিপ্ত পরিচিতি (July Revolution, জুলাই–আগস্ট ২০২৪)

মূলত একটি কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে তীব্র গণআন্দোলনে পরিণত হয় (১ জুলাই – ৩ আগস্ট কোটা সংস্কার; ৪–৫ আগস্ট নন‑কোঅপারেশন মুভমেন্ট) ।

দুই সপ্তাহে সহিংস নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া দমন অভিযান, “জুলাই গণহত্যা”–তে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত—এমতাবস্থায় চরম গণ–সচেতনতার স্রোত বইতে থাকে ।


> “The movement escalated into a full‑fledged mass uprising after the government carried out mass killings… known as the July massacre”



এর ফল: প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, শীঘ্রই শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান, এবং নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস interim সরকারে নেতৃত্ব দেন ।



---

🎯 জুলাই ২০২৫: একটি বছর পর—বর্ষপূর্তি ও রাজনৈতিক উত্তেজনা

⚠️ মূল ঘটনা ও সংঘাতসমূহ:

1. রাজনৈতিক বিভাজন ও হিংসা: ১৬ জুলাই ২০২৫ তারিখে গোপালগঞ্জে NCP (National Citizen Party) –র মার্চে পুলিশ ও প্রতিপক্ষের সাথে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪ জন নিহত, অনেক আহত। অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, কুরফু আরোপ করা হয়।


2. ধাপে ধাপে NCP এবং Jamat-e-Islami–এর ডিমান্ড: ন্যায্য, মুক্ত নির্বাচন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা ও বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত


3. স্টুডেন্ট ও ধর্মীয় ঐক্যজোট: ৮–১০ মে ২০২৫ এ “ন্যাশনাল অ্যান্টি‑ফাসিস্ট ইউনিটি”–র আয়োজনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দাবী–জনস্বাক্ষর, ধর্ম, রাজনীতির সমন্বয় করা হয়


4. প্রতিবেদন ও বিচারপ্রক্রিয়া: ১০ জুলাই ২০২৫ তারিখে আন্তর্জাতিক ফৌজদারী ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে 'crimes against humanity' অভিযোগ গ্রহন করে




---

🧾 সারাংশ:

বিষয় বিবরণ

প্রসূত সময় জুলাই–আগস্ট ২০২৪ (বিপ্লব), বছর পর ২০২৫ এর জুলাইতে উত্তেজনা ও সংঘাত
মূল কারণ কোটা সংস্কার → প্রশাসনিক ও মানবাধিকারর ওপর দাবিদান; → সরকারী দমন
পরিণতি শেখ হাসিনার পতন, interim সরকার ও রাজনৈতিক পুনর্গঠন
বর্তমান অবস্থা রাজনৈতিক বিভাজন, আমাদের স্বাধীন গণতন্ত্রের নির্মাণ ও বিচার প্রক্রিয়া চলছে

3 ث ·ترجم

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​স্যামসাং গ্যালাক্সি S25 সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, আমি কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে পারি। যেহেতু স্যামসাং গ্যালাক্সি S25 এখনও বাজারে আসেনি, এর সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া কঠিন। তবে, আমি গ্যালাক্সি S সিরিজের পূর্ববর্তী মডেলগুলোর উপর ভিত্তি করে কিছু সম্ভাব্য তথ্য এবং গুজব সম্পর্কে জানতে চাইতে পারি।
​আপনার জন্য এখানে কিছু প্রশ্ন এবং কীওয়ার্ড রয়েছে যা আমি অনুসন্ধান করতে পারি:
স্যামসাং গ্যালাক্সি S25 সিরিজটি মূলত 2025 সালের জানুয়ারী মাসে উন্মোচন করা হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারী 7, 2025 থেকে এটি বাজারে উপলব্ধ। এই সিরিজে মূলত তিনটি মডেল রয়েছে: Galaxy S25, Galaxy S25+ এবং Galaxy S25 Ultra। এছাড়াও, মে মাসে একটি নতুন মডেল, Galaxy S25 Edge উন্মোচন করা হয়েছে, যা 30 মে, 2025 তারিখে বাজারে আসে।
​এখানে প্রতিটি মডেলের কিছু সম্ভাব্য এবং নিশ্চিত স্পেসিফিকেশন দেওয়া হলো:
​Samsung Galaxy S25 (বেস মডেল):
​ডিসপ্লে: 6.2-ইঞ্চি Dynamic AMOLED 2X, 2340 x 1080 (FHD+) রেজোলিউশন, 120Hz রিফ্রেশ রেট।
​প্রসেসর: কিছু অঞ্চলে কোয়ালকম Snapdragon 8 Elite এবং কিছু অঞ্চলে Exynos 2500 চিপসেট।
​র‍্যাম: 12GB।
​স্টোরেজ: 128GB, 256GB, 512GB।
​ক্যামেরা:
​পেছনের ক্যামেরা: 50MP ওয়াইড (OIS, PDAF), 12MP আল্ট্রা-ওয়াইড, 10MP টেলিফটো (3x অপটিক্যাল জুম)।
​সামনের ক্যামেরা: 12MP।
​ব্যাটারি: 4,000mAh (সম্ভাব্য)।
​অপারেটিং সিস্টেম: Android 15 এর উপর ভিত্তি করে One UI 7।
​অন্যান্য ফিচার: IP68 রেটিং (ধুলো এবং জল প্রতিরোধক), ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, Wi-Fi 7, ব্লুটুথ 5.4, USB Type-C 3.2, 7 বছরের OS আপডেট।
​Samsung Galaxy S25+:
​ডিসপ্লে: 6.7-ইঞ্চি Dynamic AMOLED 2X, 1440 x 3120 (QHD+) রেজোলিউশন, 120Hz রিফ্রেশ রেট।
​প্রসেসর: Galaxy S25 এর মতোই।
​র‍্যাম: 12GB।
​স্টোরেজ: 256GB, 512GB।
​ক্যামেরা: Galaxy S25 এর মতোই ক্যামেরা সেটআপ।
​ব্যাটারি: 4,900mAh (সম্ভাব্য), 45W ফাস্ট চার্জিং সমর্থন।
​অন্যান্য ফিচার: Galaxy S25 এর মতোই।
​Samsung Galaxy S25 Ultra:
​ডিসপ্লে: 6.9-ইঞ্চি Dynamic AMOLED 2X, 1440 x 3120 (QHD+) রেজোলিউশন, 120Hz রিফ্রেশ রেট, 2600 nits পিক ব্রাইটনেস।
​প্রসেসর: কোয়ালকম Snapdragon 8 Elite চিপসেট (ওভারক্লকড সংস্করণ), কিছু মার্কেটে Exynos 2500।
​র‍্যাম: 12GB, 16GB পর্যন্ত।
​স্টোরেজ: 256GB, 512GB, 1TB।
​ক্যামেরা:
​পেছনের ক্যামেরা: 200MP ওয়াইড (OIS, PDAF), 50MP আল্ট্রা-ওয়াইড, 50MP পেরিস্কোপ টেলিফটো (5x অপটিক্যাল জুম), 10MP টেলিফটো (3x অপটিক্যাল জুম)।
​সামনের ক্যামেরা: 12MP।
​ব্যাটারি: 5,000mAh (সম্ভাব্য), 45W বা 65W ফাস্ট চার্জিং, 15W ওয়্যারলেস চার্জিং।
​অন্যান্য ফিচার: বিল্ট-ইন S-Pen, টাইটানিয়াম ফ্রেম, গোরিলা আর্মার অ্যান্টি-রিফ্লেকটিভ স্ক্রিন গ্লাস, উন্নত AI ফিচার, 7 বছরের OS আপডেট।
​Samsung Galaxy S25 Edge:
​ডিসপ্লে: 6.7-ইঞ্চি ডিসপ্লে।
​পাতলা ডিজাইন: এটি 5.8mm থিকনেস সহ স্যামসাংয়ের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পাতলা গ্যালাক্সি ফোন।
​প্রসেসর: Snapdragon 8 Elite চিপসেট।
​ক্যামেরা: ডুয়াল ক্যামেরা সেটআপ - একটি মেইন ওয়াইড ক্যামেরা এবং একটি আল্ট্রা-ওয়াইড লেন্স।
​র‍্যাম: 12GB।
​দাম: $1,099.99 থেকে শুরু।
​সাধারণ বৈশিষ্ট্য (পুরো S25 সিরিজ):
​AI ফিচার: এই সিরিজে অত্যাধুনিক Galaxy AI ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যেমন 'Now Brief' এবং Audio Eraser।
​সফটওয়্যার আপডেট: 7 বছরের OS আপডেট এবং 7 বছরের সিকিউরিটি আপডেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি।
​বিল্ড কোয়ালিটি: IP68 রেটিং (ধুলো এবং জল প্রতিরোধক), উন্নত গোরিলা গ্লাস সুরক্ষা (সম্ভাব্য Gorilla Glass Victus 2 বা Armor)।
​কানেক্টিভিটি: ডুয়াল-সিম, Wi-Fi 7, ব্লুটুথ 5.4, UWB (Ultra Wideband)।
​এই তথ্যগুলো বিভিন্ন লিক এবং অফিসিয়াল ঘোষণার উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। বাজারে আসার পর কিছু ফিচার বা স্পেসিফিকেশনের সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।আওয়ামী লীগ নেতাদের আর পরিবার চলতেছে না
ডা ইউনুস স্যার,, আপনি দয়া করে তাদের বেশ্যা ভাতা এর ব্যবস্থা করে দিন plzz sir 🙏

আমাদের দাবি মানতে হবে

3 ث ·ترجم

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ!
​রেডমি নোট ১৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আপনি কী ধরনের তথ্য জানতে চান? যেমন:
​এর স্পেসিফিকেশন (RAM, স্টোরেজ, প্রসেসর, ক্যামেরা, ব্যাটারি ইত্যাদি)?
​এর দাম?
​এর ভালো দিক ও খারাপ দিক?
​কোথা থেকে কেনা যাবে?
​অনুগ্রহ করে আপনার প্রশ্নটি আরও নির্দিষ্ট করুন, তাহলে আমি আপনাকে সঠিক তথ্য দিতে পারব।
​যদি আপনি সাধারণ তথ্য জানতে চান, তাহলে আমি রেডমি নোট ১৩ এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে তথ্য খুঁজে দেখতে পারি।
রেডমি নোট ১৩ (Redmi Note 13) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো। এই মডেলটি 4G এবং 5G উভয় ভার্সনে পাওয়া যায়, এবং বাংলাদেশে দুটি ভার্সনেরই বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। আমি মূলত রেডমি নোট ১৩ 4G এবং রেডমি নোট ১৩ 5G উভয় মডেলের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরছি।
​রেডমি নোট ১৩ এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো (সাধারণভাবে):
​ডিসপ্লে:
​৬.৬৭ ইঞ্চির AMOLED ডিসপ্লে।
​ফুল HD+ রেজোলিউশন (১০৮০ x ২৪০০ পিক্সেল)।
​১২০Hz রিফ্রেশ রেট, যা মসৃণ স্ক্রলিং এবং গেমিং অভিজ্ঞতা দেয়।
​১৮০০ নিটস পর্যন্ত পিক ব্রাইটনেস (কিছু মডেলে ১০০০ নিটস), যা উজ্জ্বল আলোতেও ভালো দেখার সুবিধা দেয়।
​কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩ (4G ভার্সনে) বা কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ (5G ভার্সনে) সুরক্ষা।
​পারফরম্যান্স:
​Redmi Note 13 4G: Qualcomm Snapdragon 685 (6nm) প্রসেসর। এটি দৈনন্দিন কাজ এবং হালকা গেমিংয়ের জন্য যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স দেয়।
​Redmi Note 13 5G: MediaTek Dimensity 6080 (6nm) প্রসেসর। এটি 5G কানেক্টিভিটি সমর্থন করে এবং তুলনামূলকভাবে ভালো পারফরম্যান্স দেয়।
​RAM অপশন: ৬জিবি, ৮জিবি, ১২জিবি (কিছু মডেলে ভার্চুয়াল RAM সহ)।
​স্টোরেজ অপশন: ১২৮জিবি, ২৫৬জিবি, ৫১২জিবি (UFS 2.2)। মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে স্টোরেজ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে (হাইব্রিড সিম স্লট)।
​ক্যামেরা:
​পিছনের ক্যামেরা (ট্রিপল ক্যামেরা সেটআপ):
​১০৮ মেগাপিক্সেল (MP) প্রধান ক্যামেরা (f/1.7 অ্যাপারচার, PDAF)। এটি ফ্ল্যাগশিপ-লেভেলের ছবির মান দেয় বলে দাবি করা হয়।
​৮ মেগাপিক্সেল (MP) আলট্রাওয়াইড ক্যামেরা।
​২ মেগাপিক্সেল (MP) ম্যাক্রো/ডেপথ সেন্সর।
​ভিডিও রেকর্ডিং: ১০৮০p@৩০fps।
​সামনের ক্যামেরা: ১৬ মেগাপিক্সেল (MP)।
​ব্যাটারি ও চার্জিং:
​৫০০০ mAh এর বড় ব্যাটারি।
​৩৩W ফাস্ট চার্জিং সমর্থন। Xiaomi দাবি করে, এটি প্রায় ৭০ মিনিটে ১০০% চার্জ হতে পারে।
​অন্যান্য বৈশিষ্ট্য:
​অ্যান্ড্রয়েড ১৩ (MIUI ১৪ সহ)। HyperOS আপডেটের সুযোগ থাকতে পারে।
​ইন-স্ক্রিন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর (4G ভার্সনে) বা সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর (5G ভার্সনে)।
​ডুয়াল স্পিকার এবং ডলবি অ্যাটমস অডিও সাপোর্ট।
​3.5mm হেডফোন জ্যাক।
​IP54 রেটিং, যা ধুলো এবং হালকা জল থেকে সুরক্ষা দেয়।
​কালার অপশন: মিডনাইট ব্ল্যাক, মিন্ট গ্রিন, আইস ব্লু, ওশান সানসেট (4G) এবং গ্রাফাইট ব্ল্যাক, আর্কটিক হোয়াইট, ওশান টিল, প্রিজম গোল্ড (5G)।
​বাংলাদেশে দাম:
​বাংলাদেশে রেডমি নোট ১৩ এর বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের অফিশিয়াল এবং আনঅফিশিয়াল দাম ভিন্ন হতে পারে।
সাধারণত, অফিসিয়াল দাম ৳২০,৯৯৯ থেকে ৳২২,৯৯৯ (৬জিবি+১২৮জিবি বা ৮জিবি+২৫৬জিবি) এর মধ্যে দেখা যায়। আনঅফিশিয়াল বাজারে দাম কিছুটা কম হতে পারে। ব্যবহৃত বা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের দাম আরও কম পাওয়া যায় (যেমন: ১৫,০০০ টাকা থেকে ১৯,০০০ টাকা পর্যন্ত)।
​আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো তথ্য (যেমন: গেমিং পারফরম্যান্স, ক্যামেরার মান, বা কোনো নির্দিষ্ট মডেলের দাম) জানতে চান, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

3 ث ·ترجم

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​আবু বকর (রা.)-এর জীবনের বিস্তারিত তথ্য জানতে আপনি চেয়েছেন। আমি আপনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
আবু বকর সিদ্দীক (রা.) ছিলেন ইসলামের প্রথম খলিফা এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সাহাবী। তাঁর জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
​জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:
​আবু বকর (রা.) ৫৭৩ খ্রিস্টাব্দে মক্কার বিখ্যাত কুরাইশ বংশের বনু তাইম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন।
​তাঁর আসল নাম ছিল আব্দুল্লাহ, তবে তিনি 'আবু বকর' নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
​তাঁর পিতার নাম ছিল আবু কুহাফা (উসমান) এবং মাতার নাম ছিল উম্মুল খায়ের সালমা।
​ইসলাম গ্রহণের আগে থেকেই তিনি একজন সৎ, অতিথি পরায়ণ এবং বিচক্ষণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি কখনোই মূর্তিপূজা বা মদ পান করেননি।
​ইসলাম গ্রহণ:
​প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে তিনিই প্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন।
​রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন ইসলামের দাওয়াত দেন, তখন তিনি কোনো দ্বিধা ছাড়াই তা গ্রহণ করেন। এ কারণে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে 'সিদ্দীক' বা 'সত্যবাদী' উপাধি প্রদান করেন।
​তাঁর ইসলাম গ্রহণ অনেককে অনুপ্রাণিত করে, এবং তাঁর প্রচেষ্টায় আরও অনেক সাহাবী ইসলাম গ্রহণ করেন।
​রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে সম্পর্ক:
​তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আজীবন বন্ধু ও সঙ্গী ছিলেন।
​হিজরতের সময় তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একমাত্র সঙ্গী ছিলেন এবং সাওর গুহায় তাঁর সাথে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
​রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অসুস্থতার সময় তিনি তাঁর নির্দেশে মসজিদে নববীতে ইমামতি করেন।
​খিলাফত:
​রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাতের পর মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব নিয়ে যখন মতপার্থক্য দেখা দেয়, তখন তিনি প্রথম খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন।
​তাঁর খিলাফতের সময়কালে তিনি বেশ কিছু কঠিন সমস্যার মোকাবিলা করেন, যেমন— ধর্মত্যাগী (মুরতাদ) গোষ্ঠীর বিদ্রোহ দমন, যাকাত দিতে অস্বীকারকারী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদারদের মোকাবিলা।
​তাঁর শাসনামলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হলো বিক্ষিপ্তভাবে থাকা কুরআনের আয়াতগুলোকে একত্রিত করে সংকলন করা।
​মৃত্যু:
​আবু বকর (রা.) দুই বছর তিন মাস দশ দিন খিলাফতের দায়িত্ব পালন করেন।
​৬৩৪ খ্রিস্টাব্দের ২৩ আগস্ট (১৩ হিজরি, ২২ জমাদিউস সানি) তিনি ইন্তেকাল করেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কবরের পাশেই তাঁকে দাফন করা হয়।

3 ث ·ترجم

​পটভূমি
​২০২৪ সালের জুন মাসে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল করে একটি রায় দেয়। এই রায়ের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ১ জুলাই থেকে নতুন করে আন্দোলন শুরু করেন। মূলত "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন"-এর ব্যানারে এই আন্দোলন শুরু হলেও, এটি দ্রুতই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করে।
​আন্দোলনের সময়রেখা
​১-১৫ জুলাই: কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম কয়েকদিন আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না আসায় এবং উল্টো দমন-পীড়ন শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে।
​১৬ জুলাই: এই দিনটি আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রংপুরে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এই মৃত্যুর খবর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলন আরও তীব্র হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসের হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বের করে দেয়।
​১৭-১৯ জুলাই: আন্দোলন আরও সহিংস হয়ে ওঠে। পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র কর্মীদের হামলায় সারা দেশে বহু মানুষ নিহত ও আহত হন। বিশেষ করে ১৯ জুলাই ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন, যখন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এই সময়ের সহিংসতাকে পরবর্তীতে "জুলাই গণহত্যা" নামে অভিহিত করা হয়।
​১৭ জুলাই: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা নিয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং কোটা আন্দোলনের সমালোচনা করেন। ওই দিন রাতে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
​১৮ জুলাই: মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে এবং আন্দোলনের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা দেশব্যাপী 'কমপ্লিট শাটডাউন' বা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। এই অবরোধ কর্মসূচিতে সারা দেশের সড়ক ও রেলপথ অচল হয়ে পড়ে, জনজীবন স্থবির হয়ে যায়।
​২১ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে এবং সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩% এবং ৭% কোটা বহাল রাখার নির্দেশ দেয়।
​২৩ জুলাই: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন জারি করে। তবে, ততক্ষণে আন্দোলন কোটা সংস্কারের দাবি ছাড়িয়ে রাজনৈতিক রূপ ধারণ করে। আন্দোলনকারীরা সরকারের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি তোলেন।
​২৪ জুলাই: আন্দোলনকারীরা "অসহযোগ আন্দোলন"-এর ডাক দেন। এই অসহযোগ আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল সরকারের সকল প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়া। এতে দেশজুড়ে সরকারের কার্যকারিতা প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
​৫ আগস্ট: দেশব্যাপী তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে এক দশকের বেশি সময়ের আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।
​ফলাফল
​জুলাই মাসের এই গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান উপদেষ্টা হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।