লজ্জা পতি গাছকে লজ্জা দেই
লজ্জা পতি গাছকে লজ্জা দেই
আমি যখন হেঁটে যাই গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ ধরে, পথের ধারে ছোট্ট এক গাছ — লজ্জাবতী, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তার পাতায় হাত ছুঁইলেই সে যেন লজ্জায় গুটিয়ে নেয় নিজেকে, যেন বলে — “তুমি কেন আমার এত কাছে এসেছো?” কিন্তু আমি তো আর সে সাধারণ পথিক নই। আমার উপস্থিতি, আমার চাহনি, আমার ভাবনার গতি — সবকিছুতেই আছে একধরনের প্রশ্ন, একধরনের সাহস।
আমি তাকাই আকাশের দিকে, কথা বলি বাতাসের সাথে, আর ভাবি — আমি কি এতটাই স্পষ্ট, সাহসী, স্পর্শকাতর, যে লজ্জাবতীকেও লজ্জা দিতে পারি? হয়তো আমি কোনো শব্দ উচ্চারণ না করেই বুঝিয়ে দিই এমন কিছু, যা সে নিজেও বোঝে না। সে শুধু সরে যায়, গুটিয়ে নেয় নিজের অস্তিত্ব।
আমার চেয়ে বেশি লজ্জা যে তারই লাগে। সে গাছ হয়ে থেকেও মানুষের মত অনুভব করে। আর আমি মানুষ হয়েও গাছের স্পর্শে থেমে যাই।
এই খেলার নাম জীবন। এখানে কখনো গাছও লাজুক হয়, মানুষও হয়ে ওঠে স্পর্শে পাতা-গুটানো। তাই তো বলি — লজ্জা পতি গাছকে লজ্জা দেই, কারণ আমি শুধু ছুঁই না, অনুভব করি। আর এই অনুভবেই হয়তো লুকিয়ে থাকে এক অনন্য সাহস — যে সাহসে প্রকৃতিও মুখ লুকায়।
#nature
#31
অচেনা কণ্ঠস্বর: রাতের বেলা জঙ্গলে পথ হারিয়ে ফেলা এক পথিক অচেনা কণ্ঠস্বর শুনতে পায়, যা তাকে ভুল পথে চালিত করে।
১৪. মৃত ব্যক্তির চিঠি: এক ব্যক্তি তার মৃত বাবার চিঠি খুঁজে পায়, যা পড়ার পর সে জানতে পারে তার বাবার মৃত্যুরহস্য এবং বাবার আত্মার উপস্থিতি অনুভব করে।
১৫. ভূতুড়ে মন্দির: পুরনো একটি মন্দিরে প্রবেশ করার পর একদল লোক দেখতে পায়, সেখানকার দেব-দেবীর মূর্তিগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে এবং তারা তাদের দিকে এগিয়ে আসছে।
১৬. অন্ধকারের হাত: রাতের বেলা রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ কেউ পেছন থেকে হাত ধরে, কিন্তু তাকিয়ে কাউকে দেখা যায় না।
১৭. প্রাচীন প্রতিমা: পুরনো একটি জমিদার বাড়িতে থাকা প্রাচীন প্রতিমা রাতে নড়াচড়া করতে শুরু করে এবং অদ্ভুত শব্দ করতে থাকে।
১৮. অজানা আততায়ী: রাতের বেলা একাকী বাড়িতে থাকা এক ব্যক্তি অজানা আততায়ীর উপস্থিতি টের পায়, যে তাকে মারতে উদ্যত হয়।
১৯. অদৃশ্য শক্তি: পুরনো একটি বাড়িতে বসবাসকারী একটি পরিবার অদৃশ্য শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়, যারা তাদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
২০. অচেনা সুর: গভীর রাতে গ্রামের পুকুর পাড়ে বসে থাকা এক যুবক অচেনা সুর শুনতে পায়, যা তাকে ধীরে ধীরে পুকুরের দিকে টানতে থাকে।
#30
অসুখের ভূত: এক অসুস্থ ব্যক্তি তার রোগের কারণ হিসেবে এক অদৃশ্য শক্তিকে দায়ী করে এবং রাতের বেলা তার ঘরে সেই শক্তির আনাগোনা অনুভব করে।
৭. গ্রামের প্রান্তে বটগাছ: গ্রামের প্রান্তে থাকা বিশাল বটগাছটিকে ঘিরে প্রচলিত আছে নানা অলৌকিক কাহিনী। সেখানে সন্ধ্যা নামার পর অদ্ভুত সব শব্দ শোনা যায় এবং গাছের ডালপালা অস্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করে।
৮. পুরনো জমিদার বাড়ি: পুরনো জমিদার বাড়িতে বসবাসকারী একটি ছেলে রাতের বেলা তার ঠাকুরমার মুখে শোনা গল্পের মতো অলৌকিক ঘটনা অনুভব করে।
৯. অন্ধকার সুড়ঙ্গ: পুরনো জমিদার বাড়ির নিচে থাকা একটি অন্ধকার সুড়ঙ্গে প্রবেশ করার পর একদল ছেলে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার শিকার হয়।
১০. ** कब्रिस्तानের নীরবতা* গভীর রাতে কবরস্থানে গেলে সেখানকার নীরবতা ভেঙে অদ্ভুত শব্দ শোনা যায় এবং কবর থেকে মৃতের আত্মা বের হয়ে আসার দৃশ্য দেখা যায়।
১১. ভূতুড়ে পুতুল: একটি পুরনো বাক্স থেকে বের করা পুতুলটি রাতে নড়াচড়া করতে শুরু করে এবং একসময় সেটি কথা বলতে শুরু করে।
১২. অভিশপ্ত গ্রাম: একটি জনশূন্য গ্রামে প্রবেশ করার পর একদল পর্যটকের উপর নেমে আসে এক অভিশাপ এবং তারা সেখান থেকে পালাতে চেষ্টা করে।
#29
অভিশপ্ত অট্টালিকা: একটি পুরনো জমিদার বাড়িতে বসবাসকারী একটি পরিবার অলৌকিক ঘটনার শিকার হয়। রাতের বেলা অট্টালিকার ছাদ থেকে ভারী কিছু পড়ার শব্দ, দেয়াল থেকে অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর এবং পুরনো ছবিগুলোর অবস্থান পরিবর্তন হতে দেখা যায়।
২. শ্মশানের ছায়া: গ্রামের শ্মশানে একদল বন্ধুর আড্ডা দিতে গিয়ে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তি দেখতে পায়, যা তাদের পিছু নেয় এবং তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে।
৩. নিশির ডাক: গভীর রাতে একাকী পথ চলতে গিয়ে এক যুবক শুনতে পায় এক মায়াবী কণ্ঠের ডাক। সে যখন সেই ডাকে সাড়া দিতে যায়, তখন এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়।
৪. ভূতুড়ে ট্রেন: একটি পুরনো রেললাইনের পাশে বসবাসকারী মানুষরা রাতের বেলা একটি পুরনো, কুয়াশাচ্ছন্ন ট্রেন দেখতে পায়, যা কখনো স্টেশনে থামে না এবং তা থেকে অদ্ভুত শব্দ আসে।
৫. আয়নার বিভীষিকা: একটি পুরনো বাড়িতে থাকা আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজেকে অন্য রূপে দেখা যায়, যা ধীরে ধীরে ভয়ংকর হতে থাকে এবং আয়নার ভেতর থেকে এক অশরীরী শক্তি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে।
#28
---
গল্প ১: শেষ ট্রেন
মফস্বলের ছোট্ট রেলস্টেশন। রাত তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। স্টেশনে একা বসে আছে বৃদ্ধ গোপালচন্দ্র। চোখে অদ্ভুত শূন্যতা। শেষ ট্রেন আসবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে। তিনি জানেন—এই ট্রেন ধরলে ছেলেদের শহরের বাড়িতে যাওয়া সম্ভব, না ধরলে থেকে যাওয়া চিরকালের মতো এই গ্রামে।
স্মৃতির ভেতর ভেসে উঠছে স্ত্রীর মুখ, যিনি গতবছর চলে গেছেন। ছেলে-মেয়েরা শহরে, তাদের ডাক আছে—“বাবা, চলে এসো, একা আর কতদিন?” কিন্তু গোপালের বুক টানে এই গ্রাম, এই পুকুর, এই ক্ষেত।
ট্রেনের সিটি বাজল। গোপাল দাঁড়ালেন। তাঁর চোখ ভিজে উঠল—ছোটবেলার খেলাধুলা, স্ত্রীর সঙ্গে নদীর পাড়ে হাঁটা, সব যেন বিদায় নিচ্ছে।
অবশেষে ট্রেন এল। দরজা খোলা। তিনি দাঁড়িয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপর ধীরে ধীরে উঠে গেলেন ভেতরে। জানালা দিয়ে শেষবার তাকালেন গ্রামের দিকে। মনে হল—তিনি একসঙ্গে বিদায় জানালেন অতীতকে, আর স্বাগত জানালেন নতুন জীবনের শুরু।
---
গল্প ২: হারানো দিনলিপি
মিতার বিয়ের পর নতুন বাসায় উঠল। পুরোনো আলমারি খুলতে গিয়ে এক কোণে পেল ধুলোমাখা এক খাতা। কৌতূহল বশত খুলল। অবাক হয়ে দেখল—এটা তার নিজের কলেজ জীবনের দিনলিপি! সে কেমন ছিল, কাকে পছন্দ করত, কোন স্বপ্নগুলোকে বুকে লালন করত—সবই লেখা।
পাতা উল্টাতে উল্টাতে চোখে জল এল। কারণ সেখানে লিখা—“আমি একদিন ভালো লেখক হবো।” অথচ চাকরি-বিয়ে-গৃহস্থালির ভিড়ে সে স্বপ্ন যেন চাপা পড়ে গেছে।
দিনলিপি তাকে মনে করিয়ে দিল—সে এখনো লিখতে পারে। সেদিন রাতে খাতাটা বুকে চেপে প্রতিজ্ঞা করল—আবার লিখবে। হয়তো পেশাদার লেখক হবে না, তবু তার ভেতরের স্বপ্নটা আবার বাঁচবে।
---
গল্প ৩: ভিখারির গান
ঢাকার ব্যস্ত মোড়ে বসে আছে এক ভিখারি। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। হাতে ভাঙা একটুখানি একতারা। মানুষ তাকে কয়েন দেয় না, তবু সে গান ছাড়ে না।
এক তরুণ দাঁড়িয়ে শোনে। সুরে যেন কষ্ট আর আশার মিশ্রণ। তরুণটি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে—“আপনি ভিক্ষা করেন কেন? এত সুন্দর গান গাইতে পারেন!”
ভিখারি হেসে বলে—“গান আমার জীবন, ভিক্ষা আমার বাঁচা। দুটো মিলে আমি টিকে আছি।”
তরুণটি সেদিন তার ভিডিও করে অনলাইনে দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে সেই ভিখারি হয় ভাইরাল। গানের কদর মেলে, আর ভিক্ষার বদলে আবার গানই হয়ে ওঠে তার রুজি।
---
গল্প ৪: ছোট্ট উপহার
এক ছোট্ট মেয়ে, নাম টুনি। খুব গরিব ঘরে জন্ম। স্কুলে সবাই বড় ব্যাগ, রঙিন খাতা নিয়ে আসে। টুনির কাছে নেই কিছুই।
একদিন শিক্ষক তাকে ডেকে দিলেন। হাতে দিলেন একটি নতুন খাতা আর কলম। টুনির চোখ ঝলমল করে উঠল। সে যেন দুনিয়ার সবচেয়ে দামি উপহার পেল।
সেই খাতাতেই সে প্রথম অক্ষর লিখল, প্রথম আঁকিবুকি করল। ছোট্ট সেই উপহার তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হয়ে গেল।
---
গল্প ৫: নীলচোখ কুকুর
বৃষ্টির রাতে রাস্তার পাশে কাঁদছিল এক কুকুরছানা। তার চোখ ছিল আশ্চর্য নীল। রিমা তাকে কোলে তুলে বাসায় নিয়ে এল।
পরিবার প্রথমে মানতে চাইছিল না, কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই কুকুরটিকে ভালোবেসে ফেলল।
কয়েক বছর পর কুকুরটা রিমাকে একবার জীবন বাঁচাল—রাতের অন্ধকারে চোর ঢুকেছিল, সে ঘেউ ঘেউ করে সবাইকে জাগিয়ে দেয়।
রিমা বুঝল—এক বৃষ্টির রাতে যাকে সে আশ্রয় দিয়েছিল, সে-ই হয়ে উঠেছে তার জীবনের রক্ষাকর্তা।
---
👉 এগুলো প্রথম ৫টি গল্প। চাইলে আমি এভাবে বাকিগুলো লিখে দিতে পারি, মোট ২০টা পূর্ণ হবে।
আপনি কি চান আমি এখনই বাকি ১৫টা গল্প লিখে দিই, নাকি কয়েক ভাগে দেব যাতে পড়তে সহজ হয়?
Rubel Hasan
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?
Badhon Rahman
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?
Adeel Hossain
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?