মুরগি পালন একটি লাভজনক কৃষি উদ্যোগ হতে পারে, যদি সঠিক পদ্ধতিতে পালন করা হয়। মুরগি পালন করতে হলে কিছু মৌলিক পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হয়, যাতে লাভবান হওয়া যায়। এখানে মুরগি পালনের প্রাথমিক গাইডলাইন দেওয়া হলো:
১. স্থান নির্বাচন ও প্রস্তুতি:
প্রাকৃতিক পরিবেশ: মুরগির জন্য পরিষ্কার, শুষ্ক এবং বাতাস চলাচলকারী জায়গা প্রয়োজন। এটি খোলামেলা হতে হবে যাতে মুরগিগুলি আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে পারে।
গোশালা তৈরি: মুরগির জন্য একটি ভালোভাবে নির্মিত শেড তৈরি করুন। মুরগির জন্য ১ বর্গমিটার জায়গায় ৫-৬টি মুরগি রাখা উচিত।
শেডের আড়াল দিতে হবে যাতে তারা বৃষ্টির পানি বা তীব্র রোদ থেকে রক্ষা পায়।
মুরগির বাসস্থানে যথেষ্ট আলো এবং হাওয়া থাকা প্রয়োজন।
২. মুরগির জাত নির্বাচন:
ডিম উৎপাদনের জন্য: ভারতীয় দেশীয় মুরগি বা রেড অ্যান্ড হোয়াইট লেয়ার।
মাংস উৎপাদনের জন্য: ভারি জাতের মুরগি যেমন কুয়াল্টি, ব্রয়লার।
মিশ্র জাত: মাংস এবং ডিম উৎপাদন উভয়ের জন্য মিশ্র জাতের মুরগি নির্বাচন করা যেতে পারে, যেমন ব্রীড ওয়ালএম ব্রয়লার।
৩. খাদ্য সরবরাহ:
প্রাকৃতিক খাবার: মুরগিকে মাঠে থাকা বিভিন্ন ধরনের ঘাস, পোকামাকড়, খড়, ও অন্যান্য প্রাকৃতিক খাবার দিতে পারেন।
কমপ্লিট ফিড: ভালো মানের মুরগির খাবার বা কমপ্লিট ফিড দিন যাতে তারা সঠিক পুষ্টি পায়। এতে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং মাংসের মান ভালো হবে।
পানি: মুরগির জন্য পরিষ্কার ও শীতল পানি সরবরাহ করতে হবে। পানি মুরগির স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
৪. স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ:
ভ্যাকসিনেশন: মুরগির জন্য নিয়মিত টিকা দেওয়া জরুরি। সাধারণত র্যাবি, নিউক্যাসল, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের জন্য টিকা দেওয়া হয়।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: শেড এবং মুরগির বাসস্থল নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে যাতে রোগবালাই কমে।
পোকামাকড় ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ: মুরগির দেহে কৃমি বা অন্যান্য পরজীবী হতে পারে। নিয়মিতভাবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিন।
৫. প্রজনন ও বাচ্চা পালন:
ডিম ও বাচ্চা: যদি আপনার মুরগির ডিম সংগ্রহ করতে চান, তাহলে মা মুরগি বা ইনকিউবেটর ব্যবহার করে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
**ব

MUNNAISLAM563
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?
xyz12
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?