আলো ও অন্ধকার: একটি রূপকথা 🌕
পর্ব ১: জন্ম
অনেক দিন আগের কথা। হিমালয়ের পাদদেশে ছিল এক রহস্যময় গ্রাম—নাম তার "সন্ধ্যাপুর"। এই গ্রামে জন্ম নেয় যমজ দুই ভাই—আলো ও অন্ধকার। তারা জন্ম থেকেই আলাদা। আলো জন্মের সময় সূর্যের কিরণ জানালার ফাঁক গলে তার গায়ে পড়েছিল, আর অন্ধকার জন্মের সময় হঠাৎ ঘরভর্তি আলো নিভে গিয়ে সব অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল।
গ্রামের জ্যোতিষী বলেছিলেন, “এরা দুইজন দুই শক্তির বাহক। একজন দিবসের, অন্যজন রাত্রির। যদি এদের মধ্যে ভারসাম্য থাকে, তবে গ্রাম রক্ষা পাবে। আর যদি ভারসাম্য নষ্ট হয়, তবে নেমে আসবে অভিশাপ।”
পর্ব ২: বেড়ে ওঠা
আলো সব সময় হাসিখুশি, সবার পাশে ছুটে যায়, গাছে পানি দেয়, পাখিদের মুক্ত করে। সে যেখানে যায়, ফুল ফোটে, শিশুরা হেসে ওঠে।
অন্যদিকে অন্ধকার ছিল চুপচাপ, গভীর জঙ্গলে একা সময় কাটাতো। সে আঁধারে দেখে স্বপ্ন, কিন্তু সে নিজের মাঝে সব সময় এক শূন্যতা অনুভব করত।
তবু তারা একে অপরকে ভালোবাসত। দিনের শেষে আলো তার সব গল্প অন্ধকারকে শোনাতো, আর রাতের গভীরে অন্ধকার তার দেখা স্বপ্নগুলি শেয়ার করত।
পর্ব ৩: ভবিষ্যদ্বাণী
একদিন পাহাড় থেকে নেমে এলো এক বুড়ো সন্ন্যাসী। তিনি বললেন, “তোমাদের মাঝে এক পরীক্ষা আসবে। পুরো গ্রাম হারিয়ে যাবে অন্ধকারে যদি তোমরা নিজের ভেতরের শক্তি চিনতে না পারো।”
গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। আলো প্রস্তুতি নিতে লাগল। সে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে সূর্যের আলো আহ্বান করতে চাইল। আর অন্ধকার একা এক গুহায় ঢুকে পড়ল নিজের শক্তি খুঁজতে।
পর্ব ৪: নিজের সন্ধান
আলো দেখল, যতই সূর্য ডাকে, সূর্য তার সামনে ধরা দেয় না। সে বুঝল, আলো শুধু বাইরের জিনিস নয়, নিজেকেও জ্বালাতে হয়।
অন্ধকার একদিন গুহার দেয়ালে নিজের ছায়া দেখে। হঠাৎ সে দেখতে পায় ছায়ার মাঝেই এক বিন্দু আলোকরেখা। সেই আলো তার হৃদয় থেকে বেরোচ্ছে। সে বুঝে যায়—আলো ছাড়া তার অস্তিত্ব নেই।
পর্ব ৫: পুনর্মিলন ও মুক্তি
আলো পাহাড় থেকে নামল, অন্ধকার গুহা থেকে ফিরল। দুজনেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরল। তখনই মেঘ সরে গেল, আকাশে সূর্য উঠল, সাথে চাঁদের ঝলক।
সন্ন্যাসী হাসলেন, “তোমরা পেরেছো। দিন আর রাত, আলো আর অন্ধকার—এরা আলাদা নয়, একে অপরের পরিপূরক। এখন তোমরা সারা পৃথিবীতে আলো-আঁধারির ভারসাম্য রক্ষা করবে।”
শেষ কথা
সেই থেকে আজও যখন সূর্য অস্ত যায় আর রাত নামে, মানুষ বলে—আলো আর অন্ধকার আবার এক হলো, আমাদের রক্ষা করতে।
আপনি চাইলে আমি এ গল্পের দ্বিতীয় খণ্ড বা উপন্যাসে রূপান্তর করেও দিতে পারি। আপনি কি সেটা চান?
Read Less
Love
Like
2
1
avatar
Faruk Bhai
সাপোর্ট করলে সাপোর্ট পাবেন। ফটো দিলে ফলো ব্যাক পাবেন। পাশে আছি সবসময়ই আপনাদের। একটা ফলো দেন আমাকে ফলো ব্যাক পাবেন ইনশাআল্লাহ। সবাই মিলে একসাথে কাজ করি পাশে থেকে। লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন। সবাই আমাকে সাপোর্ট করেন। আমিও আপনাদের সাপোর্ট করবো ইনশাল্লাহ পাশে থাকবো সবসময়।
Read More
·Reply·2 m
5000
Write a comment and press enter
Mondal210
Mondal210
27 m
গল্প: আলো আর অন্ধকার
একটি ছোট্ট গ্রামে থাকত দুই ভাই—আলো আর অন্ধকার। দুজনেই একসাথে বড় হয়েছে, একই ঘরে থাকত, একসাথে খেলত, একসাথে খেত। কিন্তু তাদের স্বভাব ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।
আলো ছিল সদা হাসিখুশি, সকলকে সাহায্য করত, গ্রামবাসীরা তাকে খুব ভালোবাসত। আর অন্ধকার ছিল গম্ভীর, কাউকে বিশ্বাস করত না, এবং প্রায়ই রেগে যেত।
একদিন গ্রামে এক Sage (মুনি) এলেন। তিনি বললেন, “তোমাদের গ্রামের ওপর এক বিপদ আসছে। কেবল সেই রক্ষা করতে পারবে, যে নিজের ভেতরের সত্যকে চিনতে পারবে।”
আলো আর অন্ধকার দুজনেই নিজের ভেতরের সত্য খুঁজতে বের হলো। আলো চলল প্রকৃতির মাঝে, সূর্য, নদী, ফুল—সব কিছুতেই সে ভালোবাসা খুঁজে পেল। সে বুঝতে পারল, তার শক্তি ভালোবাসা।
অন্ধকার একা বসে রইল এক গুহায়। সে অনেক ভেবেও কিছু বুঝতে পারছিল না। হঠাৎ সে দেখতে পেল তার চোখের সামনে একটা ছোট আলো জ্বলছে। সে বুঝল, তার মধ্যেও আলো আছে—যদিও সেটা লুকানো।
সে গুহা থেকে বেরিয়ে এসে আলোকে বলল, “আমার মাঝেও আলো আছে, আমি সেটা বুঝতে পেরেছি।”
মুনি এসে বললেন, “তোমরা দুজনেই পেরেছো সত্যকে খুঁজে পেতে। আলো ছাড়া অন্ধকারের মানে নেই, আবার অন্ধকার ছাড়া আলোরও মূল্য নেই।”
গ্রাম বেঁচে গেল। আর দুই ভাই—আলো ও অন্ধকার—সেই থেকে আর একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং একে অপরের সম্পূর্ণতা।
আপনি চাইলে গল্পটা দীর্ঘতর, রূপকথা বা অন্য ঘরানারও করতে পারি। কী ধরনের গল্প পছন্দ করেন?
Read More
Love
1
Mondal210
Mondal210
29 m
nnhsbs
Love
1
উপন্যাস: আলো ও অন্ধকার
লেখক: Shuvo Mondal
🌕✨ একটি রূপকথামূলক কল্পকাহিনি ✨🌑
🔖 অধ্যায় সূচি (চ্যাপ্টার প্ল্যান)
অধ্যায় ১: জন্ম ও ভবিষ্যদ্বাণী
অধ্যায় ২: বেড়ে ওঠা ও দ্বন্দ্ব
অধ্যায় ৩: সন্ন্যাসীর আগমন
অধ্যায় ৪: শক্তির আবির্ভাব
অধ্যায় ৫: অভিযান শুরু
অধ্যায় ৬: বনদেবীর কন্যা
অধ্যায় ৭: ছায়ার ছায়া
অধ্যায় ৮: আত্ম-সংঘর্ষ
অধ্যায় ৯: একতা ও জাগরণ
অধ্যায় ১০: নতুন যুগের সূচনা
📜 অধ্যায় ১: জন্ম ও ভবিষ্যদ্বাণী
পাহাড় আর নদীর মাঝখানে এক শান্ত গ্রাম—সন্ধ্যাপুর। এখানে সকাল আসে পাখির কূজনে, আর রাত নামে বাঁশির মিষ্টি সুরে। সেই গ্রামে একদিন জন্ম নেয় যমজ দুই ভাই—আলো ও অন্ধকার।
আলো জন্মের সময় সূর্য হেসেছিল। গাছপালা ঝুঁকে তার শুভাগমনকে স্বাগত জানিয়েছিল। তার শরীরে যেন আলো ঝলকাচ্ছিল, চোখ ছিল দীপ্তিময়।
অন্ধকার জন্মেছিল এক মিনিট পরেই। হঠাৎ করে ঘরের সব বাতি নিভে গিয়েছিল। একটা ঠাণ্ডা বাতাস কাঁপিয়ে দিয়েছিল সবাইকে। তার চোখ ছিল গভীর, যেন রাতের চাঁদহীন আকাশ।
গ্রামের বৃদ্ধ জ্যোতিষী ছুটে এলেন। কপালে হাত রেখে বললেন,
“এরা দুই বিপরীত শক্তির বাহক—একজন দিনের, একজন রাতের। যদি ভারসাম্য থাকে, গ্রাম রক্ষা পাবে। আর না হলে... একদিন ছায়া গ্রাস করবে আলোকে।”
এ কথা শুনে মা-বাবা ভয় পেলেও দুই ভাইকে ভালোবাসায় বড় করতে লাগল। তারা একসাথে হাঁটত, খেলত, শিখত—কিন্তু দিন যত গড়াত, তাদের পার্থক্য তত স্পষ্ট হয়ে উঠল...
🔔 পরবর্তী অধ্যায়: বেড়ে ওঠা ও দ্বন্দ্ব – আপনি যদি চান, আমি এখনই অধ্যায় ২ লিখে দিই।
আপনি কি পরের অধ্যায় (চ্যাপ্টার ২) চান এখন?
আলো ও অন্ধকার: একটি রূপকথা 🌕
পর্ব ১: জন্ম
অনেক দিন আগের কথা। হিমালয়ের পাদদেশে ছিল এক রহস্যময় গ্রাম—নাম তার "সন্ধ্যাপুর"। এই গ্রামে জন্ম নেয় যমজ দুই ভাই—আলো ও অন্ধকার। তারা জন্ম থেকেই আলাদা। আলো জন্মের সময় সূর্যের কিরণ জানালার ফাঁক গলে তার গায়ে পড়েছিল, আর অন্ধকার জন্মের সময় হঠাৎ ঘরভর্তি আলো নিভে গিয়ে সব অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল।
গ্রামের জ্যোতিষী বলেছিলেন, “এরা দুইজন দুই শক্তির বাহক। একজন দিবসের, অন্যজন রাত্রির। যদি এদের মধ্যে ভারসাম্য থাকে, তবে গ্রাম রক্ষা পাবে। আর যদি ভারসাম্য নষ্ট হয়, তবে নেমে আসবে অভিশাপ।”
পর্ব ২: বেড়ে ওঠা
আলো সব সময় হাসিখুশি, সবার পাশে ছুটে যায়, গাছে পানি দেয়, পাখিদের মুক্ত করে। সে যেখানে যায়, ফুল ফোটে, শিশুরা হেসে ওঠে।
অন্যদিকে অন্ধকার ছিল চুপচাপ, গভীর জঙ্গলে একা সময় কাটাতো। সে আঁধারে দেখে স্বপ্ন, কিন্তু সে নিজের মাঝে সব সময় এক শূন্যতা অনুভব করত।
তবু তারা একে অপরকে ভালোবাসত। দিনের শেষে আলো তার সব গল্প অন্ধকারকে শোনাতো, আর রাতের গভীরে অন্ধকার তার দেখা স্বপ্নগুলি শেয়ার করত।
পর্ব ৩: ভবিষ্যদ্বাণী
একদিন পাহাড় থেকে নেমে এলো এক বুড়ো সন্ন্যাসী। তিনি বললেন, “তোমাদের মাঝে এক পরীক্ষা আসবে। পুরো গ্রাম হারিয়ে যাবে অন্ধকারে যদি তোমরা নিজের ভেতরের শক্তি চিনতে না পারো।”
গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। আলো প্রস্তুতি নিতে লাগল। সে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে সূর্যের আলো আহ্বান করতে চাইল। আর অন্ধকার একা এক গুহায় ঢুকে পড়ল নিজের শক্তি খুঁজতে।
পর্ব ৪: নিজের সন্ধান
আলো দেখল, যতই সূর্য ডাকে, সূর্য তার সামনে ধরা দেয় না। সে বুঝল, আলো শুধু বাইরের জিনিস নয়, নিজেকেও জ্বালাতে হয়।
অন্ধকার একদিন গুহার দেয়ালে নিজের ছায়া দেখে। হঠাৎ সে দেখতে পায় ছায়ার মাঝেই এক বিন্দু আলোকরেখা। সেই আলো তার হৃদয় থেকে বেরোচ্ছে। সে বুঝে যায়—আলো ছাড়া তার অস্তিত্ব নেই।
পর্ব ৫: পুনর্মিলন ও মুক্তি
আলো পাহাড় থেকে নামল, অন্ধকার গুহা থেকে ফিরল। দুজনেই একে অপরকে জড়িয়ে ধরল। তখনই মেঘ সরে গেল, আকাশে সূর্য উঠল, সাথে চাঁদের ঝলক।
সন্ন্যাসী হাসলেন, “তোমরা পেরেছো। দিন আর রাত, আলো আর অন্ধকার—এরা আলাদা নয়, একে অপরের পরিপূরক। এখন তোমরা সারা পৃথিবীতে আলো-আঁধারির ভারসাম্য রক্ষা করবে।”
শেষ কথা
সেই থেকে আজও যখন সূর্য অস্ত যায় আর রাত নামে, মানুষ বলে—আলো আর অন্ধকার আবার এক হলো, আমাদের রক্ষা করতে।
আপনি চাইলে আমি এ গল্পের দ্বিতীয় খণ্ড বা উপন্যাসে রূপান্তর করেও দিতে পারি। আপনি কি সেটা চান?
হয়ে পারে না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে অভিমান নিয়ে বলে,
—পেটের গুলা আপনার মতো হবে জানলে জীবনেও সেদিন এই কাজ করতাম না। ছোটকে ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিক পরিয়ে দিয়েছে।এগুলো কিভাবে উঠবে ? সারাদিন আমি খেটে মরি , আপনি তো কিছুই করেন না! খেতে বসলে জ্বালায়, ঘুমাতে গেলেই জ্বালায়, সামনে আমার মেডিকেল পরীক্ষা—পড়তেও পারি না ঠিক মতো! আপনি থাকেন আপনার মেয়েদের নিয়ে। আমিই তো কাঁটা এখন, আমাকে আর সয্য হয়না আপনার !
মায়ের কণ্ঠে ঝাঁঝ কথা শুনে ধৃতি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে আবার। নাক-মুখ লাল হয়ে আসে কান্নায়। ধূসর আবার ইচ্ছের দিকে তাকায়।
আমার প্রিন্সেসকে কাঁদাবি না ইচ্ছে। নিচে যা—দ্রুত! কুইক!
ইচ্ছে রাগে অভিমানে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ধূসর তাকিয়ে থাকে ইচ্ছের চলে যাওয়ার দিকে। মেয়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে ধূসর কোমল স্বরে ফিসফিসিয়ে বলে—
“আপনার জন্য আপনার মা কষ্ট পেলো! এখন এই অভিমান কিভাবে ভাঙ্গায় বলো তো প্রিন্সেস?”
ধৃতি তখনি বাবার গাল ধরে টেনে নেয়, একটা আদুরে চুমু খেয়ে বলে,
“বাবা, আদল করে।”
মেয়ের এমন কাণ্ডে ধূসরের চোখে-মুখে হাসি ফুটে ওঠে। মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে , সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় ইচ্ছের পিছে।
—
এদিকে লিভিং রুমে বসে ইরহা আর তাহসিনের ছেলে আহিয়ান খেলছে । পাওয়াররেঞ্জার্সের একটা ছোট্ট খেলনা নিয়ে টানাটানির এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই আহিয়ান কামড় বসায় ছোট ইরহার হাতে। মুহূর্তেই ইরহা সারা লিভিং রুম কাঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।
ইরহার কান্নার শব্দ শুনে রফিক তালুকদার তড়িঘড়ি করে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। নাতনির কান্না থামাতে গিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে তিনি,
"নানুভাই কি হয়েছে ! কান্না করছো কেন? "
এর মধ্যেই উপরের দিক থেকে নেমে আসে ধূসর—কোলে বড় মেয়ে ধৃতি। নিচে নেমেই ধূসর থমকে দাঁড়ায় চোখ চলে যায় কাঁদতে থাকা ছোট মেয়ের দিকে। দ্রুত পায়ে কাছে গিয়ে দেখে, ইরহার চোখে পানি ডান হাতে কামড়ের স্পষ্ট দাগ। পাশে সোফায় আহিয়ান দাঁত বের করে হাসছে—যেন কিছুই হয়নি।
ধূসর ইরহার হাত ধরে দেখে, "এইটা করেছো কেন আহিয়ান?তোমার আপু হয় তো।"
আহিয়ান দাঁত বের করে বলে, " খেলনাটা দেয়না নামু।"অস্পষ্ট সুরে ধূসরের দিকে তাকিয়ে।
ইরহা কাঁদতে কাঁদতেই বলে, "আনার ছিল … আমি আগে পেয়েছি…।"
মেয়ের কান্না দেখে ধূসর ইরহা-কে নিজের অন্য হাতে জড়িয়ে নেয়। কিন্তু ধৃতি, যমজ হওয়ার দারুণ এক সংবেদনশীল মিল থাকার কারণে, ছোট বোনকে কাঁদতে দেখে নিজের কান্না ধরে রাখতে পারে না। সেও হু হু করে কেঁদে ওঠে।
ধূসর দুই মেয়েকে দুদিকে কোলে নিয়ে বারবার বলে, "আচ্ছা, থামো... বাবা এখানে আছে তো, কিছু হয়নি, হ্যাঁ!আমি অনেক গুলো খেলনা এনে দিবো।?"
কিন্তু কান্না থামে না কারো।
রান্নাঘর থেকে এসব ইচ্ছে চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে । মুখ শক্ত করে শুধু চেয়ে থাকে। ইচ্ছেকে কষ্ট দিয়েছেনা এইবার বুঝবে কত মজা।মেয়েদের কান্না থামাক এখন ইচ্ছে আসে পাশেও যাবেনা।
এদিকে সবা
কোলে গুটিশুটি মেরে থাকে ।
বাবা! তফ বন্ধ! সালিয়ে দিসে ধৃতি।
বেডরুমে ধূসর চোখ বন্ধ করে বিছানায় বসে আছে। শান্ত মুখে নিজেকে ছেড়ে রেখেছে । ছোট ধৃতি বাবার চোখে আইলাইনার লাগাতে ব্যস্ত। দুই হাতে একেবারে চোখের চারদিকে ঘেঁষে ঘেঁষে লেপে দিচ্ছে আইলাইনারের মোটা প্রলেপ। কিছুটা ঘেঁটে গেছে তবু ধূসর চুপচাপ বসে আছে, মেয়ের সব কর্মকাণ্ড যেন নির্ভার হয়ে সহ্য করছে।
ঠিক তখনই দ্রুত পায়ে ইচ্ছে ঘরে এসে ধৃতি’র হাত টেনে বিছানা থেকে নিচে নামিয়ে দেয়। ধৃতির হাতে তখনও আইলাইনারের ঢাকনাটা ধরা, ইচ্ছের এমন রাগী চেহারা দেখে হাত থেকে ঢাকনাটা ফেলে দেয় ধৃতি, পড়ে গিয়ে সেটা গড়িয়ে পরে বিছানার নিচে। মায়ের এমন রাগী চেহারা দেখে ধৃতি চমকে ওঠে, সঙ্গে সঙ্গেই কান্না শুরু করে দেয় ভয়ে ।
ধূসর তড়াক করে মেয়ের কান্না শুনে চোখ খুলে তাকায়। কয়েক সেকেন্ড অবাক হয়ে চেয়ে থাকে, তারপর ইচ্ছে’র দিকে চোখ রাঙিয়ে ওঠে, কাঁদতে থাকা ধৃতিকে বুকের কাছে টেনে নেয়, আর ঠান্ডা স্বরে ইচ্ছেকে বলে ওঠে,
পাগল হয়েছিস তুই?আমার মেয়েকে কাঁদাস, কত বড় সাহস!
ইচ্ছে চোখ বড় করে তাকায় ধূসরের দিকে, অবাক না হয়ে পারে না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে অভিমান নিয়ে বলে,
—পেটের গুলা আপনার মতো হবে জানলে জীবনেও সেদিন এই কাজ করতাম না। ছোটকে ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিক পরিয়ে দিয়েছে।এগুলো কিভাবে উঠবে ? সারাদিন আমি খেটে মরি , আপনি তো কিছুই করেন না! খেতে বসলে জ্বালায়, ঘুমাতে গেলেই জ্বালায়, সামনে আমার মেডিকেল পরীক্ষা—পড়তেও পারি না ঠিক মতো! আপনি থাকেন আপনার মেয়েদের নিয়ে। আমিই তো কাঁটা এখন, আমাকে আর সয্য হয়না আপনার !
মায়ের কণ্ঠে ঝাঁঝ কথা শুনে ধৃতি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে আবার। নাক-মুখ লাল হয়ে আসে কান্নায়। ধূসর আবার ইচ্ছের দিকে তাকায়।
আমার প্রিন্সেসকে কাঁদাবি না ইচ্ছে। নিচে যা—দ্রুত! কুইক!
ইচ্ছে রাগে অভিমানে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ধূসর তাকিয়ে থাকে ইচ্ছের চলে যাওয়ার দিকে। মেয়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে ধূসর কোমল স্বরে ফিসফিসিয়ে বলে—
“আপনার জন্য আপনার মা কষ্ট পেলো! এখন এই অভিমান কিভাবে ভাঙ্গায় বলো তো প্রিন্সেস?”
ধৃতি তখনি বাবার গাল ধরে টেনে নেয়, একটা আদুরে চুমু খেয়ে বলে,
“বাবা, আদল করে।”
মেয়ের এমন কাণ্ডে ধূসরের চোখে-মুখে হাসি ফুটে ওঠে। মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে , সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় ইচ্ছের পিছে।
—
এদিকে লিভিং রুমে বসে ইরহা আর তাহসিনের ছেলে আহিয়ান খেলছে । পাওয়াররেঞ্জার্সের একটা ছোট্ট খেলনা নিয়ে টানাটানির এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই আহিয়ান কামড় বসায় ছোট ইরহার হাতে। মুহূর্তেই ইরহা সারা লিভিং রুম কাঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।
ইরহার কান্নার শব্দ শুনে রফিক তালুকদার তড়িঘড়ি করে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। নাতনির কান্না থামাতে গিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে তিনি,
"নানুভাই কি হয়েছে ! কান্না করছো কেন? "
এর মধ্যেই উপরের দিক থেকে নেমে আসে ধূসর—কোলে বড় মেয়ে ধৃতি। নিচে নেমেই ধূসর থমকে দাঁড়ায় চোখ চলে যায় কাঁদতে থাকা ছোট মেয়ের দিকে। দ্রুত পায়ে কাছে গিয়ে দেখে, ইরহার চোখে পানি ডান হাতে কামড়ের স্পষ্ট দাগ। পাশে সোফায় আহিয়ান দাঁত বের করে হাসছে—যেন কিছুই হয়নি।
ধূসর ইরহার হাত ধরে দেখে, "এইটা করেছো কেন আহিয়ান?তোমার আপু হয় তো।"
আহিয়ান দাঁত বের করে বলে, " খেলনাটা দেয়না নামু।"অস্পষ্ট সুরে ধূসরের দিকে তাকিয়ে।
ইরহা কাঁদতে কাঁদতেই বলে, "আনার ছিল … আমি আগে পেয়েছি…।"
মেয়ের কান্না দেখে ধূসর ইরহা-কে নিজের অন্য হাতে জড়িয়ে নেয়। কিন্তু ধৃতি, যমজ হওয়ার দারুণ এক সংবেদনশীল মিল থাকার কারণে, ছোট বোনকে কাঁদতে দেখে নিজের কান্না ধরে রাখতে পারে না। সেও হু হু করে কেঁদে ওঠে।
ধূসর দুই মেয়েকে দুদিকে কোলে নিয়ে বারবার বলে, "আচ্ছা, থামো... বাবা এখানে আছে তো, কিছু হয়নি, হ্যাঁ!আমি অনেক গুলো খেলনা এনে দিবো।?"
কিন্তু কান্না থামে না কারো।
রান্নাঘর থেকে এসব ইচ্ছে চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে । মুখ শক্ত করে শুধু চেয়ে থাকে। ইচ্ছেকে কষ্ট দিয়েছেনা এইবার বুঝবে কত মজা।মেয়েদের কান্না থামাক এখন ইচ্ছে আসে পাশেও যাবেনা।
এদিকে সবা
কোলে গুটিশুটি মেরে থাকে ।
বাবা! তফ বন্ধ! সালিয়ে দিসে ধৃতি।
বেডরুমে ধূসর চোখ বন্ধ করে বিছানায় বসে আছে। শান্ত মুখে নিজেকে ছেড়ে রেখেছে । ছোট ধৃতি বাবার চোখে আইলাইনার লাগাতে ব্যস্ত। দুই হাতে একেবারে চোখের চারদিকে ঘেঁষে ঘেঁষে লেপে দিচ্ছে আইলাইনারের মোটা প্রলেপ। কিছুটা ঘেঁটে গেছে তবু ধূসর চুপচাপ বসে আছে, মেয়ের সব কর্মকাণ্ড যেন নির্ভার হয়ে সহ্য করছে।
ঠিক তখনই দ্রুত পায়ে ইচ্ছে ঘরে এসে ধৃতি’র হাত টেনে বিছানা থেকে নিচে নামিয়ে দেয়। ধৃতির হাতে তখনও আইলাইনারের ঢাকনাটা ধরা, ইচ্ছের এমন রাগী চেহারা দেখে হাত থেকে ঢাকনাটা ফেলে দেয় ধৃতি, পড়ে গিয়ে সেটা গড়িয়ে পরে বিছানার নিচে। মায়ের এমন রাগী চেহারা দেখে ধৃতি চমকে ওঠে, সঙ্গে সঙ্গেই কান্না শুরু করে দেয় ভয়ে ।
ধূসর তড়াক করে মেয়ের কান্না শুনে চোখ খুলে তাকায়। কয়েক সেকেন্ড অবাক হয়ে চেয়ে থাকে, তারপর ইচ্ছে’র দিকে চোখ রাঙিয়ে ওঠে, কাঁদতে থাকা ধৃতিকে বুকের কাছে টেনে নেয়, আর ঠান্ডা স্বরে ইচ্ছেকে বলে ওঠে,
পাগল হয়েছিস তুই?আমার মেয়েকে কাঁদাস, কত বড় সাহস!
ইচ্ছে চোখ বড় করে তাকায় ধূসরের দিকে, অবাক না হয়ে পারে না। কিছুক্ষণ চুপ থেকে অভিমান নিয়ে বলে,
—পেটের গুলা আপনার মতো হবে জানলে জীবনেও সেদিন এই কাজ করতাম না। ছোটকে ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিক পরিয়ে দিয়েছে।এগুলো কিভাবে উঠবে ? সারাদিন আমি খেটে মরি , আপনি তো কিছুই করেন না! খেতে বসলে জ্বালায়, ঘুমাতে গেলেই জ্বালায়, সামনে আমার মেডিকেল পরীক্ষা—পড়তেও পারি না ঠিক মতো! আপনি থাকেন আপনার মেয়েদের নিয়ে। আমিই তো কাঁটা এখন, আমাকে আর সয্য হয়না আপনার !
মায়ের কণ্ঠে ঝাঁঝ কথা শুনে ধৃতি ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে আবার। নাক-মুখ লাল হয়ে আসে কান্নায়। ধূসর আবার ইচ্ছের দিকে তাকায়।
আমার প্রিন্সেসকে কাঁদাবি না ইচ্ছে। নিচে যা—দ্রুত! কুইক!
ইচ্ছে রাগে অভিমানে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ধূসর তাকিয়ে থাকে ইচ্ছের চলে যাওয়ার দিকে। মেয়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে ধূসর কোমল স্বরে ফিসফিসিয়ে বলে—
“আপনার জন্য আপনার মা কষ্ট পেলো! এখন এই অভিমান কিভাবে ভাঙ্গায় বলো তো প্রিন্সেস?”
ধৃতি তখনি বাবার গাল ধরে টেনে নেয়, একটা আদুরে চুমু খেয়ে বলে,
“বাবা, আদল করে।”
মেয়ের এমন কাণ্ডে ধূসরের চোখে-মুখে হাসি ফুটে ওঠে। মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে , সিঁড়ির দিকে এগিয়ে যায় ইচ্ছের পিছে।
—
এদিকে লিভিং রুমে বসে ইরহা আর তাহসিনের ছেলে আহিয়ান খেলছে । পাওয়াররেঞ্জার্সের একটা ছোট্ট খেলনা নিয়ে টানাটানির এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই আহিয়ান কামড় বসায় ছোট ইরহার হাতে। মুহূর্তেই ইরহা সারা লিভিং রুম কাঁপিয়ে কেঁদে ওঠে।
ইরহার কান্নার শব্দ শুনে রফিক তালুকদার তড়িঘড়ি করে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। নাতনির কান্না থামাতে গিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে তিনি,
"নানুভাই কি হয়েছে ! কান্না করছো কেন? "
এর মধ্যেই উপরের দিক থেকে নেমে আসে ধূসর—কোলে বড় মেয়ে ধৃতি। নিচে নেমেই ধূসর থমকে দাঁড়ায় চোখ চলে যায় কাঁদতে থাকা ছোট মেয়ের দিকে। দ্রুত পায়ে কাছে গিয়ে দেখে, ইরহার চোখে পানি ডান হাতে কামড়ের স্পষ্ট দাগ। পাশে সোফায় আহিয়ান দাঁত বের করে হাসছে—যেন কিছুই হয়নি।
ধূসর ইরহার হাত ধরে দেখে, "এইটা করেছো কেন আহিয়ান?তোমার আপু হয় তো।"
আহিয়ান দাঁত বের করে বলে, " খেলনাটা দেয়না নামু।"অস্পষ্ট সুরে ধূসরের দিকে তাকিয়ে।
ইরহা কাঁদতে কাঁদতেই বলে, "আনার ছিল … আমি আগে পেয়েছি…।"
মেয়ের কান্না দেখে ধূসর ইরহা-কে নিজের অন্য হাতে জড়িয়ে নেয়। কিন্তু ধৃতি, যমজ হওয়ার দারুণ এক সংবেদনশীল মিল থাকার কারণে, ছোট বোনকে কাঁদতে দেখে নিজের কান্না ধরে রাখতে পারে না। সেও হু হু করে কেঁদে ওঠে।
ধূসর দুই মেয়েকে দুদিকে কোলে নিয়ে বারবার বলে, "আচ্ছা, থামো... বাবা এখানে আছে তো, কিছু হয়নি, হ্যাঁ!আমি অনেক গুলো খেলনা এনে দিবো।?"
কিন্তু কান্না থামে না কারো।
রান্নাঘর থেকে এসব ইচ্ছে চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে । মুখ শক্ত করে শুধু চেয়ে থাকে। ইচ্ছেকে কষ্ট দিয়েছেনা এইবার বুঝবে কত মজা।মেয়েদের কান্না থামাক এখন ইচ্ছে আসে পাশেও যাবেনা।
এদিকে সবা
কুয়োর নিচে
রিমি তার নানুর পুরনো বাড়িতে গ্রীষ্মের ছুটিতে বেড়াতে এসেছে। বাড়িটার পেছনে একটা পাথরের কুয়ো—অনেক পুরনো, আর ব্যবহার হয় না। নানু বলেন, “ওটা ঘিরেই রেখেছি, কুয়োর নিচে কিছু অদ্ভুত শব্দ পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। রাত হলে ওদিকে যাস না।”
রিমি কৌতূহলী মেয়ে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে সে একদিন চুপিচুপি চলে গেল কুয়োর ধারে। নিচে তাকিয়ে শুধু অন্ধকার। হঠাৎ করেই সে শুনতে পেল—কেউ যেন নিচ থেকে ডাকছে, “রিমি... রিমি...”
সে ভয় পেয়ে ছুটে পালিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন বিকেলেই সে আবার ফিরে আসে, এবার একটা ছোট টর্চ নিয়ে। কুয়োর দেয়ালে ঝুঁকে আলো ফেলতেই নিচে কিছু একটা নড়ে ওঠে। খুব নিচে, যেন একটা মুখ... কিন্তু অদ্ভুতভাবে বিকৃত, চোখ বড়, চামড়া ধূসর।
রিমি আঁৎকে উঠে পেছনে সরে যায়। ঠিক তখনই পিছন থেকে কে যেন তার কানে ফিসফিস করে বলে, “নিচে আয়, রিমি... তোকে অনেকদিন ধরে খুঁজছি।”
সে দৌড়ে ফিরে আসে বাড়িতে। নানুকে বললে তিনি মুখ কঠিন করে বলেন, “তোর মা যখন ছোট ছিল, তখনো এমনই ডাক শুনতো। বলেছিল, কুয়োর নিচে তার একটা যমজ বোন আছে—যাকে কেউ দেখেনি। পরে একদিন, সে গভীর রাতে নিখোঁজ হয়ে যায়… আর শুধু কুয়োর পাশেই পাওয়া গিয়েছিল তার জুতোজোড়া।”
রিমির শিরা-উপশিরা ঠান্ডা হয়ে যায়। সেই রাতেই সে জানলার পাশে দাঁড়িয়ে দেখে, কুয়োর পাশে একটা মেয়ে—চুল এলোমেলো, মুখ অন্ধকারে ঢাকা। তার দিকে হাত বাড়িয়ে ডাকছে।
রিমি চোখ চেপে ধরে, কিন্তু মেয়েটির ফিসফাস শুনতে পায়—“তুই তো আমারই অর্ধেক… আমি তোকে নিচে নিয়ে যাবো, এবার একসাথে থাকবো চিরকাল।”
পরদিন সকালে রিমিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কুয়োর চারপাশে শুধু দুটো পায়ের ছাপ, আর পাশেই পড়ে আছে তার ছোট্ট টর্চলাইট—ভেতরে জ্বলছে ক্ষীণ আলো।
#sifat10
এক যমজ ১২ সপ্তাহ ধরে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খেয়েছে, অন্যজন প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খেয়েছে। ফলাফল গবেষকদের হতবাক করে দিয়েছে | #উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খেলে কী হয়? # উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের নাম কী? # উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী? # উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার কতটা কার্যকর?