তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার। চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাঁথিয়াছে গীতহার-কত রূপ ধরে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার।
যত শুনি সেই অতীত কাহিনী, প্রাচীন প্রেমের ব্যথা, অতি পুরাতন বিরহমিলন কথা, অসীম অতীতে চাহিতে চাহিতে দেখা দেয় অবশেষে কালের তিমিররজনী ভেদিয়া তোমারি মুরতি এসে চিরস্মৃতিময়ী ধ্রুবতারকার বেশে।
আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগলপ্রেমের স্রোতে অনাদি কালের হৃদয়-উৎস হতে। আমরা দুজনে করিয়াছি খেলা কোটি প্রেমিকের মাঝে বিরহবিধুর নয়নসলিলে, মিলনমধুর লাজে-পুরাতন প্রেম নিত্যনূতন সাজে।
আজি সেই চির-দিবসের প্রেম অবসান লভিয়াছে, রাশি রাশি হয়ে তোমার পায়ের কাছে। নিখিলের সুখ, নিখিলের দুখ, নিখিল প্রাণের প্রীতি, একটি প্রেমের মাঝারে মিশেছে সকল প্রেমের স্মৃতি-সকল কালের সকল কবির গীতি।
যখন তুমি দ্বীনের পথে ফিরে আসবে
জীবন থেকে অনেক কিছু হারিয়ে যাবে!
কিছু বন্ধু-বান্ধব, রঙ তামাশা, বিলাসিতা ইত্যাদি!
আর বিশ্বাস করাে ঐসব কিছুই তােমার জন্য অকল্যাণকর ছিল যা থেকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তােমাকে রক্ষা করেছেন।
তুমি কি কৃতজ্ঞ হবে না ?
এত এত মানুষ থাকতে আল্লাহ তোমার মতো একজন বান্দাকে হেদায়েত দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছেন,
এর জন্য কি রবের কাছে শুকরিয়া আদায় করবে না?
আলহামদুলিল্লাহ 🤎🥀❤
©️
আমি সমুদ্রের মাঝখানে আছি জাহাজে করে বেরাইতে এসেছি । হটাৎ প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে পরে লন্ডভন্ড হয়ে গেল সব কিছু । আমি জাহাজের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী ভাসতে ভাসতে এক নির্জন দ্বীপে এসেছি । এখন আমি কি করি এই দ্বীপে কি ভাবেই বা বাড়ি যাই। সেটা বোঝতে পারছি না। আমি আল্লাহর কাছে সুকরিয়া জানাই যে আমি বেচে আছি। আমি কি ভাবে বাড়ি যাবো সেটাই প্রতিদিন ভাবতেছি সেই দ্বীপের তীরে বসে। আমি ভাবছি যদি একটা জাহাজ সেদিকে আসে এই আশায়।কিন্তু প্রতিদিনই আমাকে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হয় । এরই মধ্যে আমি সমুদ্রতীরে আমার জন্যে একটা ছোট ঘর তৈরী করে ফেলেছি । সমুদ্রের মাছ ধরে এবং বন থেকে ফলমূল শিকার সে বেঁচে আছি । এই আসায় যে আমি কোন না কোন দিন বাড়ি যেতে পারবো।
টেলিফোনটা চুপ আছে আজও
—আজিজুর রহমান
জানিনে, কিয় হইল না আজ রিং—
সকাল হইতে সন্ধ্যা, আর সন্ধ্যা হইতে নিশি,
আমি শ্রবণ করিলাম নিঃশব্দের বর্ণমালা,
কেবল টেলিফোনের পাশে বসিয়া, করিলাম প্রতীক্ষা।
সেই ধাতব কণ্ঠস্বরটি—"ট্রিঙ ট্রিঙ"—
যাহা কাঁপাইত হৃদয়ের অন্তঃস্থ অলিন্দ,
আজ তাহা নাই; আজ তাহা নিস্তব্ধ।
আকাশ যেমন গম্ভীর হয় শ্রাবণের রজনী,
তেমনি স্তব্ধ ছিল সাদা-কালো যন্ত্রখানি—
যাহা একদিন প্রেমের দূত ছিল,
আজ যেন মৃতপ্রায় স্মৃতির পাষাণ।
আমি বলি, হে মাধবীলতা রঙের কণ্ঠস্বর!
তুমি কি জান না, কিরূপে প্রতিদিন
আমি বাঁধি কল্পনার রিং,
যেখানে তোমার কণ্ঠ শুনিবার আশায়
চোখ রাখি ডায়ালের প্রতিটি বৃত্তে?
হে নব্বইয়ের সন্ধ্যা,
তোমার সেই প্রেম-পত্র হারাইয়াছে ডাকপিয়নের থলিতে,
তোমার সেই অপেক্ষা আজ ফসিল হইয়াছে
স্মৃতির মোহনায়।
আমি বসি, টেবিলের কোণে,
টেলিফোনটা যেখানে রাখি—সাদা রঙে, কালো তারে বেঁধা—
তাহার দিকে চাহিয়া থাকি, যেন সে বলিবে,
“আবার ফোন করিয়াছেন তিনি।”
কিন্তু না,
কোনো সিগন্যাল আসে না, কোনো শব্দ নহে।
ভালোবাসা কি তবে এতই সহজে চুপ হইয়া যায়?
রবির ভাষায় বলি—
"চলিতে চলিতে যদি পথে কভু দেখি তাহারে,
তবে কি তাহার চোখে থাকিবে
আমার ফোন না ধরিবার মিথ্যে ক্লান্তি?"
আমার প্রতীক্ষা, হে প্রেম,
তুমি তো কাঁটা হইয়া জড়াইলে জীবনের ডায়ালটিকে।
তুমি আসিলে না, তুমি ডাক দিলে না,
টেলিফোনটা আজও চুপ—
যেমন চুপ থাকে পরাজয়ের দৃষ্টিপাত,
যেমন চুপ থাকে একজন হেরে-যাওয়া ভালোবাসার পুরুষ,
যে প্রেমে ফোন করে,
কিন্তু কখনো উত্তর পায় না।
১৭ই জুন ২০২৫
রাত ১ টা ৪৬ মিনিট
MD MAHID
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟