35 i ·Oversætte

মানব শরীরের রহস্য নিয়ে প্রদর্শনী কর্পারভেল্ট

বার্লিনের এই মানবদেহের প্রদর্শনীর নাম কর্পারভেল্টেন: ডাস অরিগিনাল বা ইংরেজিতে বডি ওয়ার্ল্ডস: দি অরিজিনাল এক্সিবিশন৷ এখানে গেলে প্রথমেই আপনি হয়তো চমকে যেতে পারেন৷ সামনেই দেখতে পাবেন মানবদেহ আর কঙ্কালের ছড়াছড়ি৷ আগে থেকে কারো জানা না থাকলে হয়তো বিশ্বাসই করবেন না যে প্রদর্শনীতে থাকা এইসব মানবদেহগুলো একসময় আমার আপনার মতই জলজ্যান্ত মানুষ ছিল৷ দেখলে মনে হবে, চামড়া ছাড়ানো এইসব মানুষগুলো আপনার দিকেই তাকিয়ে আছে৷ শরীরের প্রত্যেকটি পেশিই যেন তাজা লাল রংয়ের৷

এই কর্পারভেল্ট প্রদর্শনীতে ঢোকার পর থেকে মানবদেহের অনেক রহস্য খোলাসা হয়ে যায়৷ আমাদের দেহের ভেতর লুকিয়ে থাকা যন্ত্রগুলো দেখতে কেমন এবং কীভাবে কাজ করে তা চোখের সামনেই প্রায় জ্যান্ত হয়ে ধরা দেয়৷ প্রদর্শনীর একদিকে মানবদেহের পেশিগুলো কীভাবে কাজ করে তা দেখানো হচ্ছে৷ এজন্য সংরক্ষিত মানবদেহগুলোকে একেক ভঙ্গিতে দাঁড় করানো হয়েছে৷ কোনটি দৌড়াচ্ছে, কোনটি টেনিস খেলার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে, কোনটি আবার ঘোড়ায় চড়ছে৷ মজার বিষয় হচ্ছে সঙ্গে থাকা ঘোড়াটিরও ব্যবচ্ছেদ করে বিশেষভাবে সংরক্ষিত করা হয়েছে৷

প্রদর্শনীর অন্যদিকে আবার মানুষের হৃদযন্ত্র, ফুসফুস, কিডনি সহ সবকিছুই দেখানো হচ্ছে৷ অবাক হওয়ার মত বিষয় যে, এইসব যন্ত্র একটা মানুষের শরীরে কীভাবে থাকে সেটা দেখানোর জন্য পুরো একটা মানুষকে নানাভাবে ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছে৷ অর্থাৎ কোন একটা মানবদেহকে ঠিক মাঝখান থেকে চেরা হয়েছে, কোনটাকে আবার ঠিক পেছন থেকে চেরা হয়েছে, কোনটাকে আরও বেশি৷ দেখলে মনে হবে, আপনার সামনে তিন টুকরো হয়ে থাকা একটা মানুষ দাঁড়িয়ে আছে, আর তার ভেতরের সব কিছু আপনি বাইরে থেকেই দেখতে পাচ্ছেন৷ শুধু মানুষ নয় অনেক প্রাণীকেও একইভাবে সংরক্ষণ করে এই প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে৷ এই যে দেহ সংরক্ষণের অত্যাধুনিক পদ্ধতি, তার নাম প্লাস্টিনেশন৷ ১৯৭৭ সালে জার্মান বিজ্ঞানী গুন্থার ফন হাগেন্স এই প্লাস্টিনেশন আবিষ্কার করেন৷ ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম জাপানে মানবদেহ প্রদর্শনী শুরু হয়৷ মানবদেহের এই প্রদর্শনী নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে গুন্থার ফন হাগেন্স বলেন, ‘‘মনে রাখবেন আমাদের সবাইকে মরতে হবে৷ এই প্রদর্শনী সেটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে৷ বিশেষ করে এখানে থাকা প্লাস্টিনেট হওয়া মানবদেহগুলো আগতদের প্রতি সেই বার্তাই দিচ্ছে, যে তোমার মত আমিও একসময় ছিলাম এবং আমার মত তোমাকেও একসময় হতে হবে৷ এখানে যেসব মানবদেহকে দেখতে পাচ্ছেন, তারা তাদের জীবদ্দশায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের দেহগুলোকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে৷ যাতে তারা গবেষণা করতে পারে৷

এখন পর্যন্ত ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর অ্যামেরিকার ৬৫টি শহরে এই ধরণের মানবদেহের প্রদর্শনী হয়েছে৷ এই প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে তার শরীর সম্পর্কে সচেতন করা, যেমনটি বললেন গুন্থার ফন হাগেন্স, ‘‘ প্রথম হচ্ছে দর্শনার্থীদের তাদের শরীর সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেওয়া৷ আমরা একটি কৃত্রিম জগতে বাস করি৷ একজন সাধারণ মানুষ লক্ষ্য করে না যে সেও প্রকৃতিরই একটি অংশ৷ দ্বিতীয়ত, অ্যানাটমি বিষয়টিকে স্পষ্টভাবে মানুষের সামনে তুলে ধরা৷''

গুন্থার ফন হাগেন্সের এই মানবদেহ সংরক্ষণ পদ্ধতি ও তার প্রদর্শনী নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷ তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে তা একটি বড় অবদান রেখে চলেছে৷ জার্মানির হাইডেলবার্গে অবস্থিত ইন্সটিটিউট ফর প্লাস্টিনেশনে প্রতি বছর অনেক মানুষ তাদের দেহ দান করেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ তাদের দেহ দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷ এর মধ্যে কেবল জার্মানির সাড়ে দশ হাজার মানুষ তাদের দেহ দান করবেন৷ মৃত্যুর পর এসব মানুষের দেহ প্লাস্টিনেশনের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে আর ব্যবহৃত হবে গবেষণার কাজে৷

✨🌸…!🖤🥀
-স্বার্থ যেখানে শেষ,
– বদনাম সেখান থেকে শুরু…!! 🙂🥀
🖤•─┼┼•🖤
000●━━━━━━━━━━━━● 042
⇆ㅤㅤㅤㅤ. ◁ㅤㅤ❚❚ㅤㅤ▷ㅤㅤㅤㅤ↻

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

8 timer ·Oversætte

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

8 timer ·Oversætte

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

8 timer ·Oversætte

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।