32 میں ·ترجمہ کریں۔

╭──────────────────╮
🌸 𝐄𝐯𝐞𝐫𝐲 𝐌𝐮𝐬𝐥𝐢𝐦𝐬 𝐈𝐝𝐞𝐧𝐭𝐢𝐭𝐲 🌸
╰──────────────────╯

𝙽𝚊𝚖𝚎 : 𝐌𝐮𝐬𝐥𝐢𝐦.
𝙵𝚊𝚝𝚑𝚎𝚛'𝚜 𝙽𝚊𝚖𝚎 : 𝐀𝐝𝐨𝐦 (আ
𝙲𝚛𝚎𝚊𝚝𝚘𝚛 : 𝐀𝐥𝐥𝐚𝐡
𝙸𝚍𝚎𝚊𝚕 : 𝐌𝐮𝐡𝐚𝐦𝐦𝐚𝐝 (সা.)
𝙷𝚘𝚕𝚢 𝙱𝚘𝚘𝚔 : 𝐐𝐮𝐫𝐚𝐧
𝚁𝚎𝚕𝚒𝚐𝚒𝚘𝚗 : 𝐈𝐬𝐥𝐚𝐦
𝙸𝚍𝚎𝚗𝚝𝚒𝚝𝚢 : لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله‎
𝙷𝚘𝚋𝚋𝚒𝚎𝚜 : 𝐍𝐚𝐦𝐚𝐳 𝟓 𝐭𝐢𝐦𝐞𝐬 𝐚 𝐝𝐚𝐲
𝙿𝚛𝚎𝚜𝚎𝚗𝚝 𝙰𝚍𝚍𝚛𝚎𝚜𝚜 : 𝐃𝐮𝐧𝐢𝐲𝐚
𝙿𝚎𝚛𝚖𝚊𝚗𝚎𝚗𝚝 𝙰𝚍𝚍𝚛𝚎𝚜𝚜 : 𝐉𝐚𝐧𝐧𝐚𝐭 (𝐈𝐧 𝐬𝐡𝐚 𝐚𝐥𝐥𝐚𝐡)

1 d ·ترجمہ کریں۔

বুড়ি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখছিল আর অবাক হচ্ছিল। তার আর বিস্ময়ের সীমা রইল না। সামান্য দুইটা মশকে আর কতটুকু পানি থাকতে পারে! কিন্তু তার চোখের সামনে এ দুই মশক থেকে শত শত মশক পানি নেওয়া হল। এ দেখি আজব ঘটনা!
সকলে যখন নিজ নিজ প্রয়োজন মত পানি সংগ্রহ করল, বুড়ির মশক বুড়িকে ফিরিয়ে দেওয়া হল। বুড়ি দেখল, আমার মশক থেকে এত পানি নেওয়ার পরও এর পানি এতটুকুও কমেনি; বরং আগের চেয়ে আরো পূর্ণ দেখা যাচ্ছে।
শক ফিরিয়ে দিলেন এবং বললেন-
تَعْلَمِينَ، مَا رَزِئْنَا مِنْ مَائِكِ شَيْئًا، وَلَكِنّ اللهَ هُوَ الّذِي أَسْقَانَا.
আপনি তো দেখছেন, আপনার পানি একটুও কমেনি; আসলে (আপনার পানির মাধ্যমে) আল্লাহ আমাদের পানি পান করালেন।
এরপর নবীজী সাহাবীদের বললেন, একটি কাপড় বিছাও এবং তাঁর জন্য যে যা পার হাদিয়া দাও। কেউ দিল খেজুর, কেউ আটা, কেউ যব- অনেক খাবার জমা হল বুড়ির জন্য। এগুলো বুড়িকে হাদিয়া স্বরূপ দেওয়া হল। বুড়ি তো মহা খুশি। আমার পানিও একটু কমল না আবার পেলাম এতগুলো খাবার। মনের সুখে বুড়ি রওনা হল বাড়ির দিকে।
#secondpost

2 میں ·ترجمہ کریں۔

🌟 আমানত: একজন মুসলমানের পরীক্ষার আসল মাপকাঠি 🌟

🔸 “আমানত” মানে শুধু কারো জিনিস রাখার দায়িত্ব নয়—এটি বিশ্বস্ততা, সততা ও চরিত্রের পরিচয়।

🕋 আল্লাহ বলেন:

> “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমাদের নিকট আমানত রাখা হলে তা তার যথাযথ হকদারের কাছে ফিরিয়ে দাও।”
📖 সূরা আন-নিসা, আয়াত ৫৮

🤍 হাদীসে রাসূল (সা.) বলেন:

> “যার মধ্যে আমানতের গুণ নেই, তার কোনো ঈমানও নেই।”
📚 তিরমিজি, হাদিস: ১১৩২

🔹 আজকের সমাজে বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে, কারণ আমরা আমানতের মর্যাদা ভুলে গেছি।
🔹 কথা হোক, কাজ হোক বা সম্পদ—সব কিছুতেই আমানতদার হওয়া একজন প্রকৃত মুমিনের চিহ্ন।

💬 আসুন, আমানতের গুণে নিজেকে গড়ি—বিশ্বস্ততার আলোয় সমাজকে আলোকিত করি।

---

🔖 #amanah #islamicreminder #trustworthiness #ইমান #আমানত #সততা #kuakatasecondaryschool #এসোইসলামকেজানি

3 میں ·ترجمہ کریں۔

Good night ❤️❤️
রাতে ঘুম না আসলে মহানবী (সা.) আমাদেরকে কিছু দোয়া পড়ার জন্য বলেছেন। এর মধ্যে একটি হলো, "আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।" (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া)। এর অর্থ হল, "হে আল্লাহ, আপনার নাম নিয়েই আমি মরি এবং আপনার নাম নিয়েই আমি জীবিত হই।" [১, ২]
এছাড়া, অনিদ্রা দূর করার জন্য আরও কিছু আমল ও দোয়া রয়েছে যা রাতে ঘুমানোর আগে পড়া যেতে পারে। যেমন, সুরা মুলক তেলাওয়াত করা (যা ঘুমানোর আগে পড়ার একটি সুন্নত আমল) [৬]। এছাড়া, কিছু দোয়া রয়েছে যা অনিদ্রা দূর করতে এবং ঘুমানোর জন্য মহানবী (সা.) শিখিয়েছেন, যেমন:
"আল্লাহুম্মা রাব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওয়া মা আজাল্লাত, ওয়া রাব্বাল আরদিনা ওয়া মা আকাল্লাত; ওয়া রাব্বাশ শায়াত্বিনি ওয়া মা আদাল্লাত; কুন লি জারাং-মিন শাররি খালক্বিকা কুল্লিহিম জামিআ।" [২]
এর অর্থ হল, "হে আল্লাহ, সাত আকাশ ও তার ছায়া, জমিন ও তার উৎপাদিত বস্তু এবং শয়তান ও তাদের কুমন্ত্রণার প্রতিপালক! আপনার সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আমাকে রক্ষা করুন।"
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া-লাহুলহামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আলহামদুলিল্লাহি ওয়া সুবহানাল্লাহি, ওয়া-লা ইয়াহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া-লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।" [৩]
এর অর্থ হল, "আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা তাঁরই। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ পবিত্র এবং আল্লাহ মহান। আল্লাহ ছাড়া কোনো ক্ষমতা ও শক্তি নেই।" [৩]
এছাড়াও, অনিদ্রার কারণ দূর করার জন্য মানসিক চাপ কমানো, পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং শারীরিক পরিশ্রম করার মতো বিষয়গুলির দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত। [

image
3 میں ·ترجمہ کریں۔

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​আপনি সম্ভবত 'আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ' সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ শিক্ষা বোর্ড। নিচে এর বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
​আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ (Al-Hayatul Ulya Lil-Jami'atil Qawmia Bangladesh)
​এটি বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সরকার স্বীকৃত একক ও সমন্বয়কারী ইসলামি শিক্ষা বোর্ড। এর অধীনে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
​১. প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য:
​প্রতিষ্ঠা: ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এটি গঠিত হয়।
​উদ্দেশ্য: কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান করা এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা।
​২. কার্যক্রম ও কার্যাবলী:
​দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ: এটি কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সকল বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করে প্রতি শিক্ষাবর্ষে দেশজুড়ে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর সম্পন্ন হয়।
​শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ: আল-হাইআতুল উলয়া কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ, মানসম্পন্ন প্রমিত পাঠক্রম প্রণয়ন এবং বোর্ড ও মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনে কাজ করে।
​সনদ প্রদান ও যাচাইকরণ: দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ ইস্যু ও যাচাইকরণের দায়িত্ব পালন করে।
​ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম: পরীক্ষার সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য 'হাইআতুল উলয়া এক্সাম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (HEMS)' নামে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী নিবন্ধন, ফর্ম পূরণ, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, প্রশ্ন প্রস্তুতি ও বিতরণ, প্রবেশপত্র প্রদান, স্ক্রিপ্ট বিতরণ ও সংগ্রহ, ইনভিজিলেশন, পরীক্ষার উপস্থিতি গ্রহণ, ফলাফল প্রদান ও প্রকাশ, এবং সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। এর একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপও রয়েছে।
​৩. মূলনীতি ও বৈশিষ্ট্য:
​দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি অনুসরণ: এই বোর্ড দারুল উলূম দেওবন্দের আদর্শ, মূলনীতি ও মত-পথের অনুসরণে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে: ঈমান, তাকওয়া ও তাওয়াক্কালতু আল্লাহ (আল্লাহর উপর নিরঙ্কুশ ভরসা) এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকে জীবনের পরম ব্রত হিসেবে গ্রহণ।
​আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত: মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তাঁর সাহাবায়ে কিরামের (রাঃ) মতাদর্শ অনুসরণে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের মতাদর্শ অনুসরণ করা হয়।
​চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা: চার মাযহাবের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হানাফী মাযহাব অনুসরণ করা হয়।
​আধ্যাত্মিক তরীকা: সুপরিচিত চার তরীকা (চিশতিয়া, সোহরাওয়ারদিয়া, নকশবন্দিয়া-মুজাদ্দিদিয়া ও কাদিরিয়া) সহ সকল হকপন্থি ধারার প্রতি সহনশীল ও উদার মনোভাব পোষণ করা হয়।
​৪. প্রশাসনিক কাঠামো:
আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ বাংলাদেশের ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত সকল দাওরায়ে হাদিস কওমি মাদ্রাসার প্রতিনিধিত্ব করে। এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত।
​সংক্ষেপে, আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ অথরিটি, যা কওমি শিক্ষার মানোন্নয়ন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ এবং দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারিভাবে মাস্টার্সের সমমান মর্যাদা দেওয়ার কাজ করে।

3 میں ·ترجمہ کریں۔

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন ইসলামের এক মহান সাহাবী, যিনি তাঁর জ্ঞান, ইবাদত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ছিল ইসলামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
​সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
​নাম: আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ।
​উপাধি/কুনিয়াত: আবু আব্দুর রহমান।
​বংশ: বনু হুজাইল।
​ইসলাম গ্রহণ: প্রথম দিকের ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম।
​বিশেষত্ব: তিনি ছিলেন কুরআনের হাফেজ এবং শ্রেষ্ঠ কারীদের মধ্যে একজন।
​ইসলাম গ্রহণ ও প্রাথমিক জীবন
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) মক্কার একজন রাখাল ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁর ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি খুবই শিক্ষণীয়। একদিন তিনি মক্কায় উট চরাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) ও আবু বকর (রা.) তাঁর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তারা ইবনে মাসউদকে দুধের জন্য একটি বকরির কথা বলেন। ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন যে, এটি তার মালিকের সম্পত্তি। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি ছোট বকরি চেয়ে নিলেন যা তখনও দুধ দিতে শেখেনি। রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহর নামে সেটির ওলানে হাত বুলাতেই সেটি দুধে ভরে গেল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে ইবনে মাসউদ (রা.) তাৎক্ষণিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।
​রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সান্নিধ্য ও সেবা
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর খুবই ঘনিষ্ঠ সাহাবী ছিলেন। তিনি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে অধিকাংশ সময় কাটাতেন। রাসূল (সা.) যখন সফরে যেতেন, ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর বিছানা, মেসওয়াক, জুতা ইত্যাদি বহন করতেন। এমনকি তাঁকে 'সাহিবুল নালাইন' (জুতাবাহী) উপাধিতে ডাকা হতো। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য হিসেবেই দেখতেন এবং তাঁকে নিজের ঘরে প্রবেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন।
​কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান
​ইবনে মাসউদ (রা.) ছিলেন কুরআনের একজন শ্রেষ্ঠ ক্বারী ও জ্ঞানী। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে নিজে কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি রাসূল (সা.)-এর মুখ থেকে ৭০টিরও বেশি সূরা মুখস্থ করেছিলেন। রাসূল (সা.) একবার বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি কুরআনকে তাজা অবস্থায় পড়তে চায়, সে যেন ইবনে উম্মে আবদ (ইবনে মাসউদ)-এর কিরাত অনুযায়ী পড়ে।" তিনি অসংখ্য হাদিসের বর্ণনাকারীও ছিলেন এবং ফিকাহ শাস্ত্রেও তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল।
​ইবাদত ও বিনয়
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) অত্যন্ত বিনয়ী ও পরহেজগার ছিলেন। তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং রাতের বেলায় নামাজে দাঁড়িয়ে কাটাতেন। তাঁর বিনয় এতটাই ছিল যে, তিনি নিজেকে একজন সাধারণ মুসলিমের চেয়ে বেশি মনে করতেন না।
​জিহাদে অংশগ্রহণ
​তিনি বদর, উহুদ, খন্দক সহ প্রায় সকল যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। বদর যুদ্ধে তিনি আবু জাহেলকে হত্যা করে ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
​মৃত্যু
​হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) ৩৩ হিজরীতে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর জানাজার নামাজ হযরত উসমান (রা.) পড়িয়েছিলেন এবং তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
​আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) তাঁর জ্ঞান, ইবাদত, বিনয় এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর জীবন মুসলিম উম্মাহর জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস।