32 ш ·перевести

_প্রতিশোধ নিতে গিয়ে!
_ফেঁসে যাওয়ার যে"ইইই ব্যাপার টাহ!😫

1 час ·перевести

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

1 d ·перевести

#22
অনেক দিন আগে, চীন দেশে লিউ নামে এক মেয়ে বিয়ে করে বাস করতে লাগল তার স্বামী এবং শ্বাশুড়ীর সাথে।

খুব অল্পসময়েই লিউ দেখল যে তার শ্বাশুড়ীর সাথে বাস করাটা প্রায় অসম্ভব।ক্রমশ তাদের মধ্যে মতনক্য আর ঝগড়া শুরু হয়। শাশুরি প্রায়শ লিউকে কটাক্ষ করতো বিভিন্ন কাজে।পরিস্থিতি সবচাইতে খারাপ করল যে দিকটা সেটা হল, চাইনিজ পরম্পরা অনুয়ায়ী লিউ তার শ্বাশুড়ীকে সবসময়েই মাথা নুইয়ে সন্মান জানাতে হতো এবং শ্বাশুড়ীর সমস্ত আদেশ মেনে নিতে হতো।

অনেক দিন এবং সপ্তাহ পার হয়ে গেল কিন্তু তাদের বিবাদ না কমে দিন দিন বাড়তেই থাকল।এ সমস্ত ঘটনা ক্রমেই লিউর স্বামীকেকে হতাশাগ্রস্থ করে তুলল।লিউ কোনভাবেই তার শ্বাশুড়ীর এই খারাপ আচরন বরদাস্ত করতে পারছিলনা, এবং সে সিদ্ধান্ত নিল যে কিছু একটা করতেই হবে।

1 d ·перевести

#20
একজন বয়স্ক রাজমিস্ত্রী তার কাজ থেকে অবসর নিতে চাইলো। তাই সে তার মালিকের কাছে গিয়ে বললো,’বস,আমি এই বাড়ি বানানোর কাজ থেকে অবসর নিয়ে আমার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সাথে সময় কাটাতে চাই।‘

তার মালিক এতে কিছুটা দুঃখ পেল কারন সে ছিলো সবচেয়ে দক্ষ ও কর্মঠ রাজমিস্ত্রী। সে বললো,'ঠিক আছে,কিন্তু তুমি কি চলে যাওয়ার আগে আর একটি মাত্র বাড়ি বানাতে আমাদের সাহায্য করবে?’ বয়স্ক রাজমিস্ত্রী এই প্রস্তাবে স্বানন্দে রাজী হয়ে গেল।



কিন্তু কাজ শুরু করার পর দেখা গেল তার মন সেখানে ছিল না এবং সে সবসময় তার অবসরের কথা ভেবে অন্যমনস্ক থাকতো। সবসময় সে বাড়ির চিন্তা করতো।তাই এর আগে যত কাজ সে করেছিলো এই কাজটাই তার করা সবচেয়ে খারাপ কাজ হয়ে গেল।



যখন সে বাড়িটি তৈরী করা শেষ করলো তখন তার মালিক বাড়িটি দেখতে এলো এবং বৃদ্ধের হাতে বাড়ির চাবি দিয়ে বললো,’এটা এখন থেকে তোমার বাড়ি,তোমার প্রতি আমার উপহার।'

1 d ·перевести

#12বালকটি তখন গাছের সকল ডাল-পালা কেটে নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি অভিমুখে চলে গেলো, পেছন ফিরে একবার ও গাছটির দিকে তাকালো না। বালকটির আনন্দে গাছটিও খুব আনন্দিত ছিল।

এরপর অনেক দিন আর বালকটির দেখা নেই গাছের গোঁড়ায়।। গাছটি আবারো একা হয়ে গেলো।



অনেক দিন পরে, হটাৎ এক গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে গাছের গোঁড়ায় বালকটির আগমন। ততদিনে তার যৌবন পড়তির দিকে। জীবনের ঘানি টানতে টানতে ক্লান্ত তখন। গাছটি বালককে দেখে খুব খুশি হলো, আবারো তার সাথে খেলার অনুরোধ করলো।।



কিন্তু বালকটি জানালো,"আমার এখন আর খেলার বয়স নেই। আমি বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। জীবন যুদ্ধে লড়তে লড়তে আজ আমি ক্লান্ত। আমাকে এখন আনন্দের জন্য, ক্লান্তি কাটাতে নদীতে মাছ ধরতে যেতে হবে। কিন্তু আমার কোন নৌকা নেই। তুমি কি আমাকে কোন সহায়তা করতে পারো??"



"তুমি চাইলে আমার গুড়ি কেটে নিয়ে যেতে পারো এবং এটা দিয়ে নৌকা বানিয়ে নিতে পারো"

1 d ·перевести

#5
একদিন, গ্রামের পাশে বড় শহরে খেলা দেখতে যাওয়ার সুযোগ এলো। রতন তার নতুন জুতো পরে সবার সাথে গেল। সেখানে গিয়ে সে তার খেলা দিয়ে সবার মন জয় করে নিলো। সবাই রতনের প্রশংসা করলো।
তখন রতন বুঝতে পারলো, ম ফিজুর রহমানের সাহায্য আর ভালোবাসাই তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। সে বুঝতে পারলো, ভালোবাসাই পারে যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিকে জয় করতে। গ্রামের সবাই মিলেমিশে থাকলে, যে কোনো বাধা অতিক্রম করা যায়। রতন গ্রামের সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে, আরও ভালো খেলতে লাগলো এবং গ্রামের নাম উজ্জ্বল করলো।
নবীনপুরের গল্পটি যেন ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যেখানে একটি সামান্য সাহায্যও জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে।