ঘড়ি
ঘটনা
ব্লগ
বাজার
পাতা
আরও
বউ ছাড়া থাকতে লজ্জা করেনা😾
আর ঢুকাও
আপনি আইটেমগুলি ক্রয় করতে চলেছেন, আপনি কি এগিয়ে যেতে চান?
Md Jony
---
"চোখের পালক"
আয়ান ছোটবেলা থেকেই অন্যরকম। সে কথা কম বলে, চোখে সবসময় একটা গভীরতা, যেন কোথাও ডুবে থাকে।
স্কুলের বন্ধুরা তাকে একটু পাগলও ভাবত — কারণ আয়ান মাঝেমধ্যে খাতা বন্ধ করে জানালার বাইরে তাকিয়ে বলত,
“ওই যে পাখিটা উড়ছে, ও আমার চোখের ভেতর বাসা বাঁধে।”
শিক্ষকরা বিরক্ত হতেন, বাবা-মা চিন্তিত, কিন্তু আয়ান বদলায়নি।
ক্লাস টেন-এ পড়ার সময় আয়ানের মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেলেন। খুব দ্রুত সবকিছু বদলে গেল — হাসিখুশি মা হঠাৎ চুপসে গেলেন, হাসপাতাল, ঔষধ, কেমোথেরাপি — আয়ান আরও নীরব হয়ে গেল।
একদিন মায়ের পাশে বসে সে বলল,
“মা, তোমার চোখে আজ পাখির পালক নেই। আমি খুঁজে আনবো?”
মা হাসলেন, দুর্বল গলায় বললেন,
“আয়ান, তুই তো সেই পাখিটাই, যে আমার চোখে স্বপ্ন রাখে।”
তারপর একদিন মা চলে গেলেন। কেউ আর জানালার পাশে বসে না, আয়ানের ঘরেও পাখির শব্দ নেই।
কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর প্রথমবার আয়ান তার পুরোনো খাতার মাঝে একটা কাগজ পেল —
মায়ের হাতে লেখা এক লাইন:
“তুই যেদিন আবার কল্পনায় ডুবে যাবি, আমি তোর চোখের পালকে উড়ে যাব।”
সেই থেকে আয়ান লিখতে শুরু করল। পাখি নিয়ে, পালক নিয়ে, আকাশ নিয়ে — আর সব গল্পেই মায়ের ছায়া থেকে যায়।
আজ আয়ান একজন লেখক। তার বইয়ের নাম:
“চোখের পালক” – উৎসর্গ করা: মাকে।
---
আরও গল্প লিখে দিতে পারি — ভালোবাসা, যুদ্ধ, রহস্য, শিশুর দৃষ্টিভঙ্গি, কিংবা ভবিষ্যতের কল্পজগত — যা খুশি বলেন, আমি লিখি। আরেকটা দেব? 😊
মন্তব্য মুছুন
আপনি কি এই মন্তব্যটি মুছে ফেলার বিষয়ে নিশ্চিত?