স্ত্রীকে ভালো রাখার মানেই ভালো খাবার আর বাসস্থান নয়।
তার আত্মিক শান্তিটা খুবই জরুরী। সবাই বিলাসিতায় সুখী হয়না। একজন স্বামী মানে যার হাত ধরে তার স্ত্রী সব ছেড়ে আজীবন কাটিয়ে দিবে যার ফলে তার সর্বগুণ থাকা প্রয়োজন। অথচ সমাজ স্ত্রীর পেছনে লেগে থাকে তাকে জাজ করতে।
আপনি জানেননা আপনার স্ত্রীর ত্যাগের গল্প আপনার চোখে সে সর্বসুখী। এরকম হলে সমস্যা আপনার চোখের সাথে অন্তরেরও। আপনি আসলে তাকে উপলব্ধি করতে পারেননা। একটা স্বামী শুধু জীবন সঙ্গীই নয় বরং বাবা মায়ের স্নেহেরও অংশীদার স্ত্রীর উত্তম বন্ধু। অথচ আপনার মধ্যে ইগো কাজ করে।
স্ত্রীর উপদেশ যদি শুনতে শরীর জ্বলে তাহলে বুঝে নিন শয়তান আপনাকে অহংকারে কাবু করে ফেলেছে।
স্ত্রীর প্রতি যেমন স্বামীর কর্তৃত্ব রয়েছে তদ্রুপ স্বামীর প্রতিও স্ত্রীর পূর্ণ হক্ব রয়েছে।সংসার জীবনে কলহ আসবেই কিন্তু সেই কলহে জবান দিয়ে যেন এমন কিছু বের যেন নাহয় যেটা সাংসারিক জীবটায় বিষাদ করে দেয়।জীবন কেটে যাবে কিন্তু জবানের কষ্টের ঘাঁ কোনো মলমেই শুকাবে না।
স্ত্রী অনুভুতি গুলো তার হয়ে ভাবলে বুঝতেন তাকে।বিশ্বাস করুন জগতের সব নারীই ভালোবাসা আদর ও আহ্লাদের কাঙাল। এসব দিয়েই প্রতিটি নারীকে সহজেই কাবু করা যায়।
আপনি একটু ভাবুন স্ত্রীর পরিবার থেকে কেউ আপনার বিরুদ্ধে কিছু বললে আপনি মারাত্মক চটে যাবেন।হয়তো কোনোদিন শ্বশুর বাড়ি পা রাখবেননা। অথচ প্রতিনিয়ত আপনার স্ত্রীর সাথে এটায় হয়ে চলে। যেখানে আপনিই পারেননা ফ্যামিলি ছাড়া কাউকে আপন করতে সেখানে তার ওপর কিভাবে চাপিয়ে দেন ??
মেয়ে বলে ?? মেয়ে বলে কি মানুষ না ??
আপনিও যেই মায়ের সন্তান সেও মায়েরই সন্তান বরং বাবার রাজকুমারিও। আচ্ছা কোন আইনে লেখা একটা মেয়েকে এসব সহ্য করতেই হবে ??
না রাষ্ট্রীয় আইন আর না ইসলামিক শরিয়াহ্।শরিয়তের দৃষ্টিতে নারীরা এহসান করে। না করলে বাধ্য নয়। স্ত্রীকে সম্মান দিতে শিখুন। কেননা আল্লাহ্ র কাছে ঐ ব্যক্তিই উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম।
আমার কথা না হাদিসের কথা।
Nurul Absar
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?
Salma Akter
Izbriši komentar
Jeste li sigurni da želite izbrisati ovaj komentar?