Ashikul Islam    Создал новую статью
51 ш ·перевести

অর্জন: পরিশ্রম ও প্রতিজ্ঞার ফল ও ফসল | #অর্জন

অর্জন: পরিশ্রম ও প্রতিজ্ঞার ফল ও ফসল

অর্জন: পরিশ্রম ও প্রতিজ্ঞার ফল ও ফসল

অর্জন হলো সেই মূল্যবান ফল যা একজন মানুষ কঠোর পরিশ্রম ধৈর্য এবং প্রতিকার মাধ্যমে লাভ করে থাকে।
1 d ·перевести

#21
এই কথা শুনে বৃ্দ্ধ আফসোস করে উঠলো!



সে মনে মনে ভাবলো,'হায় হায়!যদি আমি শুধু একবার জানতাম যে আমি আমার নিজের বাড়ি তৈরী করছি! তাহলে এটা আমার জীবনে করা সবচেয়ে ভাল কাজ হতো!'



বাস্তবেও আমরা প্রতিটা দিন আমাদের জীবনকে এই বাড়ির মতই তৈরী করে চলেছি। কিন্তু আমরা প্রায়ই তা ভুলে যাই। আর তাই সব কাজে আমাদের বেস্ট টার চেয়ে অনেক কম চেষ্টাটা করি,অনেক কম পরিশ্রমটা দেই।আমরা যদি আজ এই সত্যটা উপলব্ধি করতে পারি তবে আমরা হয়তো আমাদের সেরা পরিশ্রমটাই দিতে পারবো।

1 d ·перевести

সাদা পরী

এক সময় পাহাড়ের গায়ে ছোট্ট এক গ্রাম ছিল। গ্রামের মানুষ ছিল পরিশ্রমী, কিন্তু তাদের জীবন কষ্টে ভরা। খরা হলে ফসল হতো না, আর বন্যা হলে ঘরবাড়ি ভেসে যেত। সবাই বিশ্বাস করত, তাদের গ্রামের কাছে নাকি এক সাদা পরী থাকে, যে শুধু সত্যিকারের দুঃখী মানুষের কাছে আসে।

একদিন গ্রামের ছোট্ট মেয়ে লীনা কেঁদে কেঁদে আকাশের দিকে বলল—
“হে সাদা পরী, তুমি কি সত্যিই আছো? যদি থেকো, তবে আমাদের একটু সাহায্য করো।”

রাতের আকাশ হঠাৎ ঝলমল করে উঠল। চাঁদের আলোয় এক শুভ্র পোশাক পরা সাদা পরী লীনার সামনে নেমে এলো। তার চোখে ছিল দয়া, মুখে ছিল মধুর হাসি।

পরী বলল,
“আমি কেবল তাদের কাছেই আসি, যাদের মন স্বচ্ছ সাদা রঙের মতো। তুমি সত্যিই সবার জন্য প্রার্থনা করেছ, নিজের জন্য নয়—তাই আমি এসেছি।”

পরী তার জাদুর ছড়ি নেড়ে দিল। শুকনো মাঠে সবুজ ঘাস গজিয়ে উঠল, নদীর পানি থেমে গেল, আর মানুষের মুখে ফিরল হাসি। গ্রামের সবাই লীনাকে বলল, “তুমি-ই আমাদের সৌভাগ্য, কারণ তোমার ভালোবাসার ডাকেই সাদা পরী এসেছিল।”

এরপর থেকে সবাই বিশ্বাস করল—সাদা পরী কেবল তাদের কাছেই আসে, যাদের হৃদয় সত্য ও নির্মল।

1 d ·перевести

সাদা পরী

এক সময় পাহাড়ের গায়ে ছোট্ট এক গ্রাম ছিল। গ্রামের মানুষ ছিল পরিশ্রমী, কিন্তু তাদের জীবন কষ্টে ভরা। খরা হলে ফসল হতো না, আর বন্যা হলে ঘরবাড়ি ভেসে যেত। সবাই বিশ্বাস করত, তাদের গ্রামের কাছে নাকি এক সাদা পরী থাকে, যে শুধু সত্যিকারের দুঃখী মানুষের কাছে আসে।

একদিন গ্রামের ছোট্ট মেয়ে লীনা কেঁদে কেঁদে আকাশের দিকে বলল—
“হে সাদা পরী, তুমি কি সত্যিই আছো? যদি থেকো, তবে আমাদের একটু সাহায্য করো।”

রাতের আকাশ হঠাৎ ঝলমল করে উঠল। চাঁদের আলোয় এক শুভ্র পোশাক পরা সাদা পরী লীনার সামনে নেমে এলো। তার চোখে ছিল দয়া, মুখে ছিল মধুর হাসি।

পরী বলল,
“আমি কেবল তাদের কাছেই আসি, যাদের মন স্বচ্ছ সাদা রঙের মতো। তুমি সত্যিই সবার জন্য প্রার্থনা করেছ, নিজের জন্য নয়—তাই আমি এসেছি।”

পরী তার জাদুর ছড়ি নেড়ে দিল। শুকনো মাঠে সবুজ ঘাস গজিয়ে উঠল, নদীর পানি থেমে গেল, আর মানুষের মুখে ফিরল হাসি। গ্রামের সবাই লীনাকে বলল, “তুমি-ই আমাদের সৌভাগ্য, কারণ তোমার ভালোবাসার ডাকেই সাদা পরী এসেছিল।”

এরপর থেকে সবাই বিশ্বাস করল—সাদা পরী কেবল তাদের কাছেই আসে, যাদের হৃদয় সত্য ও নির্মল।

1 ш ·перевести

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf

2 ш ·перевести

একটি দুর্ঘটনায় এক পিতা তার ছেলেকে হারান। ভদ্রলোক কিছুতেই এই নিদারুণ মৃত্যুশোক সহ্য করতে পারছিলেন না। খাওয়া, ঘুম, কাজকর্ম সব প্রায় বন্ধ। মর্মান্তিক যন্ত্রণায় দিন কাটছিল তার। এ কষ্টের ভার বহন করা তার পক্ষে কিছুতেই আর সম্ভব হচ্ছিল না। শরীর-মন পুরো ভেঙে গিয়েছিল।

এমন দুঃসহ সময়ে একদিন তার ছোট্ট মেয়েটি আবদার করে বসল- বাবা, আমাকে একটা নৌকা বানিয়ে দেবে? মেয়েকে খুশি করতে তিনি একটানা কয়েক ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে কাঠ দিয়ে একটা নৌকা বানালেন। নৌকাটি মেয়ের হাতে তুলে দিতে গিয়েই তার মনে হলো, ছেলে মারা যাওয়ার পর নৌকা বানানোর এই কয়েকটি ঘণ্টাই তিনি পুত্রশোকের যন্ত্রণা থেকে মুক্ত ছিলেন।

কেন তিনি এ সময়টা পুত্রশোকের দুঃখ অনুভব করলেন না? কারণ খুঁজতে গিয়ে টের পেলেন ছেলের মৃত্যুর পর এই প্রথম তিনি ছেলেকে নিয়ে কিছু ভাবার সময় পান নি। তখন তিনি বুঝলেন, কাজ জিনিসটা এমনই। কোনো কাজ করার সময় কারো পক্ষে অন্য কিছু ভাবা সম্ভব নয়। নৌকা তৈরির সময় তিনি ছিলেন ঐ কাজটার মধ্যে পুরোপুরি ডুবে যাওয়া মানুষ। তাই সন্তান হারানোর শোকও তার তখন অনুভূত হয় নি। ব্যস, তিনি যন্ত্রণা থেকে মুক্তির পথ পেয়ে গেলেন।

এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন- একের পর এক কাজ করে যাবেন। যতক্ষণ কাজ ততক্ষণই শান্তি। তিনি মন দিয়ে কাজ করতে লাগলেন। করতে করতে ঠিকই একসময় পুত্রশোক কাটিয়ে উঠলেন।

কাজ এভাবেই মানুষকে বাঁচায়। কাজ দিয়েই আমরা দুঃখকে অতিক্রম করি, দুর্ভাগ্যকে জয় করি। যে যত বেশি কাজ করে সে তত হতাশামুক্ত, দুঃখ-যন্ত্রণাহীন ও আনন্দপূর্ণ। প্রতিটা কাজই জীবনে কমবেশি সাফল্য নিয়ে আসে। সাফল্য মানেই আনন্দ। তাই কাজ মানেও আনন্দ। একজন মানুষ যত কাজ করবে তত তার জীবনে আনন্দ বাড়বে।

প্রিয় বন্ধু, কাজ করতে করতে আপনি বড়জোর ক্লান্ত হবেন, কিন্তু কখনো বিষন্ন কিংবা হতাশ হবেন না।
জীবনে তো অবশ্যই ক্লান্ত হওয়ার দরকার আছে। ক্লান্ত না হলে বিশ্রামের আনন্দ পাবেন কিভাবে?

এখন অনেকে বলতে পারেন- কী কাজ করবো?
করার মতো কোনো কাজ যদি আপনি খুঁজে না পান, গুগলে সার্চ দিন- কোন পাঁচটি কাজ আগামী দশ বছর চাহিদার শীর্ষে থাকবে?
তিন চারটা আর্টিকেল পড়লেই মোটামুটি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আপনার পছন্দের সাথে যায়, এমন একটি কাজ সিলেক্ট করুন। তারপর শুরু করুন সেই কাজের খুটিনাটি জানা, ধারাবাহিকভাবে দক্ষতা অর্জন করা। প্রচুর পরিশ্রম করুন। এখন এই মুহূর্তে ফেসবুকের চটুল রিলস, আর অহেতুক ভিডিও দেখা বন্ধ করুন। এগুলোই আপনাকে ডিপ্রেশনে ফেলে দেয়। হতাশ করে দেয়।
আপনি স্কিল বাড়ান। স্কিল বাড়বে এমন ভিডিও দেখুন, ডকুমেন্টারি দেখুন, নিজে চর্চা করুন, এক্সপার্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিন।
তবুও কাজের সাথে যুক্ত থাকুন। দেখবেন সব হতাশা, ডিপ্রেশন কেটে গিয়ে সফলতা এসেছে আপনার দ্বারে।
____________________
© Paint with Ashraf