মধ্যবিত্ত জীবনের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি কী জানেন?
চাকরি।
মাস শেষে কয়েকটা টাকার আশায়, মানুষ নিজের সময়, স্বাধীনতা, এমনকি স্বপ্ন পর্যন্ত অন্যের কাছে বিকিয়ে দেয়।
কখন উঠবেন, কখন শুবেন, কখন ছুটি নেবেন—সব সিদ্ধান্ত নেয় একজন বস।
আর আপনি শুধু ‘Permission-Based’ একটা জীবন কাটিয়ে দেন।
এইভাবে ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে যায় পুরো জীবনটা।
কিন্তু জীবন মানেই কি শুধু বেঁচে থাকা?
না।
জীবন মানে কিছু করে দেখানো।
নিজেকে প্রমাণ করা।
নিজের নামে কিছু গড়ে তোলা।
প্রশ্ন উঠতেই পারে—তাহলে কি চাকরি ছেড়ে ব্যবসায় ঝাঁপ দিবেন?
সোজা উত্তর নয়।
চিন্তা করুন আগে—আপনার স্বপ্নের দাম কত?
চাকরি মানুষ সাধারণত করে চারটি কারণে:
১. নিরাপত্তা: মাস শেষে একটা বেতন নিশ্চিত।
২. সুবিধা: ইনক্রিমেন্ট, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ছুটি, গ্র্যাচুইটি।
৩. অভ্যাস: ছোটবেলা থেকে শিখেছি—“ভালো চাকরি পেলে জীবন সেট।”
৪. ঝুঁকি এড়ানো: ব্যবসা মানেই ভয়—সব হারিয়ে ফেলবো না তো?
কিন্তু এসব কি জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হতে পারে?
জীবনে যদি সত্যিকারের স্বাধীনতা চান, আপনাকে চাকরির সীমানার বাইরে চিন্তা করতে হবে।
চাকরি আপনাকে বেঁধে রাখবে।
আপনি যতই যোগ্য হন, বসের অনুমতি ছাড়া কিছুই হবে না।
আর ব্যবসা?
ব্যবসায় আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
আপনার পরিকল্পনা, আপনার রিস্ক, আপনার লাভ।
চাকরির আয় সীমিত, কিন্তু ব্যবসার আয় সীমাহীন।
তাই বলছি না—চাকরি ছেড়ে আজই ব্যবসায় ঝাঁপ দিন।
বরং বুঝে শুনে, স্কিল নিয়ে, প্রস্তুতি নিয়ে নামুন।
যে কেউ ব্যবসায়ী হতে পারে না।
আপনাকে জানতে হবে—
মার্কেটিং, সেলস, ফিনান্স, ব্র্যান্ডিং, গ্রোথ স্ট্র্যাটেজি।
প্ল্যান থাকতে হবে—
কীভাবে শুরু করবেন, ইনভেস্টমেন্ট কোথা থেকে আসবে, ব্রেকইভেন কখন আসবে।
আর থাকতে হবে মানসিক প্রস্তুতি—
উত্থান থাকবে, পতনও থাকবে। কিন্তু শেখা থেমে থাকবে না।
আর হ্যাঁ, আমি নিজেও এই পথেই হাঁটছি।
আমি আমার ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিজনেস শুরু করতে যাচ্ছি।
এখানে থাকবে এমন কিছু ডিজিটাল প্রোডাক্ট—
যা আপনাকে চাকরির বাইরের এক নতুন জগতে নিয়ে যাবে।
আপনি যদি চান এই যাত্রায় আমার সঙ্গী হতে—একজন ইনভেস্টর বা পার্টনার হিসেবে অংশ নিতে—তাহলে সরাসরি আমার ইনবক্সে নক করুন।
নিজের ভবিষ্যতের একটা অংশ গড়ে তুলুন আজ থেকেই।
চাকরিও একধরনের পথ।
কিন্তু ব্যবসা—এটা ভবিষ্যৎ গড়ার হাতিয়ার।
আপনি কোনটা বেছে নেবেন, সেটা একান্তই আপনার সিদ্ধান্ত।
অল দ্যা বেস্ট।
