ভুতের গল্প:পার্ট ২
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা অন্য ঘরে একটি অস্পষ্ট ছায়া দেখতে পেল। ছায়াটি ধীরে ধীরে নড়াচড়া করছিল, যেন কাউকে খুঁজছে। এবার রাজুর মুখেও ভয় দেখা গেল।
তাদের মধ্যে শুভ্র নামের ছেলেটি বলল, "আমার মনে হয় আমাদের এখনই এখান থেকে যাওয়া উচিত।"
কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বাড়ির দরজাগুলো আপনাআপনি বন্ধ হয়ে গেল, আর তারা আটকা পড়ল সেই অভিশপ্ত আত্মার সঙ্গে।
এরপর যা ঘটল, তা তারা কোনোদিন ভুলতে পারবে না। তারা শুনতে পেল চাপা কান্নার আওয়াজ, আর মনে হল যেন কেউ তাদের চারপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেয়ালের পুরনো ছবিগুলো যেন জীবন্ত হয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।
একসময়, তারা একটি ঘরে একটি পুরনো ডায়েরি খুঁজে পেল। ডায়েরিটি সেই জমিদার বাড়ির শেষ মালিকের লেখা ছিল। তাতে লেখা ছিল এক করুণ কাহিনী, এক অভিশপ্ত মৃত্যুর কথা। সেই আত্মা তারই ছিল, যে মুক্তি চাইছে কিন্তু পাচ্ছে না।
বন্ধুরা বুঝতে পারল, তাদের এখানে আসা ভুল হয়েছে। তারা কোনোমতে সেই বাড়ি থেকে পালাতে চেষ্টা করল। অনেক চেষ্টার পর তারা একটি জানালা ভাঙতে সক্ষম হল এবং রাতের অন্ধকারে দৌড়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাল।
পরের দিন সকালে, তারা আবার সেই বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু দিনের আলোয় বাড়ির চেহারা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল। কোথাও কোনো অশুভ কিছুর চিহ্ন ছিল না। তবে রাতের সেই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা তাদের মনে চিরস্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। রাজুও এরপর থেকে ভূতের গল্প অবিশ্বাস করার সাহস পায়নি।
Mst Jannat
কুরআন আমাদের বলছে,
• তাদের দৃষ্টান্ত শয়তান যে মানুষকে বলে কুফরি করো। অতঃপর যখন সে কুফরি করে , তখন শয়তান বলে: আমি তোমার থেকে মুক্ত। আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।
[সুরা হাশর ৫৯:১৬]
আল্লাহ আমাদের শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে দূরে রাখুন। আমিন।
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟