*গল্পের নাম: রাতের শেষ ট্রেন*
রাত প্রায় ১১টা। ঢাকার একটি পুরনো রেলস্টেশন থেকে শেষ ট্রেন ছাড়তে যাচ্ছে। সুমন, একা এক যাত্রী, স্টেশনের এক কোণায় দাঁড়িয়ে। চারপাশে নিস্তব্ধতা, শুধু মাঝে মাঝে কুকুরের ডাক শোনা যায়।
ট্রেন এসে থামে। অদ্ভুতভাবে, পুরো ট্রেনটা ফাঁকা। কোনো যাত্রী নেই, না কোনো শব্দ। সুমন একাই উঠে পড়ে। দরজা খুলে একটানা হেঁটে একটি কামরায় বসে। ঠিক তখনই, তার পাশের সিটে কেউ বসে বলে অনুভব হয়। কিন্তু তাকিয়ে কিছু দেখা যায় না।
হঠাৎ জানালার কাঁচে জমে থাকা ধোঁয়ার মধ্যে লেখা দেখা যায়— "*পিছনে তাকিও না!*" সুমনের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে। বুকের ধকধক বাড়তে থাকে।
সে উঠে দাঁড়াতেই ট্রেন ঝাঁকুনি দিয়ে থামে। সুমন দরজার দিকে দৌড় দেয়। কিন্তু দরজাগুলো যেন বন্ধ হয়ে গেছে। বাইরে দেখা যায়, ট্রেন এখন আর কোনো স্টেশনে নয়—বরং গভীর জঙ্গলের মধ্যে দাঁড়িয়ে।
হঠাৎ পুরো ট্রেন অন্ধকারে ডুবে যায়। হালকা এক হাসির শব্দ, একটা মেয়ের কণ্ঠ—"তুমি তো আমাকে কথা দিয়েছিলে, মনে আছে?"
সুমনের মনে পড়ে—এই ট্রেনেই তিন বছর আগে এক দুর্ঘটনায় মারা যায় তার বান্ধবী রিয়া। এবং সে কথা দিয়েছিল—আর কখনো ট্রেনে উঠবে না।
শেষবারের মত সুমনের চিৎকার শোনা যায়—তারপর ট্রেন আবার চলতে শুরু করে, কিন্তু এবার কোনো গন্তব্যের দিকে নয়।
---
*শেষ।
Mst Jannat
নূরুদ্দীন জাঙ্কি (র লোকদের কথা শুনে লোক দুটোর প্রতি পুনরায় গভীর দৃষ্টিতে তাকালেন। অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে তাদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলেন। এতে আবারও তিনি নিশ্চিত হলেন, এরা তারাই যাদেরকে তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন।
এবার সুলতান জলদ গম্ভীর স্বরে তাদেরকে বললেন, "সত্য কথা বল। তোমরা কে? কেন, কী উদ্দেশ্যে এখানে থাকছ?"
Eliminar comentario
¿ Seguro que deseas eliminar esté comentario ?