#ইলিশ#
ইলিশ মাছের কিছু বৈশিষ্ট্য:
দেহ লম্বাটে এবং চাপা।
পৃষ্ঠীয় পাখনা নেই, তবে ১৮-২১টি নরম রশ্মি থাকে।
পায়ু পাখনায় ১৮-২৩টি নরম রশ্মি থাকে।
পেটে ৩০-৩৩টি আঁশ থাকে।
উপরের চোয়ালে একটি স্পষ্ট মধ্যবর্তী খাঁজ থাকে।
ফুলকা অসংখ্য এবং খুব ছোট ছোট, প্রায় ১০০ থেকে ২৫০টি।
প্রাপ্তবয়স্ক মাছের রঙ রূপালী এবং কিছুটা সোনালী ও বেগুনি আভা যুক্ত।
জুভেনাইল পর্যায়ে ফুলকার পিছনে একটি গাঢ় ছোপ থাকে এবং পাশে ছোট ছোট দাগের একটি সারি থাকে।
এরা সাধারণত উপকূলীয় জলে ঝাঁক বেঁধে চলে এবং ডিম পাড়ার জন্য নদীর উজানে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত migration করে (যদিও অনেক সময় বাঁধের কারণে এটি সীমিত হয়ে যায়)।
এরা প্ল্যাঙ্কটন এবং কাদাBottom থেকে খাবার গ্রহণ করে।
প্রধানত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুনে (জুন থেকে সেপ্টেম্বর) এবং দ্বিতীয়বার জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নদীতে ডিম পাড়ে।
একটি স্ত্রী মাছ প্রায় ২০ লক্ষ পর্যন্ত ডিম দিতে পারে।
ইলিশ লোনা ও মিঠা উভয় জলেই বাস করতে পারে।
এরা দ্রুত সাঁতার কাটে এবং একদিনে ৭১ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে বলে জানা যায়।
সাধারণত ৩৫-৪০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়, তবে কিছু মাছ ৬০ সেমি পর্যন্তও হতে পারে।
ওজন সাধারণত ৬০০-৮০০ গ্রাম হয়, তবে ২.৫ কেজি পর্যন্তও হতে পারে।
এদের জীবনকাল প্রায় ৫ বছর।
ইলিশ মাছের খাদ্যগুণ:
ইলিশ একটি তৈলাক্ত মাছ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ।
এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
এতে ভিটামিন এ এবং ডি-ও present থাকে।
কিছু জনপ্রিয় ইলিশের পদ:
সর্ষে ইলিশ: সরিষার পেস্ট, কাঁচা মরিচ এবং সরিষার তেল দিয়ে রান্না করা হয়।
ভাপা ইলিশ: সরিষার পেস্ট ও অন্যান্য মশলা দিয়ে ভাপে রান্না করা হয়।
ইলিশ ভাজা: লবণ ও হলুদ মাখিয়ে ভেজে নেওয়া হয়।
দই ইলিশ: দই ও মশলা দিয়ে রান্না করা হয়।
ইলিশ পোলাও: ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করা বিশেষ পোলাও।
ইলিশের ঝোল: হালকা মশলা দিয়ে পাতলা ঝোল রান্না করা হয়।
ইলিশ মাছ তার স্বাদ, গন্ধ এবং পুষ্টিগুণের জন্য খুবই সমাদৃত এবং এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Iman Ali
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?