পার্ট:২
ডায়েরিটা বহু বছর আগের কোনো এক নাবিকের লেখা ছিল। সেই নাবিক তার সমুদ্রযাত্রার কাহিনি লিখে রেখে গিয়েছিল, দূরের দেশের গল্প, অচেনা দ্বীপের কথা। রূপা রোজ সেই ডায়েরির পাতা উল্টাত আর তার মন কল্পনার ডানায় ভর করে ভেসে বেড়াত।
আংটিটা রূপা নিজের আঙুলে পরে নিল। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, আংটি পরার পর থেকেই রূপা যেন প্রকৃতির ভাষা বুঝতে পারত। সে পাখির গান শুনতে পেত, পাতার মর্মরধ্বনি অনুভব করতে পারত, এমনকি নদীর স্রোতের গোপন কথা জানতে পারত।
একদিন, রূপা নদীর ধারে ঘুরতে ঘুরতে একটি আহত কাঠবিড়ালি দেখতে পেল। কাঠবিড়ালিটির পায়ে আঘাত লেগেছিল। রূপা তার নতুন পাওয়া ক্ষমতার সাহায্যে বুঝতে পারল কাঠবিড়ালিটি ব্যথায় কাতরাচ্ছে। সে সাবধানে কাঠবিড়ালিটিকে বাড়ি নিয়ে এল এবং তার সেবা করতে শুরু করল।
কয়েক দিন পর কাঠবিড়ালিটি সুস্থ হয়ে উঠল। যাওয়ার আগে সে রূপার হাতে আলতো করে একটি ছোট্ট বীজ রেখে গেল। রূপা সেই বীজটি নদীর ধারে মাটিতে পুঁতে দিল। কিছুদিন পর সেখান থেকে একটি সুন্দর চারাগাছ জন্মাল। গাছটি ধীরে ধীরে বড় হতে লাগল এবং তাতে ফুটল অজস্র সোনালী ফুল।
গ্রামের লোকেরা অবাক হয়ে সেই সুন্দর গাছটি দেখত। রূপা তখন তাদের বলত সেই নাবিকের গল্প আর তার পাওয়া আংটির কথা। তারা বুঝতে পারত, প্রকৃতির সাথে রূপার এক গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।