লজ্জাপতি গাছ, যার বৈজ্ঞানিক নাম Mimosa pudica, আমাদের দেশে লজ্জাবতী বা লাজুক লতা নামেও পরিচিত। এই গাছটি মূলত একটি বহুবর্ষজীবী গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ, যার প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর পাতা স্পর্শ করলে সঙ্কুচিত হয়ে যায়। এটি দেখে অনেকেই কৌতূহলী হন, কিন্তু এই গাছের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ ঔষধি গুণ। আয়ুর্বেদিক ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় লজ্জাপতির ব্যবহার বহু পুরনো।
#28
---
গল্প ১: শেষ ট্রেন
মফস্বলের ছোট্ট রেলস্টেশন। রাত তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা। স্টেশনে একা বসে আছে বৃদ্ধ গোপালচন্দ্র। চোখে অদ্ভুত শূন্যতা। শেষ ট্রেন আসবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে। তিনি জানেন—এই ট্রেন ধরলে ছেলেদের শহরের বাড়িতে যাওয়া সম্ভব, না ধরলে থেকে যাওয়া চিরকালের মতো এই গ্রামে।
স্মৃতির ভেতর ভেসে উঠছে স্ত্রীর মুখ, যিনি গতবছর চলে গেছেন। ছেলে-মেয়েরা শহরে, তাদের ডাক আছে—“বাবা, চলে এসো, একা আর কতদিন?” কিন্তু গোপালের বুক টানে এই গ্রাম, এই পুকুর, এই ক্ষেত।
ট্রেনের সিটি বাজল। গোপাল দাঁড়ালেন। তাঁর চোখ ভিজে উঠল—ছোটবেলার খেলাধুলা, স্ত্রীর সঙ্গে নদীর পাড়ে হাঁটা, সব যেন বিদায় নিচ্ছে।
অবশেষে ট্রেন এল। দরজা খোলা। তিনি দাঁড়িয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপর ধীরে ধীরে উঠে গেলেন ভেতরে। জানালা দিয়ে শেষবার তাকালেন গ্রামের দিকে। মনে হল—তিনি একসঙ্গে বিদায় জানালেন অতীতকে, আর স্বাগত জানালেন নতুন জীবনের শুরু।
---
গল্প ২: হারানো দিনলিপি
মিতার বিয়ের পর নতুন বাসায় উঠল। পুরোনো আলমারি খুলতে গিয়ে এক কোণে পেল ধুলোমাখা এক খাতা। কৌতূহল বশত খুলল। অবাক হয়ে দেখল—এটা তার নিজের কলেজ জীবনের দিনলিপি! সে কেমন ছিল, কাকে পছন্দ করত, কোন স্বপ্নগুলোকে বুকে লালন করত—সবই লেখা।
পাতা উল্টাতে উল্টাতে চোখে জল এল। কারণ সেখানে লিখা—“আমি একদিন ভালো লেখক হবো।” অথচ চাকরি-বিয়ে-গৃহস্থালির ভিড়ে সে স্বপ্ন যেন চাপা পড়ে গেছে।
দিনলিপি তাকে মনে করিয়ে দিল—সে এখনো লিখতে পারে। সেদিন রাতে খাতাটা বুকে চেপে প্রতিজ্ঞা করল—আবার লিখবে। হয়তো পেশাদার লেখক হবে না, তবু তার ভেতরের স্বপ্নটা আবার বাঁচবে।
---
গল্প ৩: ভিখারির গান
ঢাকার ব্যস্ত মোড়ে বসে আছে এক ভিখারি। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। হাতে ভাঙা একটুখানি একতারা। মানুষ তাকে কয়েন দেয় না, তবু সে গান ছাড়ে না।
এক তরুণ দাঁড়িয়ে শোনে। সুরে যেন কষ্ট আর আশার মিশ্রণ। তরুণটি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে—“আপনি ভিক্ষা করেন কেন? এত সুন্দর গান গাইতে পারেন!”
ভিখারি হেসে বলে—“গান আমার জীবন, ভিক্ষা আমার বাঁচা। দুটো মিলে আমি টিকে আছি।”
তরুণটি সেদিন তার ভিডিও করে অনলাইনে দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে সেই ভিখারি হয় ভাইরাল। গানের কদর মেলে, আর ভিক্ষার বদলে আবার গানই হয়ে ওঠে তার রুজি।
---
গল্প ৪: ছোট্ট উপহার
এক ছোট্ট মেয়ে, নাম টুনি। খুব গরিব ঘরে জন্ম। স্কুলে সবাই বড় ব্যাগ, রঙিন খাতা নিয়ে আসে। টুনির কাছে নেই কিছুই।
একদিন শিক্ষক তাকে ডেকে দিলেন। হাতে দিলেন একটি নতুন খাতা আর কলম। টুনির চোখ ঝলমল করে উঠল। সে যেন দুনিয়ার সবচেয়ে দামি উপহার পেল।
সেই খাতাতেই সে প্রথম অক্ষর লিখল, প্রথম আঁকিবুকি করল। ছোট্ট সেই উপহার তার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হয়ে গেল।
---
গল্প ৫: নীলচোখ কুকুর
বৃষ্টির রাতে রাস্তার পাশে কাঁদছিল এক কুকুরছানা। তার চোখ ছিল আশ্চর্য নীল। রিমা তাকে কোলে তুলে বাসায় নিয়ে এল।
পরিবার প্রথমে মানতে চাইছিল না, কিন্তু ধীরে ধীরে সবাই কুকুরটিকে ভালোবেসে ফেলল।
কয়েক বছর পর কুকুরটা রিমাকে একবার জীবন বাঁচাল—রাতের অন্ধকারে চোর ঢুকেছিল, সে ঘেউ ঘেউ করে সবাইকে জাগিয়ে দেয়।
রিমা বুঝল—এক বৃষ্টির রাতে যাকে সে আশ্রয় দিয়েছিল, সে-ই হয়ে উঠেছে তার জীবনের রক্ষাকর্তা।
---
👉 এগুলো প্রথম ৫টি গল্প। চাইলে আমি এভাবে বাকিগুলো লিখে দিতে পারি, মোট ২০টা পূর্ণ হবে।
আপনি কি চান আমি এখনই বাকি ১৫টা গল্প লিখে দিই, নাকি কয়েক ভাগে দেব যাতে পড়তে সহজ হয়?
#14একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল। মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল-
“ ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।
মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল। ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল-
“ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। আমি এখানে তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো। সব কথা শুনে গরু বলল-
“ইদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। যা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা- তাতে আমি সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো।
রাতের বেলা বাড়ির কর্ত্রী অন্ধকারের ভিতর বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পরেছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পরেছে।
আহান পান্ডে ও আনিত পাড্ডার ‘সাইয়ারা’ সিনেমা: নতুন যুগের প্রেমকথা
বলিউডে আবার এক নতুন জুটির উন্মেষ ঘটেছে—আহান পান্ডে ও আনিত পাড্ডা। তাদের প্রথম সিনেমা ‘সাইয়ারা’ ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। এই রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার চলচ্চিত্রে দুই তরুণ তারকার অভিনয় ও রসায়ন এক নতুন ধরণের অভিজ্ঞতা এনে দেয়।
আহান পান্ডে, চাঙ্কি পান্ডের ভাইপো এবং অনন্যা পান্ডের ভাই, বলিউডে নতুন মুখ হলেও তার আত্মবিশ্বাস ও অভিনয় দক্ষতা চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে, আনিত পাড্ডা একজন ফ্যাশন মডেল ও নবাগত অভিনেত্রী, যিনি তার প্রথম ছবিতেই প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তাদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি এতটাই মধুর যে, ‘সাইয়ারা’ প্রেমিক-প্রেমিকার হৃদয়ের কথা বলে।
চলচ্চিত্রটির কাহিনি এক শহরের ব্যস্ত জীবনের মাঝে ভালোবাসার অদ্ভুত এক যাত্রা নিয়ে। ‘সাইয়ারা’ শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, এটি স্বপ্ন, সংগ্রাম এবং আত্ম-আবিষ্কারের এক চিত্রকল্প। ছবিটির সঙ্গীত ও সিনেমাটোগ্রাফিও প্রশংসার দাবি রাখে।
পরিচালক এই ছবিতে আধুনিক প্রেম ও প্রথাগত ভালোবাসার মধ্যকার দ্বন্দ্বকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আহান-আনিতের অভিনয় ‘সাইয়ারা’কে তরুণ প্রজন্মের প্রিয় সিনেমার তালিকায় জায়গা করে দিতে সক্ষম হয়েছে।
সবমিলিয়ে, ‘সাইয়ারা’ এক মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প, যেখানে নতুন প্রজন্মের প্রেম, স্বপ্ন ও আবেগ সজীব হয়ে উঠেছে। আহান পান্ডে ও আনিত পাড্ডা ভবিষ্যতের বলিউডে যে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নেবেন, সে ইঙ্গিত এই সিনেমাই দিয়ে দিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট...পুরোটা পড়বেন প্লিজ...🙏
🐾 কুকুর মিলনের সময় "আটকে যাওয়া" কেন ঘটে?
জনসচেতনতার জন্য একটি বার্তা -
পশু চিকিৎসক ও প্রাণীবিজ্ঞানীরা প্রকৃতিতে এমন অনেক বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন যা অনেকের কাছে অদ্ভুত বা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে — যেমন, কুকুর মিলনের সময় “আটকে” যাওয়া।
দুঃখজনকভাবে, এই প্রাকৃতিক আচরণটি অনেকেই ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন এবং তখন অনেকেই নিষ্ঠুর আচরণ করেন — কুকুরকে লাথি মারা, আঘাত করা বা জোরপূর্বক আলাদা করার চেষ্টা করেন।
🧠 কিন্তু চলুন জেনে নিই, আসলে কী ঘটে তখন?
কুকুরের প্রজনন প্রক্রিয়ায় একাধিক ধাপ থাকে। এর মধ্যে একটি ধাপ হলো “টাই” বা আটকে থাকার ধাপ। এই সময় পুরুষ কুকুরের পুরুষাঙ্গের একটি অংশ (Bulbus glandis) ফুলে যায়, আর একই সময়ে স্ত্রী কুকুরের যৌন অঙ্গে পেশি সংকোচন ঘটে — ফলে দু’জন স্বাভাবিকভাবেই আটকে যায়।
⏱ এই অবস্থা ৫ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এটা দেখতে অস্বাভাবিক মনে হলেও এটি একেবারে স্বাভাবিক এবং কুকুরদের জন্য বেদনার নয়। এই সময়টাতে প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয় তরল নির্গত হয়।
❌ জোরপূর্বক আলাদা করলে কী হতে পারে?
🔴 উভয় কুকুরের দেহে পেশি ছিঁড়ে যেতে পারে।
🔴 স্ত্রী কুকুরের প্রজননতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি বন্ধ্যাত্ব হতে পারে।
🔴 পুরুষ কুকুরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন কিডনি পর্যন্ত ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
✅ অনুরোধ:
দয়া করে হস্তক্ষেপ করবেন না।
কুকুররা তাদের স্বাভাবিক প্রজনন আচরণ অনুসরণ করছে। তারা কাউকে ক্ষতি করছে না।
দয়া করে তাদের প্রতি সদয় হন।
🕊️ প্রকৃতিকে তার নিজস্ব নিয়মে চলতে দিন।
📣 মনে রাখুন:
সচেতনতা ও সহানুভূতি — এ দুটোই সবচেয়ে বড় মানবতা।
সব প্রাণীর প্রতি সদয় হোন। 🌺 #savelife
Rubel Hasan
Hapus Komentar
Apakah Anda yakin ingin menghapus komentar ini?