**গল্পের নাম: ছায়ার ডাক**
বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় অরণ্যের কিনারে অবস্থিত পুরনো এক বাংলোতে পৌঁছালেন ইতিহাস গবেষক রুদ্র। বাংলোটি বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিল, কিন্তু সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগে তা পুনরায় সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। রুদ্র এসেছেন এই বাংলোর অতীত নিয়ে গবেষণা করতে।
রাত বাড়তেই ঝড় শুরু হয়। বাংলোর ভিতর অদ্ভুত এক সুনসান নীরবতা। হঠাৎই দেয়ালের পুরনো একটি আলমারি নিজের থেকে খুলে যায়। রুদ্র ভেতরে দেখতে পান একটি পচা পুরনো ডায়েরি। ডায়েরিতে লেখা:
*"যদি এই ডায়েরি কেউ পড়ো, তবে সাবধান। প্রতিটি শব্দ আমার অভিশপ্ত রাতের সাক্ষ্য। ছায়াটা ফিরে আসবে... ঠিক মধ্যরাতে।"*
রুদ্র ভাবলেন হয়তো কোনো পাগলের কল্পনা। কিন্তু যখন ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা ছুঁলো, তখন পুরনো কাঠের মেঝেতে হঠাৎ করেই ধীরে ধীরে কারো পায়ের আওয়াজ শোনা গেল। দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পেলেন, সিঁড়ি বেয়ে এক কালো ছায়ামূর্তি ধীরে ধীরে উঠছে।
ছায়াটির মুখ দেখা যায় না, কিন্তু তার উপস্থিতি ঘর ঠান্ডা করে তোলে। রুদ্র কিছু বলতে গিয়ে হঠাৎ লক্ষ্য করেন—নিজের শরীর যেন জমে যাচ্ছে, গলা থেকে শব্দ বেরোচ্ছে না। ছায়াটি কাছে এসে ফিসফিস করে বলে,
*"তুমি আমার গল্প জানলে... এখন তুমিও আমার মতোই ধরা পড়লে..."*
পরদিন সকালে লোকজন বাংলোতে এসে দেখে, রুদ্র নেই। শুধু খোলা ডায়েরির পাতায় নতুন করে লেখা একটি লাইন:
*"এখন সে ছায়ার বন্দী..."*
#sifat10
Mst Jannat
टिप्पणी हटाएं
क्या आप वाकई इस टिप्पणी को हटाना चाहते हैं?