Abu Hasan Bappi  एक नया लेख बनाया
50 में ·अनुवाद करना

কম্পিউটারের নিরাপত্তায় অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার | #computer #software #antivirus

কম্পিউটারের নিরাপত্তায় অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার

কম্পিউটারের নিরাপত্তায় অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার

প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের সাথে সাথে সাইবার ক্রাইম একটি ক্রমবর্ধমান চাপের উদ্বেগ হয়ে উঠেছে।
9 में ·अनुवाद करना

তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, এসসিও সদস্য রাষ্ট্রগুলো মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ইসরায়েলি হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে।

এসসিও আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলাগুলো ‘বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে সরাসরি আগ্রাসন’। সংস্থাটির মতে, এসব হামলা ‘ইরানের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তায় হুমকি এবং বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’

9 में ·अनुवाद करना

গীতিকাব্য
তোমরা হেলা করোনা অবগা করোনা

তোমরা হেলা করোনা অবগা করোনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা
তোমারা হেলা করোনা অবগা করোনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা।

আমি ঝড় জলোচ্ছ্বাস রোদ বৃষ্টি সব তরাইতে পারি
আমি দেশ মা মাটি মানুষের তরে নিবেদিত কান্ডারি
আমি ঝড় জলোচ্ছ্বাস রোদ বৃষ্টি সব তরাইতে পারি
আমি দেশ মা মাটি মানুষের তরে নিবেদিত কান্ডারি
আমি বুদ্ধি শক্তি সাহসী বীর সৈনিক একজনা,
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা,
তোমরা হেলা করোনা অবগা করোনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা।

আমি উন্নয়ন আর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সারাক্ষণ
আমি শত্রু এলে রাখব বাজি জীবন আর মরন
আমি উন্নয়ন আর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সারাক্ষণ
আমি শত্রু এলে রাখব বাজি জীবন আর মরন
আমি আত্বকর্মী হওয়ার আশায় সৈনিক একজনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা,
তোমরা হেলা করোনা অবগা করোনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা।

আমি অধম নাদান কালাম বলি সব সৈনিকের তরে
বুদ্ধি সাহস শক্তি রেখ নিজ নিজ অন্তরে
আমি অধম নাদান কালাম বলি সব সৈনিকের তরে
বুদ্ধি সাহস শক্তি রেখ নিজ নিজ অন্তরে
তবেই দেশে শান্তি রবে করবে না কেউ হানা,
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা,
তোমরা হেলা করোনা অবগা করোনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা।

তোমরা হেলা করোনা অবগা করোনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা
তোমারা হেলা করোনা অবগা করোনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা
তোমরা হেলা করোনা অবগা করোনা
আমি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশের সেবক একজনা
আমি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সেবক একজনা।

10 में ·अनुवाद करना

“কোড ৯৪”

নিশি একজন হ্যাকিং বিশেষজ্ঞ, আর রুদ্র একজন গোপন এজেন্ট।
দুজনেই জানে না যে তারা যার প্রেমে পড়েছে, সে-ই তাদের মিশনের লক্ষ্য।

তারা দেখা করে ক্যাফেতে, রাতে ফোনে কথা হয়,
নিশি ভাবে রুদ্র একজন ফটোগ্রাফার,
রুদ্র ভাবে নিশি একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার।

একদিন নিশির ল্যাপটপ থেকে পাওয়া গেল “কোড ৯৪” — এক ভয়ংকর রাষ্ট্রীয় গোপন ফাইলের নাম।
রুদ্র জানে, তাকে এখন নিশিকে গ্রেফতার করতে হবে।

কিন্তু ওই রাতে নিশি প্রথমবার বলল,
"তুমি যদি জানতে আমি কে, তুমি কি আমায় ভালোবাসতে?"

রুদ্র বলল না কিছু, শুধু তাকিয়ে থাকল অনেকক্ষণ।
তারপর চুপচাপ বলল,
"জানি… তাও ভালোবাসি। কিন্তু আমার পরিচয়ও তুমি জানো না।"

এক সেকেন্ড চুপ, তারপর দুজনে একসাথে বলে ফেলল,
"তুমি ‘টার্গেট’!"

বিস্ময়, ব্যথা আর ভালোবাসা একসাথে জমে গেল।

পরদিন ভোরে দুই সংস্থা তাদের খুঁজে পেল না।
তারা উধাও…

শুধু ফাঁকা ঘরে পড়ে ছিল একটি ল্যাপটপ,
তাতে একটা নোট:
“কোড ৯৪ বাতিল — আমরা দুজনেই মিশন থেকে বেরিয়ে এসেছি। এবার শুধু মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই।”


---

Md Jony  
11 में ·अनुवाद करना

নিশ্চয়ই! আমি আপনাকে একটা গল্প বলছি — আধুনিক শহর ও প্রাচীন রূপকথার মিশেলে। গল্পটার নাম "আয়নার শহর"।


---

আয়নার শহর

রোদ পড়েছে বিকেলের।
ধুলোমাখা শহরের ফুটপাথে হাঁটছে অয়ন — কাঁধে ব্যাগ, চোখে ক্লান্তি।
সে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, চাকরি করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে।
সবই ঠিক, সবই “নিরাপদ”, কিন্তু ভেতরে কোথাও যেন একটা শূন্যতা জমেছে।
প্রতিদিন সকালে উঠে অফিস, কম্পিউটারের সামনে আট ঘণ্টা, তারপর বাড়ি।
জীবনের অর্থ যেন স্লাইড হয়ে যাচ্ছে পর্দার ভিতর দিয়ে।

একদিন সন্ধ্যায়, অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে হঠাৎ অয়ন একটা গলিতে ঢুকে পড়ে।
গলিটা সে আগে কখনো দেখেনি, অথচ এতোদিন এই পথেই চলেছে।
গলির শেষে দাঁড়িয়ে এক পুরনো, ধূসর, ছাউনিমোড়া দোকান।
সামনে ঝুলছে একটা কাঠের সাইনবোর্ড:
“আয়নার দোকান — নিজের চোখে দেখুন নিজেকে”

অয়ন কৌতূহল বশে ঢুকে যায়।
ভিতরে এক বৃদ্ধ বসে আছেন — চোখে গোল ফ্রেমের চশমা, গলায় রূপার চেইন।
দোকানের দেয়ালজুড়ে শুধু আয়না। সব আয়নাই একটু অদ্ভুত — কোনোটা ধোঁয়াটে, কোনোটা বিকৃত নয়, কিন্তু মনে হয় যেন ভেতরে অন্য কিছু আছে।

বৃদ্ধ বললেন,
— “তুমি কী খুঁজছো?”
অয়ন একটু চমকে বলল,
— “জানি না… নিজের একটু আলাদা রূপ হয়তো।”

বৃদ্ধ হেসে একটা আয়নার দিকে ইশারা করলেন।
“এই আয়নাটা শুধুমাত্র সত্যদর্শী। দেখো না একবার?”

অয়ন সামনে দাঁড়াল।
আয়নায় সে যা দেখল, তাতে তার বুক কেঁপে উঠল।
সে নিজেকে দেখল, কিন্তু ঠিক এখনকার অয়ন নয় —
সে একজন শিল্পী, পাহাড়ে থাকছে, চারপাশে রং, শব্দ, ছন্দ,
এক অন্য জীবন, যেটা সে কখনো বেছে নেয়নি।

তার চোখে জল চলে এল।
সে ফিরে তাকাল বৃদ্ধের দিকে — কিন্তু দোকান ফাঁকা।
সব আয়না অন্ধকার, দরজা নেই, দেয়াল নিঃশব্দ।

সে বুঝে গেল — এই গলি, এই দোকান, এই আয়না —
সবই একটা মুহূর্তের ফাটলে দেখা পাওয়া নিজের হারিয়ে যাওয়া সম্ভাবনার।

ঘরে ফিরে সে পরদিন চাকরিতে পদত্যাগপত্র জমা দেয়।
এক পুরনো স্কেচবুক খুঁজে বার করে আবার ছবি আঁকা শুরু করে।


---

এই ছিল “আয়নার শহর”।
বলুন তো, আপনি যদি সেই আয়নায় তাকাতেন — কী দেখতেন?নিশ্চয়ই! আমি আপনাকে একটা গল্প বলছি — আধুনিক শহর ও প্রাচীন রূপকথার মিশেলে। গল্পটার নাম "আয়নার শহর"।


---

আয়নার শহর

রোদ পড়েছে বিকেলের।
ধুলোমাখা শহরের ফুটপাথে হাঁটছে অয়ন — কাঁধে ব্যাগ, চোখে ক্লান্তি।
সে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, চাকরি করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে।
সবই ঠিক, সবই “নিরাপদ”, কিন্তু ভেতরে কোথাও যেন একটা শূন্যতা জমেছে।
প্রতিদিন সকালে উঠে অফিস, কম্পিউটারের সামনে আট ঘণ্টা, তারপর বাড়ি।
জীবনের অর্থ যেন স্লাইড হয়ে যাচ্ছে পর্দার ভিতর দিয়ে।

একদিন সন্ধ্যায়, অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে হঠাৎ অয়ন একটা গলিতে ঢুকে পড়ে।
গলিটা সে আগে কখনো দেখেনি, অথচ এতোদিন এই পথেই চলেছে।
গলির শেষে দাঁড়িয়ে এক পুরনো, ধূসর, ছাউনিমোড়া দোকান।
সামনে ঝুলছে একটা কাঠের সাইনবোর্ড:
“আয়নার দোকান — নিজের চোখে দেখুন নিজেকে”

অয়ন কৌতূহল বশে ঢুকে যায়।
ভিতরে এক বৃদ্ধ বসে আছেন — চোখে গোল ফ্রেমের চশমা, গলায় রূপার চেইন।
দোকানের দেয়ালজুড়ে শুধু আয়না। সব আয়নাই একটু অদ্ভুত — কোনোটা ধোঁয়াটে, কোনোটা বিকৃত নয়, কিন্তু মনে হয় যেন ভেতরে অন্য কিছু আছে।

বৃদ্ধ বললেন,
— “তুমি কী খুঁজছো?”
অয়ন একটু চমকে বলল,
— “জানি না… নিজের একটু আলাদা রূপ হয়তো।”

বৃদ্ধ হেসে একটা আয়নার দিকে ইশারা করলেন।
“এই আয়নাটা শুধুমাত্র সত্যদর্শী। দেখো না একবার?”

অয়ন সামনে দাঁড়াল।
আয়নায় সে যা দেখল, তাতে তার বুক কেঁপে উঠল।
সে নিজেকে দেখল, কিন্তু ঠিক এখনকার অয়ন নয় —
সে একজন শিল্পী, পাহাড়ে থাকছে, চারপাশে রং, শব্দ, ছন্দ,
এক অন্য জীবন, যেটা সে কখনো বেছে নেয়নি।

তার চোখে জল চলে এল।
সে ফিরে তাকাল বৃদ্ধের দিকে — কিন্তু দোকান ফাঁকা।
সব আয়না অন্ধকার, দরজা নেই, দেয়াল নিঃশব্দ।

সে বুঝে গেল — এই গলি, এই দোকান, এই আয়না —
সবই একটা মুহূর্তের ফাটলে দেখা পাওয়া নিজের হারিয়ে যাওয়া সম্ভাবনার।

ঘরে ফিরে সে পরদিন চাকরিতে পদত্যাগপত্র জমা দেয়।
এক পুরনো স্কেচবুক খুঁজে বার করে আবার ছবি আঁকা শুরু করে।


---

এই ছিল “আয়নার শহর”।
বলুন তো, আপনি যদি সেই আয়নায় তাকাতেন — কী দেখতেন?

Md Jony  
11 में ·अनुवाद करना

নিশ্চয়ই! আমি আপনাকে একটা গল্প বলছি — আধুনিক শহর ও প্রাচীন রূপকথার মিশেলে। গল্পটার নাম "আয়নার শহর"।


---

আয়নার শহর

রোদ পড়েছে বিকেলের।
ধুলোমাখা শহরের ফুটপাথে হাঁটছে অয়ন — কাঁধে ব্যাগ, চোখে ক্লান্তি।
সে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, চাকরি করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে।
সবই ঠিক, সবই “নিরাপদ”, কিন্তু ভেতরে কোথাও যেন একটা শূন্যতা জমেছে।
প্রতিদিন সকালে উঠে অফিস, কম্পিউটারের সামনে আট ঘণ্টা, তারপর বাড়ি।
জীবনের অর্থ যেন স্লাইড হয়ে যাচ্ছে পর্দার ভিতর দিয়ে।

একদিন সন্ধ্যায়, অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে হঠাৎ অয়ন একটা গলিতে ঢুকে পড়ে।
গলিটা সে আগে কখনো দেখেনি, অথচ এতোদিন এই পথেই চলেছে।
গলির শেষে দাঁড়িয়ে এক পুরনো, ধূসর, ছাউনিমোড়া দোকান।
সামনে ঝুলছে একটা কাঠের সাইনবোর্ড:
“আয়নার দোকান — নিজের চোখে দেখুন নিজেকে”

অয়ন কৌতূহল বশে ঢুকে যায়।
ভিতরে এক বৃদ্ধ বসে আছেন — চোখে গোল ফ্রেমের চশমা, গলায় রূপার চেইন।
দোকানের দেয়ালজুড়ে শুধু আয়না। সব আয়নাই একটু অদ্ভুত — কোনোটা ধোঁয়াটে, কোনোটা বিকৃত নয়, কিন্তু মনে হয় যেন ভেতরে অন্য কিছু আছে।

বৃদ্ধ বললেন,
— “তুমি কী খুঁজছো?”
অয়ন একটু চমকে বলল,
— “জানি না… নিজের একটু আলাদা রূপ হয়তো।”

বৃদ্ধ হেসে একটা আয়নার দিকে ইশারা করলেন।
“এই আয়নাটা শুধুমাত্র সত্যদর্শী। দেখো না একবার?”

অয়ন সামনে দাঁড়াল।
আয়নায় সে যা দেখল, তাতে তার বুক কেঁপে উঠল।
সে নিজেকে দেখল, কিন্তু ঠিক এখনকার অয়ন নয় —
সে একজন শিল্পী, পাহাড়ে থাকছে, চারপাশে রং, শব্দ, ছন্দ,
এক অন্য জীবন, যেটা সে কখনো বেছে নেয়নি।

তার চোখে জল চলে এল।
সে ফিরে তাকাল বৃদ্ধের দিকে — কিন্তু দোকান ফাঁকা।
সব আয়না অন্ধকার, দরজা নেই, দেয়াল নিঃশব্দ।

সে বুঝে গেল — এই গলি, এই দোকান, এই আয়না —
সবই একটা মুহূর্তের ফাটলে দেখা পাওয়া নিজের হারিয়ে যাওয়া সম্ভাবনার।

ঘরে ফিরে সে পরদিন চাকরিতে পদত্যাগপত্র জমা দেয়।
এক পুরনো স্কেচবুক খুঁজে বার করে আবার ছবি আঁকা শুরু করে।


---

এই ছিল “আয়নার শহর”।
বলুন তো, আপনি যদি সেই আয়নায় তাকাতেন — কী দেখতেন?নিশ্চয়ই! আমি আপনাকে একটা গল্প বলছি — আধুনিক শহর ও প্রাচীন রূপকথার মিশেলে। গল্পটার নাম "আয়নার শহর"।


---

আয়নার শহর

রোদ পড়েছে বিকেলের।
ধুলোমাখা শহরের ফুটপাথে হাঁটছে অয়ন — কাঁধে ব্যাগ, চোখে ক্লান্তি।
সে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, চাকরি করে একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে।
সবই ঠিক, সবই “নিরাপদ”, কিন্তু ভেতরে কোথাও যেন একটা শূন্যতা জমেছে।
প্রতিদিন সকালে উঠে অফিস, কম্পিউটারের সামনে আট ঘণ্টা, তারপর বাড়ি।
জীবনের অর্থ যেন স্লাইড হয়ে যাচ্ছে পর্দার ভিতর দিয়ে।

একদিন সন্ধ্যায়, অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে হঠাৎ অয়ন একটা গলিতে ঢুকে পড়ে।
গলিটা সে আগে কখনো দেখেনি, অথচ এতোদিন এই পথেই চলেছে।
গলির শেষে দাঁড়িয়ে এক পুরনো, ধূসর, ছাউনিমোড়া দোকান।
সামনে ঝুলছে একটা কাঠের সাইনবোর্ড:
“আয়নার দোকান — নিজের চোখে দেখুন নিজেকে”

অয়ন কৌতূহল বশে ঢুকে যায়।
ভিতরে এক বৃদ্ধ বসে আছেন — চোখে গোল ফ্রেমের চশমা, গলায় রূপার চেইন।
দোকানের দেয়ালজুড়ে শুধু আয়না। সব আয়নাই একটু অদ্ভুত — কোনোটা ধোঁয়াটে, কোনোটা বিকৃত নয়, কিন্তু মনে হয় যেন ভেতরে অন্য কিছু আছে।

বৃদ্ধ বললেন,
— “তুমি কী খুঁজছো?”
অয়ন একটু চমকে বলল,
— “জানি না… নিজের একটু আলাদা রূপ হয়তো।”

বৃদ্ধ হেসে একটা আয়নার দিকে ইশারা করলেন।
“এই আয়নাটা শুধুমাত্র সত্যদর্শী। দেখো না একবার?”

অয়ন সামনে দাঁড়াল।
আয়নায় সে যা দেখল, তাতে তার বুক কেঁপে উঠল।
সে নিজেকে দেখল, কিন্তু ঠিক এখনকার অয়ন নয় —
সে একজন শিল্পী, পাহাড়ে থাকছে, চারপাশে রং, শব্দ, ছন্দ,
এক অন্য জীবন, যেটা সে কখনো বেছে নেয়নি।

তার চোখে জল চলে এল।
সে ফিরে তাকাল বৃদ্ধের দিকে — কিন্তু দোকান ফাঁকা।
সব আয়না অন্ধকার, দরজা নেই, দেয়াল নিঃশব্দ।

সে বুঝে গেল — এই গলি, এই দোকান, এই আয়না —
সবই একটা মুহূর্তের ফাটলে দেখা পাওয়া নিজের হারিয়ে যাওয়া সম্ভাবনার।

ঘরে ফিরে সে পরদিন চাকরিতে পদত্যাগপত্র জমা দেয়।
এক পুরনো স্কেচবুক খুঁজে বার করে আবার ছবি আঁকা শুরু করে।


---

এই ছিল “আয়নার শহর”।
বলুন তো, আপনি যদি সেই আয়নায় তাকাতেন — কী দেখতেন?