ঘড়ির উল্টোটা
রাত্রি ১২টা ৪৪ মিনিট। তানভীর ঘুম থেকে উঠলো হঠাৎ একটা শব্দে—ঘড়ির কাঁটা যেন উল্টো দিকে ঘুরছে। প্রথমে মনে করলো স্বপ্ন দেখছে, কিন্তু বিছানার পাশে রাখা টেবিল ঘড়ির কাঁটাগুলো সত্যিই পিছিয়ে যাচ্ছে!
সে জানে, এই ঘড়িটি তার দাদার ছিল—একজন রহস্যময় বিজ্ঞানী, যিনি সময় নিয়ে নাকি পরীক্ষা করতেন। দাদার মৃত্যুর পর ঘড়িটি তারই ঘরে রেখে যায়।
পরদিন সকালে, তানভীর আবিষ্কার করলো তার দরজা তালাবদ্ধ, অথচ সে কখনো বন্ধ করেনি। জানালার বাইরে সবকিছু চলেছে আগের দিনের মতো—একেবারে হুবহু। পত্রিকার তারিখও আগের দিনের! সে বুঝে গেল, সময় আসলে পেছনে ফিরে যাচ্ছে।
দিন যতই পেছাতে থাকে, ততই সে নিজেকে ছোট হতে দেখতে পায়—মনে পড়ে না বিগত কিছু স্মৃতি, নতুন করে পুরনো ঘটনা ঘটছে। একদিন সে আবার শিশু হয়ে যায়। এরপর আর কিছুই মনে নেই।
সেই দিন থেকে তানভীরকে আর কেউ দেখেনি। শুধু তার ঘরে পড়ে থাকে সেই ঘড়ি—যেটা এখনও ধীরে ধীরে পেছাচ্ছে।
ঘরের দরজায় লেখা আছে এক লাইন:
"যে সময় নিয়ে খেলে, সে সময়েই হারিয়ে যায়…"
#sifat10

Famim Islam
Tanggalin ang Komento
Sigurado ka bang gusto mong tanggalin ang komentong ito?