বন্ধুদের সাথে কখনো আড্ডা দিয়েছো?
এ যেন বিরাট অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
রাত ১-২ টা বাজবে রুমমেটদের ডাক চলে আসবে
"চল"
টং এর দোকানের দুধ চা খাওয়ার পর,
শুরু হবে মহৎ আড্ডাযজ্ঞ
সে আড্ডার না আছে শুরু না আছে শেষ।
প্রেম-প্রীতি, রাজনীতি, খেলাধুলা আরো কতো কি!
ধরো, হঠাৎ এক বন্ধু বলে উঠলো ক্লাস নাইনে একটা মেয়েকে খুব ভালো লাগতো। এবার নাও শুরু হলো মহৎ আড্ডা। আগ্রহর বসে তার পরবর্তী গল্প না শুনে কি আর পারা যায়। মধুর ভালো লাগা, তার দিকে একটু যখন চোখে চোখ পড়বে সেই অনুভূতি সবকিছুই তার মাধ্যমে উপলব্ধি হলো। তারপর আরেক বন্ধু শুরু করলো। এভাবেই রাতের পর রাত কিভাবে যে চলে যায় নিজের অজান্তেই।
ভার্সিটিতে কোনো রাজনৈতিক কিছু ঘটলে সেইদিনের টপিক নির্ধারণ হয়ে যায়।
আরো কতোকিছু নিয়ে যে কথা হয় সব তো আর বলা যায় না।
আড্ডা দিতে ভালোই লাগে কিন্তু অনেক রাতে যখন ঘুমাতে যায় তখন উপলব্ধি হয় এহহে পড়াশোনা করা উচিত ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই উপলব্ধি আর পরেরদিন রাত পর্যন্ত আর থাকে না।
আড্ডা দেওয়ার মধ্যে যেন মহৎ শান্তি আছে। একেকজন এককেক জায়গার, ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে এসেছে। সবার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখি। সবার কথা বলার ধরন অন্যরকম। বিশেষ দ্রষ্টব্য : চাটগাঁইয়াদের কথা বুঝতে পারি না।
অনেকে অনেক সু্ন্দর করে কথা বলে তাদের কাছ থেকে সুন্দর করে কথা বলতে শিখি। অনেকে কমিউনিকেশন স্কিল ভালো সেটাও শিখি। মোদ্দাকথা প্রতিনিয়ত শিখছি কিছু না কিছু। বলা বাহুল্য ভার্সিটি লাইফের সবথেকে কোয়ালিটি টাইম পার করতেছি। তবে শুধু আড্ডা দিলেই তো হবে না পড়াশোনা করারও তো দরকার আছে নাকি? তবে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সময় নষ্টের থেকে আড্ডা বেশ ভালো বলে আমি মনে করি
Md Mohin
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟