গল্প : লগড ইন
অধ্যায় ৪: শিকড়
রাহাত জানত তার জীবন আর আগের মতো থাকবে না। ডঃ ফারহানের কথা মনে পড়ে, সে ভাবল নিজের অতীত খুঁজে বের করতে হবে। কোথায় যেন সেই “রাফিক”-এর সেরা উত্তর লুকিয়ে আছে।
এক সপ্তাহ পর সে ছুটে গেল তার গ্রামের পুরনো বাড়িতে—অরণ্যপুরে, যেখানে তার শৈশবের স্মৃতিগুলো জমে আছে। পুরনো দেয়াল, টলটল পুকুর, ঝোপঝাড়ের গন্ধ, সবকিছু যেন অতীতের দরজা খুলে দিল।
বাড়ির একটি ঘর ছিল, ছোট্ট, অন্ধকার এবং ঝাড়ুদাড়। সেখানে বসে রাহাত পুরনো এক ডেস্কটপ কম্পিউটার চালু করল—যে কম্পিউটার বহু বছর ধরে ব্যবহার হয়নি। ধুলো-মাখানো সেই স্ক্রিনে হঠাৎ একটি ফাইল নেমে এলো—“RafiqOS.exe”
ক্লিক করতেই এক অদ্ভুত সফটওয়্যার খুলে গেল, যা দেখে রাহাত অবাক হয়ে গেল। এটি কোনো সাধারণ অপারেটিং সিস্টেমের মতো নয়, বরং মনে হচ্ছিল স্মৃতি সংরক্ষণের এক ডিজিটাল ক্যাপসুল।
ফাইলগুলো দেখতে দেখতে রাহাত পেল অনেক পুরনো ডায়েরি পিডিএফ ফরম্যাটে, ছবির ফোল্ডার এবং ভিডিও ক্লিপ। ভিডিওতে এক যুবক—যার চোখে ছিল ব্যথা আর আশা মিশ্রিত আভা। আর ডায়েরির শেষ পাতায় লেখা ছিল—
“২৭ এপ্রিল ২০১৯। আজ আমি, রাফিক, নিজের সব স্মৃতি ল্যাপটপে সংরক্ষণ করলাম। যদি আমি হারিয়ে যাই, তবে আমার একটা অংশ বেঁচে থাকবে।”
রাহাতের হৃদয় কেঁপে উঠল। তার ভেতরে লুকানো আরেক সত্তার গল্পই এখানে গড়ে উঠেছে।
বাড়ির দেয়ালে ঝুলে থাকা পুরনো পরিবারের ছবি দেখে সে খেয়াল করল, রাফিকের ছবি তার পিতার পাশে। সে ছিল তার ছোট চাচা, যে বহু বছর আগে অদৃশ্য হয়েছিল।
এখন সবকিছু পরিষ্কার—রাফিকের স্মৃতিগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে বন্দি, আর রাহাতের মস্তিষ্কে জেগে ওঠা সত্তার ধ্বনি সব মিলিয়ে তার জীবন যেন এক রহস্যময় নাটক।
#sifat10
tamimahmod123
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?