সিরিজ গল্প: ১৩ তম দরজা
🕯️ অধ্যায় ৬: “দরজার ওপারে”
সামিউলের ছায়া অর্ণবকে ইশারায় ডাকল। মাঠের শেষ প্রান্তে হঠাৎ একটা ধোঁয়ায় মোড়া দরজা ভেসে উঠল—১৩ নম্বর কক্ষের মতোই দেখতে, কিন্তু কুয়াশার মধ্যে যেন সাঁতার কেটে ভাসছে।
অর্ণব এগিয়ে গেল। দরজার হাতলটা ঠাণ্ডা, যেন অনেক বছর কেউ ছোঁয়নি। চোখ বন্ধ করে সে হাতল টানল…
দরজার ওপারে ছিল নিঃশব্দ এক করিডর। দেয়ালে ঝোলানো ছবি—তাঁর জীবনের প্রতিটি ভুল মুহূর্ত।
ছোটবেলার হিংসা, মিথ্যে বলা, একাকী কেউকে ফেলে চলে যাওয়া—সবকিছু যেন এখন তার সামনে দাঁড়িয়ে।
“এটা কী জায়গা?”
সামিউলের ছায়া বলল,
“এটা তোমার ভিতরের সত্যের বাড়ি। এখানে কেউ কাউকে ফাঁকি দিতে পারে না।”
অর্ণব হেঁটে চলল করিডরের শেষ মাথায়। একটা আয়না। সে ঝুঁকে দেখল নিজেকে—কিন্তু তার মুখ বিকৃত, ভেঙে গেছে টুকরো টুকরো হয়ে।
সেই আয়নার ওপাশে সামিউল দাঁড়িয়ে, এবার একেবারে স্পষ্ট মুখে। তার চোখ দুটো কাঁদছে না, কিন্তু কষ্টের ভারে জমে আছে।
“তুই যদি সত্যি মুখোমুখি হতে চাস, তাহলে আয়নাটা ভেঙে ফেল,” সামিউল বলল।
অর্ণব নিঃশব্দে এক পাথর তুলে নিল।
হাত কাঁপছে। মনে হচ্ছে—একবার ভেঙে ফেললেই সব বদলে যাবে। হয়তো মুক্তি, নয়তো আরও গভীর পতন।
সে পাথরটা তুলে আঘাত করল—
চ্যাং…!
আয়না ভেঙে গেল। করিডর কেঁপে উঠল।
আর দরজার ওপাশে... আলো।
তুমি যদি প্রস্তুত থাকো, অধ্যায় ৭: “যেখানে আলো আর ছায়া মিশে যায়” নিয়ে আমি হাজির হব। বলো, দিই? 🌗🪞
#sifat10
ChatGPT can make mistakes. C