১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও এদেশের সংবাদমাধ্যম স্বাধীন হতে পারেনি। ১৯৭৩ সালের মুদ্রণ ও প্রকাশনা আইন এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করে। ১৯৯১ সালে আইন সংশোধন করা হলেও গণমাধ্যম ব্যবস্থা সুরক্ষিত হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক কিংবা স্বৈরতান্ত্রিক উভয় শাসনামলেই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সরকারি নিয়ন্ত্রণেই পরিচালিত হচ্ছে। প্রত্যেক সরকারই বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। ২০০০ সালের পর থেকে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব গণমাধ্যম বিপ্লব ঘটেছে। এখন ঘোষণাপ্রাপ্ত পত্রিকার সংখ্যা প্রায় ১৫৯৭টি। বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে দুই ডজনেরও বেশি। বেসরকারি রেডিও এখন এক ডজনের বেশি। এছাড়া গড়ে উঠেছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম। কিন্তু এসবের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে নেই কোনো স্বচ্ছতা। কালো টাকার মালিক, ভূমিদস্যু, অসাধু ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এসবের মালিক। ফলে গণমাধ্যমে জনস্বার্থ নয় ব্যক্তি স্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে। গণমাধ্যমগুলোতে সংখ্যালঘু, নারী, বহুত্ববাদী গোষ্ঠীরা থেকে গেছে উপেক্ষিত। আমাদের গণমাধ্যমগুলোর সততা, বস্তুনিষ্ঠতা, নৈতিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই সার্বিকভাবে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ব্যবস্থা হতাশাব্যঞ্জক।
tamimahmod123
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?
tamimahmod123
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?