অবশ্যই! কলার আরও কিছু আকর্ষণীয় দিক এবং ব্যবহার সম্পর্কে বলা যাক:
কলার চাষাবাদ:
* কলা মূলত উষ্ণ ও আর্দ্র অঞ্চলে ভালো জন্মে।
* বেলে দো-আঁশ মাটি কলা চাষের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
* কন্দ বা চারা রোপণের মাধ্যমে কলার বংশবিস্তার করা হয়।
* কলার ফলন নির্ভর করে জাত, মাটি, জলবায়ু এবং পরিচর্যার ওপর।
* বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জেলায় কলার চাষ হয়ে থাকে, যেমন নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, যশোর, বগুড়া ইত্যাদি।
কলার ব্যবহার:
* পাকা কলা সরাসরি খাওয়া হয় অথবা বিভিন্ন ডেজার্ট যেমন মিল্কশেক, কেক, স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
* কাঁচা কলা সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলার তরকারি, ভাজি এবং কোপ্তা।
* কলার থোড় (ফুলের মোচা) এবং মোচা বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ব্যঞ্জন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
* কলার পাতা ঐতিহ্যগতভাবে খাবার পরিবেশনের জন্য ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ ভারতে এটি খুবই প্রচলিত।
* কলার কাণ্ড থেকে ফাইবার (আঁশ) পাওয়া যায়, যা দিয়ে দড়ি, মাদুর এবং অন্যান্য হস্তশিল্প তৈরি করা হয়।
কলার বিভিন্ন জাত ও তাদের বৈশিষ্ট্য:
* কাঁঠালি কলা: এটি আকারে বেশ বড় এবং মিষ্টি হয়। এর খোসা মোটা হয়।
* আঁশ কলা: এই কলার মধ্যে সামান্য আঁশ থাকে এবং এটি হালকা টক মিষ্টি স্বাদের হয়।
* গেঁড়া কলা: এটি ছোট আকারের এবং খুব মিষ্টি হয়।
* এছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় জাতের কলাও বাংলাদেশে পাওয়া যায়, যেগুলোর স্বাদ ও গন্ধ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তে কলা:
* বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলার বিভিন্ন প্রজাতি চাষ করা হয় এবং স্থানীয় রন্ধনশৈলীতে এর ব্যবহার দেখা যায়।
* কিছু দেশে কাঁচাকলার চিপস একটি জনপ্রিয় স্ন্যাকস।
* ফিলিপাইনে 'মারায়া' এবং থাইল্যান্ডে বিভিন্ন প্রকার সুগন্ধি কলা পাওয়া যায়।
কলা শুধু একটি ফল নয়, এটি অনেক সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত। এর পুষ্টিগুণ এবং বহুমুখী ব্যবহার এটিকে বিশ্বজুড়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যে পরিণত করেছে।
tamimahmod123
Deletar comentário
Deletar comentário ?