আচ্ছা, এবার কলার কিছু মজার তথ্য এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলা যাক!
কলার মজার তথ্য:
* বেরি নাকি ভেষজ: উদ্ভিদতাত্ত্বিকভাবে কলা আসলে একটি বেরি ফল, কারণ এর বীজ ফলের মাংসের ভেতরে থাকে। আর কলার গাছ দেখতে গাছের মতো হলেও এটি আসলে বৃহত্তম ভেষজ উদ্ভিদ!
* বাঁকা হওয়ার কারণ: কলার থোকা যখন ঝুলে থাকে, তখন অভিকর্ষের টানে নিচের দিকে বাড়ার কথা। কিন্তু কলা আলোর দিকে মুখ করে বাড়ে, তাই এটি উপরের দিকে বাঁকানো আকৃতি ধারণ করে। একে "নেগেটিভ জিওট্রপিজম" বলা হয়।
* বিভিন্ন রঙ: পাকা কলা সাধারণত হলুদ রঙের হলেও, কিছু প্রজাতির কলা লালচে বা এমনকি বেগুনি রঙেরও হতে পারে!
* বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খাওয়া ফল: আপেলের পরেই কলা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি খাওয়া ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম।
* কৃত্রিম স্বাদ: অনেক কৃত্রিম কলার স্বাদ "গ্রস মিশেল" (Gros Michel) নামক এক প্রকার কলার মতো করে তৈরি করা হয়। ১৯৫০-এর দশকে এই জাতটি পানামা রোগের কারণে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে যে কলাটি সবচেয়ে বেশি চাষ হয়, সেটি হল "ক্যাভেন্ডিশ" (Cavendish)।
* খাবার অপচয় রোধ: কলার অতিরিক্ত পেকে যাওয়া রোধ করতে এর ডাঁটার চারপাশে পলিথিন বা ক্লিং র্যাপ পেঁচিয়ে রাখলে তা দ্রুত পেকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
কলার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
* প্রাচীন ইতিহাস: কলার চাষাবাদ সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৮০০০ অব্দে পাপুয়া নিউ গিনিতে প্রথম শুরু হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এরপর এটি ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য উষ্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
* ভারতে আগমন: মনে করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দের দিকে কলা ভারতে আসে।
* পশ্চিমে পরিচিতি: আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানের সময় কলা প্রথম ইউরোপে পরিচিত হয়। তবে এটি সেখানে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।
* আফ্রিকায় বিস্তার: দশম শতাব্দীর দিকে আরব বণিকদের মাধ্যমে কলা আফ্রিকায় পৌঁছায় এবং সেখানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যে পরিণত হয়।
* আমেরিকায় আগমন: ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজ নাবিকরা আফ্রিকা থেকে কলা নিয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আসে এবং সেখান থেকে এটি আমেরিকা মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।
কলা শুধু একটি পুষ্টিকর ফলই নয়, এর একটি দীর্ঘ এবং আকর্ষণীয় ইতিহাসও রয়েছে। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এর গুরুত্ব এবং ব্যবহার ভিন্ন ভিন্ন।
tamimahmod123
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?