শিরোনাম: “ছায়াপথের ডাক” (পর্ব ২)
রুদ্র যখন আয়নার ভেতরের সেই আলোকময় করিডোরে পা রাখল, ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ২ মিনিট। সঙ্গে সঙ্গে তার পেছনের আয়না নিঃশব্দে বন্ধ হয়ে গেল।
চারপাশটা যেন স্বপ্নের মতো—নীরব, অথচ কানে ভেসে আসছে অচেনা সুর। করিডোরের দেয়ালে অদ্ভুত ছবি আঁকা, যেখানে রুমার মুখ অস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তার নিচে লেখা:
“যদি খুঁজতে চাও, তবে সত্য মেনে নিতে হবে।”
রুদ্র সামনে এগোতেই হঠাৎ আলো নিভে গেল। একেবারে অন্ধকার। তারপর এক ফিসফিসে কণ্ঠ শুনতে পেল, একেবারে তার কানে কানে:
“তুমি কি জানো, রুমা কে?”
সে থমকে দাঁড়াল। “আমি জানি সে হারিয়ে গিয়েছিল... এই বাড়িতে।”
কণ্ঠস্বর এবার হাসল।
“সে হারায়নি, সে লুকিয়ে পড়েছিল সময়ের পেছনে। এখন তোমাকেও পেছনে যেতে হবে।”
মাটিতে আচমকা একটা ঘূর্ণি তৈরি হলো, আর রুদ্র তলিয়ে যেতে লাগল অজানা এক ঘন অন্ধকারে।
চোখ খুলতেই সে দেখল—সেই বনবাড়ি, কিন্তু… দিনের আলোয় নয়, বরং ২০ বছর আগের কোনো সময়কাল!
একটা দরজা খুলে গেল আপনাআপনি। ভিতর থেকে কেউ বলল,
“রুদ্র, এবার সত্যটা জানবে। কিন্তু ফিরতে পারবে তো?”