অতিথি – পর্ব ৩
অনিরুদ্ধ বিছানা থেকে উঠে গেলেন দরজার দিকে, কিন্তু তাঁর পা যেন ভারী হয়ে এসেছে। গলা শুকিয়ে কাঠ। তিনি দরজার কাছে গিয়ে কান পেতে শুনলেন—কোনো শব্দ নেই। কিন্তু দরজার নিচ দিয়ে সেই ছায়া এখনো স্পষ্ট, একটুও নড়েনি।
হঠাৎ, ঘরের ভেতর বাতি নিজে থেকেই জ্বলে উঠল—তারপর টুপ করে নিভে গেল। জানলার পর্দা বাতাস ছাড়াই দুলে উঠল। ঘরের তাপমাত্রা যেন আচমকা ১০ ডিগ্রি কমে গেল।
তিনি সাহস করে দরজার ছিটকিনি খুললেন।
দরজা খুলে তিনি যা দেখলেন, তাতে তাঁর শরীর ঠান্ডা হয়ে গেল।
সামনে দাঁড়িয়ে এক সাদা শাড়ি পরা মহিলা। মুখ ঢাকা, চুল সামনে ঝুলে আছে। পায়ে নেই কোনো শব্দ, যেন মাটিতে ভেসে আছে সে। হঠাৎ মাথা তুলে তাকাল—তাঁর মুখ নেই। চোখের জায়গায় গহ্বর, মুখের স্থানে শুধু কালো এক ফাঁকা।
অনিরুদ্ধ পিছিয়ে গেলেন, পড়ে যেতে যেতে টেবিলের উপর রাখা বাতিটা হাত দিয়ে ছুঁয়ে ফেললেন। ঘরের এক কোণে আগুনের মতো আলো জ্বলে উঠল, আর সেই মহিলা চিৎকার করে অদৃশ্য হয়ে গেল।
সকালে অনিরুদ্ধ যখন উঠে বসলেন, তখন তিনি বিছানার পাশে একটা পুরনো ছবি পেলেন—এক কিশোরী মেয়ের, পেছনে লেখা,
“সুচিত্রা, ১৯৭৫ – আজও ঘর ফেরেনি…”
#sifat10
Xihab
Deletar comentário
Deletar comentário ?
Ridoy miah
Deletar comentário
Deletar comentário ?