অতিথি – পর্ব ৪ (শেষ পর্ব)
অনিরুদ্ধ ছবিটা হাতে নিয়ে চুপ করে বসে ছিলেন। নামটা তিনি আগেও শুনেছেন—সুচিত্রা। ছোটবেলায় দাদার মুখে শুনেছিলেন, তাদের ছোটবোন সুচিত্রা নাকি আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় এক রাতে। কেউ তাকে খুঁজে পায়নি।
এবার সত্যিটা যেন স্পষ্ট হচ্ছিল। এই বাড়িতেই কিছু ঘটেছিল।
সন্ধ্যায় কেয়ারটেকার লোকটা এলো। অনিরুদ্ধ তাঁকে ছবিটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
— “এই মেয়েটি কি সুচিত্রা?”
লোকটা কেঁপে উঠে বলল,
— “আপনি ওনার ঘরে গিয়েছেন বুঝি? আপনি জানেন না, উনি নিজের ঘরে তালা মেরে ঝুলে পড়েছিলেন… এই দোতলাতেই। তখন ঘড়ির কাঁটা ঠিক ২:১৩ তে থেমে গেছিল!”
অনিরুদ্ধ এবার সব বুঝলেন। তিনি সেদিন যে ঘরে ছিলেন, সেটাই ছিল সুচিত্রার ঘর।
সে রাতে তিনি একটা শেষ কাজ করলেন। ছবিটার সামনে একটা প্রদীপ জ্বালিয়ে হাত জোড় করলেন। চোখ বুঁজে বললেন,
— “তুমি এবার শান্তি পাও। এই ঘর আর কারো নয়—তোমারই।”
ঠিক তখনই ঘরের বাতাস হালকা হয়ে গেল। ঘড়ির কাঁটা আবার চলতে শুরু করল—২:১৩ পার হলো।
আর সেই রাতের পর থেকে, সেই ঘরে আর কোনো পায়ের শব্দ শোনা যায়নি।
#sifat10
Xihab
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?
Ridoy miah
Ta bort kommentar
Är du säker på att du vill ta bort den här kommentaren?