গল্পের নাম: অপ্রকাশিত
পর্ব ২: “যদি তুই শুনিস...”
হাত কাঁপছিল আয়েশার। নীল খামের মুখটা ছিঁড়ল ধীরে ধীরে—মনে হচ্ছিল, যেন এক পুরোনো জীবন খুলে যাচ্ছে সামনে। ভিতরে এক পাতার চিঠি, তাতে রুদ্রর হাতের লেখা, ঠিক আগের মতোই ভারি আর পরিষ্কার:
“আয়েশা,
আমি জানি, তোকে বলা হয়ে ওঠেনি। সাহস হয়নি। তোকে হারানোর ভয়টাই সব থেকে বড় ছিল।
কিন্তু আমি তোকে ভালোবাসি। অনেক দিন ধরে, চুপচাপ। তোকে কিছু না বলে পাশে থাকতে চেয়েছি শুধু, কারণ জানি তুই ভালোবাসা মানেই দূরত্ব ভাবিস।
তোর হাসি, তোর রাগ, তোর চুপ করে বসে থাকা—সবটা আমি রেখেছি আমার ভিতরে। যদি কোনোদিন এই চিঠি পড়িস, জানবি—আমি তোকে শুধু চাইনি, তোকে অনুভব করেছি প্রতিদিন।
যদি তুই শুনিস… আর যদি তুই কখনো ফিরতে চাস—আমি এখানেই থাকব।”
চিঠি পড়ে আয়েশা নিঃশব্দে কাঁদছিল। রুদ্র ভালোবাসত, কিন্তু কোনোদিন মুখ ফুটে বলেনি। আয়েশা ভুল বুঝেছিল, আর কখনো সুযোগ দেয়নি বোঝার।
ঘড়ির কাঁটা থেমে গেছে যেন। সে জানে না রুদ্র এখন কোথায়, কেমন আছে।
কিন্তু একটা প্রশ্ন তার ভিতর দোল খাচ্ছে—এখনো কি দেরি হয়নি?
#sifat10
MD Jahangir
Eliminar comentario
¿ Seguro que deseas eliminar esté comentario ?